a আর্জেন্টিনার সমর্থকরা ব্রাজিল সমর্থকের চাচাকে পেটাল
ঢাকা শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আর্জেন্টিনার সমর্থকরা ব্রাজিল সমর্থকের চাচাকে পেটাল


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই, ২০২১, ১১:১১
আর্জেন্টিনার সমর্থকরা ব্রাজিল সমর্থকের চাচাকে পেটাল

সংগৃহীত ছবি

চলমান কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নওয়াব মিয়া (৬০) নামের এক ব্রাজিল সমর্থকের চাচাকে পিটিয়েছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার দামচাইল বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত নওয়াব মিয়া সাদেকপুর ইউনিয়নের আলাকপুর গ্রামের মৃত হেলু মিয়ার ছেলে।

নওয়াব মিয়ার ছোট ভাই ইয়াকুব মিয়া জানান, কোপা আমেরিকার ব্রাজিল বনাম পেরুর মধ্যকার সেমিফাইনাল খেলায় ব্রাজিল ১-০ গোলে জয়ী হয়। খেলা শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নওয়াব মিয়ার ভাতিজা ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের সঙ্গে একই এলাকার আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে আর্জেন্টিনার সমর্থক মো. জীবন মিয়ার খেলা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় তাদের ফিরিয়ে দেন।

বিকেলে রেজাউলের চাচা নওয়াব মিয়াকে দামচাইল বাজারে একা পেয়ে মো. জীবন মিয়াসহ আরও চার-পাঁচজন মিলে মারধর করে পালিয়ে যান। সন্ধ্যার দিকে আহত নওয়াব মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, নওয়াব মিয়ার মাথায় আঘাত আছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। একজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ইন্টার মায়ামির প্রথম শিরোপা জয় মেসির–জাদুতে


ক্রীড়া ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২০ আগষ্ট, ২০২৩, ১০:৩০
ইন্টার মায়ামির প্রথম শিরোপা জয় মেসির–জাদুতে

ফাইল ছবি: মেসি

কী জানি কী হয়! উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা লিওনেল মেসির চোখে মুখে। পারবেন কি ইন্টার মায়ামিকে প্রথম শিরোপাটা এনে দিতে? কিছুই তখন তাঁর হাতে ছিল না। নিজের কাজটা আগেই সেরে রেখেছিলেন। নির্ধারিত সময়ে করেছেন নান্দনিক এক গোল। টাইব্রেকারে দলের প্রথম শটটি নিয়েও করেছেন গোল।

এরপরই শুরু টেনশন! তবে মেসিকে নিরাশ করেননি তাঁর সতীর্থরা। ম্যারাথন পেনাল্টি শুটআউটে দুই দল ১০টি করে শট নিয়ে ফেলেছে, টাইব্রেকারে তখন ৯-৯ এ সমতায়। শট নিতে এলেন গোলরক্ষকেরা। দারুণ শটে গোল করলেন ইন্টার মায়ামির গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার। এরপর প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের শট ঠেকিয়ে দলকে এনে দেন শিরোপাও। ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে নেয় ১০-৯ গোলে।

গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ জিতে সপ্তম স্বর্গে আরোহণ করেছিলেন মেসি। ফুটবল থেকে নিজের আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই বলে নিজেই একাধিকবার বলেছেন। কিন্তু নিজের জন্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন তলানিতে থাকা ইন্টার মায়ামিকে ভালো কিছু উপহার দেবেন বলে। সেই লক্ষ্যে প্রথম ধাপেই সফল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। লিগস কাপের মধ্য দিয়ে মায়ামিকে এনে দিলেন প্রথম শিরোপা।

এদিন ন্যাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে শুরু থেকেই বল পায়ে রেখে আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করে ইন্টার মায়ামি। ৪ মিনিটের মাথায় লং বলে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন মেসি। যদিও সেই সুযোগ পরিণতি পায়নি। ইন্টার মায়ামি বলের দখল রেখে খেলায় ন্যাশভিলে এ সময় চেষ্টা করছিল প্রতি-আক্রমণ থেকে সুযোগ তৈরির।

দুই-একবার ওপরেও ওঠে এসেছিল তারা। যদিও তা গোল আদায়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। বিপরীতে ইন্টার মায়ামিও অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খুব একটা জায়গা পাচ্ছিল না। কড়া পাহারার কারণে হতাশ হতে হচ্ছিল তাদের। কিন্তু কড়া পাহারায় কি আর মেসিকে আটকে রাখা যায়! ন্যাশভিলেও পারেনি।

২৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ইন্টার মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসিই। ন্যাশভিলের ডি-বক্সের কাছাকাছি জায়গায় রবার্ত টেলরের বাড়ানো বল প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় ঠিকভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বল চলে আসে বক্সের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মেসির কাছে। কয়েক পা এগিয়ে শরীরের ঝাঁকুনিতে দুজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে গোল করেন মেসি। মেসির সেই গোল তাঁর আশপাশে থাকা ন্যাশভিলের ৫ খেলোয়াড়ের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। এ নিয়ে ইন্টার মায়ামির হয়ে টানা ৭ ম্যাচে ১০ গোল করলেন মেসি।

