a শেখ হাসিনা পদত্যাগে ঘটে যাওয়া আদ্যপান্ত ঘটনা তুলে ধরলেন সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা
ঢাকা রবিবার, ২ চৈত্র ১৪৩১, ১৬ মার্চ, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

শেখ হাসিনা পদত্যাগে ঘটে যাওয়া আদ্যপান্ত ঘটনা তুলে ধরলেন সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ০৭ আগষ্ট, ২০২৪, ০৯:৫২
শেখ হাসিনা পদত্যাগে ঘটে যাওয়া আদ্যপান্ত ঘটনা তুলে ধরলেন সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা

ছবি সংগৃহীত: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়া ও গণভবনে ছাত্র/জনতার আগমন

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও গত কয়েকদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা একজন সেনা কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রেখে তুলে ধরেছেন। তার অনুরোধেই পোস্টটি হুহহু নিচে তুলে ধরা হলো-


সমগ্র বাংলাদেশী মানুষদের বিজয়ের শুভেচ্ছা!
আমি একজন সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিটের কর্মকর্তা।  আমি আমার প্রকৃ্ত আইন্ডেন্টি হাইড করছি যাতে করে ভবিষ্যতে আমার বিরুদ্ধে কোনো সম্ভাব্য স্টেপ না গ্রহণ করা হয়।।

গত কয়েক সপ্তাহ যাবত আপনারা সেনাবাহিনীর কর্মকান্ডে ব্যাথিত হয়েছেন বলে আমি জানি। তবে আপনি কি জানেন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে খোদ সেনাবাহিনীই বড় ভূমিকা রেখেছিলো। এখন বলি ভিতরে কিছু ঘটনা, গত কয়েকদিন যাবত আন্দোলন যখন বেগবান হয় তখন থেকেই সরকার মহলের উপরের কিছু মন্ত্রীর ভিতরে ভয় ঢুকে যায় এবং তারাও নড়েচড়ে বসে। এতে করে শেখ হাসিনা যখন কেউকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তখন তিনি সেনাবাহিনী নামিয়ে কারফিউ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ভেবেছেন কারফিউ দিলে হয়তো আন্দোলন থামবে। কিন্তু থামেনি উলটো মানুষ প্রচন্ড রেগে গিয়েছিলো। সেনাবাহিনীর ভিতরের বিভিন্ন ব্রিগেডে ক্ষোভ বেড়ে যায় সরকারের প্রতি। দেশের মানুষের বিপক্ষে সেনাবাহিনীকে দাঁড় করানোই সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো শেখ হাসিনার। এটি তার কয়েকটি ভুলের একটি। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ব্রিগেডে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যখন বেড়ে যাচ্ছিলো তখনই সেনাপ্রধান সাহেব মতবিনিময় সভার ডাক দিয়েছিলেন। সেখানে সরকার পক্ষের গুটি কয়েকবাদে বাকি সবাই শেখ হাসিনার বিপক্ষে দাঁড়ান। সরকার পক্ষে দাঁড়ানো কয়েকজনের একজন হলো ব্রিগেডিয়ার ইমরান হামিদ। আগে আদমজী স্কুলের প্রিন্সিপাল ছিলেন। মতবিনিময় সভায় যখন সেনাপ্রধান সাহেব আঁচ করতে পেরেছেন যে সেনাবাহিনীকে যদি দেশের বিরুদ্ধে দাঁড় করার চেষ্টা আরো বেড়ে যায় তবে যেকোনো মুহূর্তে মিলিটারির ক্যুর সম্ভাবনা আছে। তাই তিনি ওইদিন থেকে আন্দলোনকারীদের উপর গুলি চালানো নিষেধ করেন পাশাপাশি আইজিপির সাথেও কথা বলেন কারন পুলিশেও প্রায় একই অবস্থা চলছিলো। তখন আইজিপি এবং সেনাপ্রধান সাহেব একমত হলেন যে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী অর্থাৎ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্যদের দেশের সার্বিক অবস্থা বোঝানো হবে, যাতে করে তারা ক্ষমতা-ত্যাগ করে।  এই নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ এবং অতি গোপনীয় ইউনিট তৈরি করা হয় যার সাথে আমি জড়িত। ওই ইউনিটের অফিসাররা এবং আমি আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও উপদেষ্টাদের সাথে বহুবার আলোচনা করি তাতে কয়েকজন সায় দিয়েছেন যে তারা শেখ হাসিনাকে বোঝাবেন পদত্যাগের জন্য। কয়েকজন সদস্য উলটো আতংকিত হয়ে দেশ ত্যাগ করে ফেলেন। তারা ভেবেছেন সেনাবাহিনী তাদের আটক করবে মার্শাল ল' জারি করবে। আসলে এমনটা আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো না।

