a নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খেলো বার্সা
ঢাকা বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৫ জুন, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খেলো বার্সা


ক্রীড়া ডেস্ক:
রবিবার, ২২ আগষ্ট, ২০২১, ১০:৫৩
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খেলো বার্সা

ফাইল ছবি

স্প্যানিশ লা লিগার ২০২১-২২ মৌসুমে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছে বার্সেলোনা। অ্যাথলেটিক বিলবাও’র বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ড্র করেছে ১-১ গোলে। যদিও ম্যাচে বলের দখল বেশি ছিল কাতালানদের। কিন্তু আক্রমণ ও গোলের সুযোগ বেশি তৈরি করেছিল বিলবাও। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে উভয় দল।

চলতি বছর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুই দলের এটি পঞ্চম দেখা। কোপা দেল রের ফাইনালসহ আগের তিন ম্যাচে জিতেছে বার্সেলোনা। সুপার কাপের ম্যাচে জিতেছিল বিলবাও। এবার হলো ড্র।

ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করলেও জালের নাগাল পায়নি বিলবাও। তবে বিরতির পর ঠিকই জালের নাগাল পায় তারা। ম্যাচের ৫০ মিনিটের মাথায় ইকের মুনিয়ানের কর্নার থেকে হেডে বল জালে জড়ান মার্টিনেস। ম্যাচের ৭৫ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় বার্সেলোনা। এ সময় রবের্তোর পাস থেকে বল পেয়ে ডি বক্সে ঢুকে জোড়ালো শট নেন মেমফিস ডিপেই। বিলবাওয়ের গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে বল জালে আশ্রয় নেয়। কাতালানদের হয়ে লা লিগায় এটা ছিল ডাচ তারকা মেমফিসের আনুষ্ঠানিক প্রথম গোল।

অবশ্য ম্যাচের শেষ দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে পারেননি ডেনিশ তারকা ব্রাথওয়েট।মেমফিসের পা থেকে বল পেয়ে গোল পোস্টের সামনে থেকেও গোল করতে পারতে ব্যর্থ হয়েছেন,তার নেওয়া শট গোল পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়। উল্টো যোগ করা সময়ে বিলবাও এর উইলিয়ামসকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বার্সার এরিক গার্সিয়া। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের সমতা নিয়েই শেষ হয় ম্যাচ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

ঘরের মাঠেই চ্যাম্পিয়নদের হোঁচট


ক্রীড়া ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ১১:২৫
ঘরের মাঠেই চ্যাম্পিয়নদের হোঁচট

ফাইল ছবি

গত অক্টোবরে দুই দলের সবশেষ দেখায় প্রীতি ম্যাচে ইউক্রেনকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ফ্রান্স। আরেকটি বড় জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন আাঁতোয়ান গ্রিজমান। তবে আরেকটি বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার লড়াইয়ে নিজেদের ভুলেই হোঁচট খেল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

কাতার ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শুরুটা মোটেই ভালো হলো না ফ্রান্সের। অনেকটা সময় এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি তারা। ইউক্রেনের আক্রমণের চাপে রুখতে বাধ্য হয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপ শিরোপধারীরা।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শুরুটা মোটেই ভালো হলো না গত বিশ্বকাপের বিজয়ী ফ্রান্সের। ইউক্রেনের বিপক্ষে ম্যাচে অনেকটা সময় এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি তারা। ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রুখে দিয়েছে ইউক্রেন।

ফ্রান্সের জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল বুধবার রাতে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। অঁতোয়ান গ্রিজমানের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পরও জয় পেলো না তারা। আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে ইউক্রেন।

জাতীয় দলের হয়ে গ্রিজমানের গোল হলো ৩৪টি। দেশটির সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় চারে থাকা দাভিদ ত্রেজেগেকে স্পর্শ করলেন তিনি। ওপরে আছেন মিশেল প্লাতিনি (৪১), জিরুদ (৪৪) ও থিয়েরি অঁরি (৫১)।

নিজেদের পরের দুই ম্যাচে আগামী রোববার কাজাখস্তান এবং এর তিন দিন পর বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে খেলবে ফ্রান্স। একই রাতে ‘ডি’ গ্রুপের অপর ম্যাচে ফিনল্যান্ডের মাঠে ২-২ গোলে তাদের রুখে দিয়েছে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রাজনৈতিক ঐক্যের গুরুত্ব: কর্নেল (অব.) আকরাম