বিরতির পরও ন্যাশভিলে চেষ্টা করে ম্যাচে ফেরার। অন্যদিকে ইন্টার মায়ামির চোখ ছিল ব্যবধান বাড়ানোয়। একাধিক আক্রমণ থেকে মেসিরা ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন। ৫৭ মিনিটে সমতা ফেরায় ন্যাশভিলে। দলকে গোল এনে দেন ফাফা পিকাল্ট। কর্নার থেকে আসা বলে নিচু করে হেড নেন ফাফা। বল লাইনে দাঁড়ানো বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চির গায়ে লেগে ফিরে আসছিল। সেই সময় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গোলরক্ষকের গায়ে লেগে আবার জালে জড়ায় বল।

ম্যাচে সমতা ফেরার পর দুই পক্ষই এগিয়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৭০ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আরেকটি ট্রেডমার্ক শটে দলকে প্রায়ই এগিয়েই দিয়েছিলেন মেসি! কিন্তু এবার মেসির মাটি কামড়ানো শটে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় গোল পোস্ট। ৭৭ মিনিটে স্যাম সারিডগে ইন্টার মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডারকে ফাঁকি দিতে পারলে ব্যবধান বাড়াতে পারত ন্যাশভিলে।

শেষ দিকে আরও দুটি দারুণ সেভ করে ইন্টার মায়ামিকে বাঁচান ক্যালেন্ডার। যোগ করা সময়ে গোল পেতে পারত মায়ামিও। কিন্তু তারাও পারেনি বল জালে জড়াতে। এরপর নির্ধারিত সময়ে দুই দলই চেষ্টা করেছিল গোল আদায়ের। কিন্তু পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। ম্যাচ চলে যায় টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারের প্রথম শটটি নিতে আসেন মেসিই। ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষককে উল্টো দিকে পাঠিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তবে এরপর দুই দলই একটি করে পেনাল্টি মিস করে। ৫ শটের পর সমতা থাকে ৪-৪ এ। এরপর ম্যারাথন পেনাল্টি শুটআউটে জয় পায় মায়ামি। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কাবা শরিফের হাজরে আসওয়াদের প্রথম রহস্যময় ছবি প্রকাশ


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ০৫ মে, ২০২১, ০৯:০৫
কাবা শরিফের হাজরে আসওয়াদের প্রথম রহস্যময় ছবি প্রকাশ

ছবি: আল অ্যারাবিয়া


প্রথমবারের মতো কাবা শরিফে অবস্থিত হাজরে আসওয়াদের (পবিত্র কালো পাথর) স্ফটিক স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (৩ মে) সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘জান্নাতি’ পাথর হাজরে আসওয়াদের সবচেয়ে স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করে। 

আল অ্যারাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে— কোভিডের সময় হাজরে আসওয়াদের কাছে ভিড় নেই। এ সুযোগে সৌদি সরকারের দুই পবিত্র মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হাজরে আসওয়াদ বা ব্ল্যাক স্টোনের ছবি নিয়েছে। একেকটি ছবি তৈরি করতে ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে। প্রতিটি ছবি ছিল ১৬০ গেগাবাইটের এবং অবিশ্বাস্য ৪৯ হাজার মেগাপিক্সেলের। 

তারপর ফোকাস স্ট্যাকিং নামে একটি কৌশল ব্যবহার করে ছবিগুলো শার্প করতে ৫০ ঘণ্টা লেগেছে। বিভিন্ন ফোকাস পয়েন্টের সঙ্গে একাধিক ফটো একত্রিত করে, ডিজিটাল ফটোগ্রাফিতে ফোকাস স্ট্যাকিং করা হয়। 

৪ মে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয় এই ছবিগুলো প্রকাশ করে। এখন যে কেউ প্রথমবারের মতো একটি বর্ধিত ডিজিটাল ফটোতে পাথরটিকে খুব কাছ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে দেখতে পাবেন। 

‘হাজরে আসওয়াদ’— কাবাঘরের দেয়ালে বিশেষভাবে স্থাপনকৃত একটি পাথরের নাম। আরবি ‘হাজর’ শব্দের অর্থ পাথর আর ‘আসওয়াদ’ শব্দের অর্থ কালো। অর্থাৎ কালো পাথর। ‘হাজরে আসওয়াদ’ বেহেশতের মর্যাদাপূর্ণ একটি পাথর। হজযাত্রীরা হজ করতে গিয়ে এতে সরাসরি বা ইশারার মাধ্যমে চুম্বন করে থাকেন।

রাসুলের নবুয়তপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ আগের স্থানে কে বসাবেন—এটি নিয়ে কোরাইশদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেধেছিল। তখন মহানবী (সা.) নিজের গায়ের চাদর খুলে তাতে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে চাদর ধরতে বলেন। 

গোত্রপ্রধানরা চাদরটি ধরে কাবা চত্বর পর্যন্ত নিয়ে গেলে নবী করিম (সা.) নিজ হাতে তা কাবার দেয়ালে স্থাপন করেন এবং দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটান।

আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.)-এর শাসনামলে হাজরে আসওয়াদ ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ফলে তিনি তা রূপা দিয়ে বাঁধাই করেছেন। আর তিনিই সর্বপ্রথম হাজরে আসওয়াদকে রূপা দিয়ে বাঁধানোর সৌভাগ্য অর্জনকারী। এই পবিত্র পাথরের দৈর্ঘ্য ৮ ইঞ্চি ও প্রস্থ ৭ ইঞ্চি। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়