আমরা চেয়েছি গণতান্ত্রিক উপায় সরকার পরিবর্তন হবে। প্রধান বিচারপতির রায়ের ভিত্তিতে। এরপর শেখ হাসিনাকে ওই সভাপতি মন্ডলীর বিভিন্ন সদস্য এবং উপদেষ্টা বোঝাতে চেষ্টা করেন পদত্যাগের জন্য। এর মধ্যে একজন হলেন সালমান এফ রহমান। মন্ত্রী পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যাক্তিও তাকে বুঝিয়েছেন। তবে এটা সত্য যে, যখন উনাকে সবাইকে পদত্যাগের জন্য বলেতেছিলো তিনি তখনই ভেঙ্গে পড়েছিলেন। কেননা তিনি কাউকে পাশে পাচ্ছেন না এবং বিশ্বাসও করতে পারছেন তখন আমরা শেখ হাসিনার কাছে যাই এবং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। যখন তিনি শুনতেছিলেন না তখন আমরা উনার বোন শেখ রেহনার সাথে যোগাযোগ করি। উনাকে দেশে আসতে বলি। আমাদের বিশ্বাস ছিলো অন্তত একমাত্র বোনকে তিনি বিশ্বাস করবেন। উনার বোন আমাদের কথায় ৪ তারিখ সকালে বাংলাদেশে আসেন। শেখ রেহানা এবং শেখ হাসিনা ৪ তারিখ অর্থাৎ রবিবার থেকেই নিজেদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা করেন।

আমরা শেখ হাসিনার প্রোটোকল অফিসারদের (যারা সেনাবাহিনীতে কর্মরত) বলে দিয়েছিলাম, যেন তাদের গতিবিধির উপর ২৪ ঘন্টা নজর রাখে। আমাদের সূত্র জানিয়েছে যে, শেখ হাসিনা তখনও মানতে নারাজ ছিলেন। উনি ক্ষমতা সেনাবাহিনীকে দিতে চাচ্ছিলেন না। তিনি উলটো কারফিউ কড়াকড়ি করতে সেনাবাহিনীর উপর জোর দেন। যখন দেখছি কাজ হচ্ছে না তখন আমরা সেনাপ্রধান সাহেবকে জানাই। পরের দিন,  আইজিপি ও তিন বাহিনীর প্রধান নিজেই অর্থাৎ সোমবার সকালে শেখ হাসিনার বাসা গণভবনে যান।সেখানে সালমান সাহেবও উপস্থিত ছিলেন।  শেখ হাসিনা তার বিভিন্ন ক্ষোভ ঝাড়েন সেনাবাহিনীর উপর। পুলিশদেরকে বাহবা দেন। কিন্তু আইজিপি সাহেব শেখ হাসিনাকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন যে দেশের পরিস্থিতি একদম নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। তিনি তখন দেশে জরুরী অবস্থা জারি করতে নির্দেশ দিলে সেনাপ্রধান তা মানতে নারাজ ছিলেন। ওই সভা ছিলো শেখ হাসিনার ইতিহাসের প্রথম সভা যেখানে কেউই তার হুকুম পালন করতে রাজি হোননি। শেখ হাসিনা তখন বুঝে যান যে, তার পক্ষে এখন আর কেউ নেই। তিনি তখন পাশের রুমে শেখ রেহানার কাছে যান , তার সাথে আলোচনা করেন এবং বিদেশ থেকে ভিডিও কলে পুত্রসন্তান জয়ের সাথে আলোচনা করেন। জয় নিজের মাকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নিতে বলেন যতদ্রুত সম্ভব।