কর্নেল আকরাম, কলামিস্ট ও লেখক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:৫২
রাজনৈতিক ঐক্যের গুরুত্ব: কর্নেল (অব.) আকরাম

সংগৃহীত ছবি

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনৈতিক ঐক্য সংকটকালীন সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যে কোনো সংকট মোকাবিলায় এটি একেবারে অপরিহার্য। শেখ হাসিনা-পরবর্তী সময়ে নতুন কোনো রাজনৈতিক সমঝোতার আশা আমরা এখনো পাইনি। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। জাতি তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগে রয়েছে এবং এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।  

এই সংকটময় সময়ে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। জাতি আশা করে, এই দুই দলের মধ্যে ঐক্য হবে, কারণ এর কোনো বিকল্প নেই।  

১৯৭৫ সালের নভেম্বর বিপ্লবের পর যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছিল, তা ছিল দেশের রাজনৈতিক ঐক্যের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। নবগঠিত বিএনপির নেতৃত্বে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক ঐক্য সেই সময়ে নবজাতীয়তাবাদী শক্তি এবং বিদ্যমান ইসলামী রাজনৈতিক শক্তির একটি সফল মেলবন্ধন হিসেবে কাজ করেছিল।  

জিয়াউর রহমানের দক্ষ নেতৃত্বে সৃষ্ট রাজনৈতিক ঐক্য অল্প সময়ের মধ্যেই সকল সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছিল। এটি সম্ভব হয়েছিল শুধুমাত্র ঐক্যের কারণেই।  

জাতীয় ঐক্যকে জাতীয় শক্তির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তবে কোনো কিছুই তাদের ক্ষতি করতে পারে না। এটি একটি জাতির জন্য সুপার পাওয়ার হিসেবে কাজ করে।  

সম্প্রতি রাজধানীতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মানুষের জমায়েত এবং দুই ছাত্র দলের সংঘর্ষ স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, দেশের শত্রুরা অরাজকতা সৃষ্টি করতে সক্রিয় রয়েছে।  

বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির একের পর এক অবনতি সরকার এবং জাতির জন্য কোনো শুভ লক্ষণ বহন করে না। বড় আকারের আইনশৃঙ্খলা সংকট দেখা দেওয়া অসম্ভব নয়, যা বর্তমান সরকারের স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।  

রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিক সমর্থন সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি জোগাতে পারে। তবে সরকারকে তাদের কাজের গতি বাড়াতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।  

এই মুহূর্তে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর ঐক্য অপরিহার্য, নতুবা অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত শত্রুরা এর সুযোগ নিতে দ্বিধা করবে না। বিপ্লবের সময় কয়েকশো মানুষের জীবন এবং জনগণের অমানবিক কষ্টের মাধ্যমে অর্জিত সুযোগ কোনোভাবেই উপেক্ষা করা উচিত নয়। এই সময়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য উভয় দলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।  

জাতীয় স্বার্থকে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। রাজনৈতিক ঐক্য ছাড়া জাতিকে অভ্যন্তরীণ এবং বহিরাগত হুমকির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব নয়।  

জাতীয় সংকটকালে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কোনো দলেরই এটি উপেক্ষা করা উচিত নয়। বিএনপি, যেহেতু দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল, তাদের দায়িত্ব অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় অনেক বেশি। যদি তারা ১৯৭৫ সালের মতো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার গুরুদায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়, তবে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।  

বিএনপিকে বিচক্ষণতার সঙ্গে জাতিকে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং তারা কোনোভাবেই ভুল করার সুযোগ নিতে পারবে না। তারা ভুলে গেলে চলবে না যে, পুরো জাতি তাদের যোগ্য নেতৃত্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তাদের অবশ্যই সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে একটি নিরাপদ এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়।  

যেমনটি তারা অতীতে প্রমাণ করেছিল, এবারও তাদের সেই সামর্থ্য প্রমাণ করতে হবে, ইনশাআল্লাহ।

 

 

লেখক: প্রফেসর ড. এস কে আকরাম আলী
সম্পাদক, মিলিটারি হিস্ট্রি জার্নাল

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়