বলে রাখা ভালো, আমরা শেখ রেহানার মাধ্যমে জয়ের সাথেও আলাপ করার চেষ্টা করেছিলাম। শেখ হাসিনা তখন ফের সভায় এসে সেনাপ্রধানের কাছে পদত্যাগের জন্য দুইদিন সময় চান যাতে করে তার সহযোগীরা দেশ ছাড়তে পারে এবং একটি জাতির উদ্দেশ্যে রেকর্ডেড ভাষণ দিতে চান পাশাপাশি নিরাপদ আশ্রয়ের শর্ত দেন। তখন সেনাপ্রধান নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে রাজি হোন কিন্তু বাকি দুইটিতে রাজি ছিলেন না। কেননা ততক্ষণে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মানুষ জড় হয়ে গেছেন এবং তারা যেকোনো মুহূর্তে গণভবনে ঢুকে যাবেন। সেনাপ্রধানসহ তিনবাহিনীর প্রধান শেখ হাসিনাকে  আশ্বস্ত করেন যে তারা ৪৫ মিনিটের মধ্যে নিরাপদে ভারতে পাঠিয়ে দিবেন। শেখ হাসিনা হতাশ হন কিন্তু রাজি হয়ে যান। তখন আমি এবং আমার ইউনিট আমাদের সবচেয়ে পরিশ্রমী একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে খুব কম সময়ে। তখন বাজে ১২.৩০ মিনিট। সময় ছিলো মাত্র ৪৫ মিনিট। এক ঘন্টাও না! আমরা প্রথমে  হেলিকপ্টারের মাধ্যমে শেখ হাসিনা, শেখ রেহনা এবং সালমান সাহেবকে বঙ্গভবনে নিয়ে যাই। সেখানে প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে উনাকে নিয়ে কুর্মিটোলা এয়ারব্যাসে চলে যাই। এর মাঝখানে ভারতের সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করি যাতে করে তারা শেখ হাসিনাকে  গ্রহন করে। ক্লিয়ারেন্স চাই। তারা সম্মতি জানায়। তখন তারা শেখ হাসিনাকে ভারতের আগরতলায় পাঠাতে বললে আমরা কুর্মিটোলা এয়ারব্যাস থেকে ২.৩০ মিনিটে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অতি সতর্কতার শেখ হাসিনা, তার বোন, সালমান সাহেব এবং তার কিছু বিশস্ত অফিসারকে আগরতলা পাঠাই।

এর মাঝখানে সেনাপ্রধান রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন। উনি রাজনীতিবিদ ও প্রেসিডেন্টের সাথে আলাপ করেন। এর জন্য আলাদা একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। ভারতের আগরতলা থেকে থেকে বিকাল ৪.৩০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সি-১৩০জে উড়জাহাজ করে উনাকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বলে রাখা ভালো, এই পুরো সময়েই শেখ হাসিনা স্তব্দ, নিশ্চুপ, হতাশ এবং কাঁদো কাঁদো ভাব। মনে হচ্ছিলো তিনি এটা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। বিমানবাহিনীর বিমানটি প্রথমে দিল্লিতে নামার কথা থাকলেও পরবর্তীতে দিল্লির কাছাকাছি গাজিয়াবাদের হিন্দোন এয়ারপোর্টে অবতরণ করে ৫.৩০ মিনিটের দিকে। তবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সি-১৩০জে উড়জাহাজটি সেখানেই রাখা হয় সারাদিন। যদি পরবর্তীতে কোনো দেশে যেতে চান তবে। তখন থেকেই শেখ হাসিনার সাথে আমাদের বর্তমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তিনি যেসব অফিসার সাথে করে নিয়েছেন তারা নিয়মিত বিমানবাহিনীকে আপডেট দিচ্ছেন। আজ সকালে বিমানবাহিনী থেকে জানা হলো সি-১৩০জে বিমানটি ফিরত চলে আসবে। ইতেমধ্যে হয়তো সেটি উড্ডয়ন করে ফেলেছে।

আমরা বারবার শেখ হাসিনার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি কিন্ত তার অফিসাররা আর সায় দিচ্ছেন না। তবে আপাতত শুনেছি যে তিনি লন্ডনে যেতে পারেন। এর কারন শেখ হাসিনা আর দেশীয় কেউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। ইতেমধ্যে ভারত থেকে আমাদের জানানো হচ্ছে যে সেখানের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলগুলোয় সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করছে।

আমার এই সব কিছু বলার কারন একটাই যে আপনারা বিভিন্ন মানুষ যারা অনলাইনে গুজব রটাচ্ছেন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তারা সত্যটা জানুন। সেনাবাহিনী সবসময় দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে। সেটা আগামী যেই সরকারই আসুক। আমাদের নীতি একটাই থাকবে সেটা হলো দেশের মানুষদের সুরক্ষা। আপনাদের কেউ কেউ দাবি করছেন যে সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে  দেশ থেকে সরিয়ে দিয়েছে ইচ্ছা করে। আসলে ব্যাপারটা ইচ্ছাকৃত না, আমাদের প্ল্যানে শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়ার কথাও ছিলো না। উনি শর্ত দাবি করেছেন নিরাপত্তার জন্য। উনাকে নিরাপত্তা দিলে, উনি পদত্যাগ করবেন। তাই আমরাও সেটি মেনে নিয়েছি।

ইতেমধ্যে আমাদের বিভিন্ন ইউনিট তৈরি হচ্ছে বা হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়াগায় মোতায়েনের জন্য। আপনারা আবারও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবেন বলে আশা করছি। কিন্তু সব অতি স্বল্প সময়ে হওয়ার কারনে সেনাবাহিনীর অরগানাইজড হতে একটু দেরি হচ্ছে। তবে ঠিক হয়ে যাবে আশা করি।

গতকালের রাতে সেনাবাহিনীর উপর গুলির যে আতংক সেই প্রসঙ্গে,
আমরা সেনাসদস্য আহত হওয়ার খবরটি পেয়েছি। পুলিশ গতকাল আতঙ্কিত হয়ে সেনাসদস্যদের উপর গুলি চালিয়েছেন। এই ব্যাপারটি তদন্ত করা হয়েছে। গতকাল হঠাত সরকার পতনের পর বিরোধীরা তাদের ১৫ বছরের ক্ষোভ একদিনেই নিয়ে ফেলছেন। আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। এতে করে আপনারা বিভিন্ন মানুষদের বাসাবাড়িতে বা কার্যালয়ে হামলা করছেন। এতে বহু পুলিশ আহত ও নিহত হয়েছে। এখন পুলিশরা এজন্য আতঙ্কিত। আরো একটি কথা, আপনারা সবাই জানেন দেশে এখনো কিছু এমপি বা রাজনীতিবিদরা আটকে আছেন এবং পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সেনা দফতর থেকে এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দেওয়ার পর অনেকেই পালাতে পারেননি।তাতে পুলিশও রয়েছে। তারা সবাই আইজিপির কাছে নিরাপত্তা চান বিকালে। আইজিপি তখন সিদ্ধান্ত নেন যে  গভীর রাতে পুলিশের বিশেষ কয়েকটি ইউনিটকে রাতে ফাঁকা আওয়াজ দিতে বলেন। তারা সারা ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় ফাঁকা আওয়াজ দেওয়ার জন্য নিজেদের বহর নিয়ে বের হয় যাতে করে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে না বের হোন। তারা ফাঁকা আওয়াজ দিতে দিতে সেনানিবাসে নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় নেয় এবং আত্মসমর্পণ করেন। এই ফাকে এম্পি-মন্ত্রী-পুলিশ কর্মকর্তারা  নিজেদের আস্তানা খুঁজে নেয়। তাই ওইসময় তারা পালাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু আফসোসেস বিষয় হচ্ছে তারা এয়ারপোর্টের দিকে রওনা হোন। এইদিকে আগে থেকেই সেনাবাহিনীর তুর্কী ড্রোন দিয়ে আমরা সারা ঢাকায় নজরদারি চালাচ্ছিলাম। তাদের গতিবিধি দেখে এয়ারপোর্টে সেনাবাহিনী পাঠানো হয় এবং কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার হয়। তাদের মধ্যে কেউ এমপি বা মন্ত্রী ছিলেন না।  যদিও এই কথাটি সায়ের ভাই আগেই বলে দিছেন গতকাল।

পাশাপাশি আপনাদের অনেকেরই মনে খুব উদ্বেগ জেগেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’ নিয়ে। আপনাদের জানিয়ে রাখছি যে এটা নিয়ে একটুও বিচলিত হবেন না। হ্যাঁ এটা সত্য ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর কিছু সদস্য বাংলাদেশে আছেন। এটা প্রায় সবদেশেই হয় অন্যদেশের উপর নজরদারির জন্য। আমাদের সেনাবাহিনীর ডিজিএফআইও অনেক দেশে মোতায়েন রয়েছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে বাংলাদেশে যতজন র’এজেন্ট বা সংশ্লিষ্ট আছেন তারা সবাই সেনাবাহিনীর নজরদারিতে আছে। তাদের সেনাবাহিনী শেখ হাসিনা সরকার থাকার সময়ই আইডেন্টিফাই করে ফেলেছিলো এবং তখন থেকেই তাদের উপর নজরদারি করে আসছি অতএব এটা নিয়ে চিন্তিত হবেন না। সূত্র: ফেসবুক/ Mir Kamruzzaman Moni

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পায়ের যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২১, ০২:২৪
পায়ের যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে

ফাইল ছবি

কোলেস্টেরল মোমের মতো এক ধরনের ফ্যাটি পদার্থ। তৈরি হয় যকৃত (লিভার) থেকে। লাইপোপ্রোটিনের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে পড়ে কোলেস্টেরল। স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে এই কোলেস্টেরল।

কিন্তু শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে এবং ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেলে, তা কোলেস্টেরলের সঙ্গে মিশে ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা এলডিএল হয়ে যায়। তখনই কোলেস্টেরল শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকর হয়ে যায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যদি অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় এবং কোনও রকম শরীরচর্চা করা না হয়, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।

কিভাবে জানা যাবে শরীরে এর মাত্রা বেড়েছে?
কোলেস্টেরলের মাত্রা যতক্ষণ না মারাত্মক বেড়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ শরীরে কোনও রকম লক্ষণই দেখা দেয় না। তাই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর নজর রাখা নেহায়েত প্রয়োজন। কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গেলে পায়ের টেন্ডন লিগামেন্টগুলোতে প্রভাব পড়ে। পায়ের ধমনীগুলো সরু হয়ে গেলে পায়ের নিচের অংশ অনেকটা অক্সিজেন-সহ রক্ত পৌঁছতে পারে না। তাতে পা ভারী হয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে সহজেই। পায়ের অসম্ভব যন্ত্রণা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। উরু বা পায়ের হাঁটুর নীচে পিছনের দিকে ব্যথা হতে পারে। হাঁটার সময়েই এই ধরনের ব্যথা বাড়ে। অল্প দূরত্ব হাঁটলেও এই ব্যথা হতে পারে। তাই এই লক্ষণগুলো দেখলেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন।

ঘুমের মধ্যে পায়ের পাতায় বা আঙুলে হঠাৎ টান ধরা যাওয়াও উচ্চ কোলেস্টেরলের ইঙ্গিত বহন করে। রাতে এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়। পা নিচের দিকে ঝুলিয়ে রাখলে রক্ত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। তাতে পায়ের টান ধরার যন্ত্রণা কমতে পারে।

রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলে পায়ের আঙুলের রঙেও অনেকক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে। পায়ের নখের রং বদলে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক, ন্যায়সঙ্গত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করার লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করলো বিএসডিপি


সবুজ হালদার, রিপোর্টার, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৮ ফেরুয়ারী, ২০২৫, ০৪:১৪
বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক, ন্যায়সঙ্গত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করার লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করলো বিএসডিপি

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (BSDP) এর ঐতিহাসিক উদ্বোধন হয় জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায়। আজ ১৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (BSDP) এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত পালন করল। আনন্দঘন এই ঐতিহাসিক সময়ে বিএসডিপি ১১১ সদস্যের জাতীয় কমিটির মাধ্যমে এই রাজনীতিক যাত্রা শুরু করেছে, যার চেয়ারম্যান জনাব ড. প্রকৌশলী বিভূতি রায় এবং মহা সচিব প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুল আলম (মাহবুব সুমন)।

BSDP লক্ষ্য স্পষ্ট: একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক, ন্যায়সঙ্গত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ এবং মর্যাদা পাবে। কয়েক দশক ধরে, বাংলাদেশের জনগণ একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা করে আসছে, যা গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক সমতা এবং মানবাধিকার সুরক্ষার প্রতীক। BSDP এই আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাজনীতির একটি নতুন যুগের সূচনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেগুলি পুরণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করবে।

অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে তারা বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ কল্পনা করি যেখানে প্রতিটি ব্যক্তির উন্নতি, অংশগ্রহণ এবং জাতির অগ্রগতিতে অবদান রাখার সুযোগ থাকবে। বিএসডিপির প্রতিষ্ঠাতা নেতারা বলেন 'আমাদের লক্ষ্য ঐক্য, অন্তর্ভুক্তি এবং অগ্রগতিকে উৎসাহিত করা, আমাদের প্রিয় দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করা এবং একটি উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্ব মঞ্চে আমাদের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করা।

বিএসডিপির মূল উদ্দেশ্যঃ
১. গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা: আমরা সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক এবং স্বচ্ছ গণতন্ত্র নিশ্চিত করব, ভোট পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে (Vote Recall) নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করব এবং প্রশাসনে স্থানীয় প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করব।
২. কর্মসংস্থান প্রথম: আমাদের লক্ষ্য হবে সকলের জন্য, বিশেষ করে সক্ষম এবং অদক্ষ যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা ।
৩. সকলের জন্য স্বাস্থ্য: আমরা কোনও বৈষম্য ছাড়াই অ্যাক্সেসযোগ্য এবং ন্যায়সঙ্গত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
৪. কর্মমুখী শিক্ষা: আমরা আসাদের যুবকদের কর্মশক্তির জন্য প্রস্তুত করার জন্য বৃষ্টিমূলক প্রশিক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার প্রচার করব।
৫. শ্রমিকদের অধিকার এবং অর্থনৈতিক সমস্যা: আমাদের দল ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং ইউনিয়ন করার অধিকার সহ শ্রম অধিকারের পক্ষে ওকালতি করবে।

৬. পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু ন্যায়বিচার: আমরা এমন নীতি গ্রহণ করব যা টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমাধান প্রচার করবে।
৭. নারী ও শিশু অধিকার: নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের এজেন্ডার অগ্রভাগে থাকবে ।
৮. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে লড়াই: সরকারের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা হবে।
৯. সামাজিক ন্যায়বিচার: আমরা সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ তৈরি এবং সম্পদের বৈষম্য দূর করতে নিবেদিতপ্রাণ।
১০. প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি: আমরা ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সকলের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার জন্য কাজ করব, ডিজিটাল বৈষম্য দুর করব।

আমাদের প্রতিশ্রুতিঃ বিএসডিপি তার জনগণের ক্ষমতায়ন এবং একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও উন্নত ও মানবিক সমাজে রূপান্তরিত করার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করে। আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য আমরা সকল স্তরের নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।“গণতন্ত্র, সাম্য, ন্যায়বিচার এবং একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এই যাত্রায় আমাদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য আমরা আমাদের দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি,” যোগ করেন BSDP নেতারা। উপস্থিত নেতারা আরো বলেন, আসুন একসাথে, আমরা একটি নতুন সমাজ, একটি সমৃদ্ধ জাতি এবং একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি যা সত্যিকার অর্থে তার জনগণের।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়