a
ফাইল ছবি
ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো ম্যানচেস্টার সিটি। মঙ্গলবার রাতে তারা পিএসজিকে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠলো পেপ গুয়ারদিয়ালার শিষ্যরা।
মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠ ইতিহাদে আলজেরিয় ফরোয়ার্ড রিয়াদ মাহরজের জোড়া গোলে জয় পায় সিটিজেনরা।
ম্যাচে সিটির গোলপোস্ট বরাবর ১২টি শট নিয়েছে পিএসজি। লক্ষ্যেভেদ করতে পারেনি একটিও দলের সেরা সুপারস্টার ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র বেশ কয়েকবার সিটির রক্ষণভাগে আক্রমণ করলেও কাঙ্খিত দেখা পাননি।
ম্যাচের মাত্র সপ্তম মিনিটে পেনাল্টি পায় পিএসজির। কিন্তু ভিএআরের প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে রেফারি দেখেন, বল আলেকসান্দার জিনচেঙ্কোর ঘাড়ে লেগেছিল। ফলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তিনি। এর চার মিনিট পরই পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করে প্রথম গোল করেন মাহরেজ। সমতায় ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা করেপিএসজি। ৩৬তম মিনিটে নেইমারের বল পান আন্দার হেরেরা। কিন্তু তার নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে পৌছাতে ব্যর্থ হয়।
১-০ স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণাত্বক হয় সিটি। ৫৪তম মিনিটে ফিল ফোডেনের জোরালো শট রুখে দিয়ে পিএসজির নাভাস। কিন্তু তার ৯ মিনিট পর স্কোরার মাহরেজকে আটকাতে পারেনি পিএসজির রক্ষণ। ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে ডি ব্রুইনের সঙ্গে বল আদান-প্রদান করে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ফোডেন। এরপর বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রস করেন তরুণ এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। বাকি কাজটা সহজভাবেই সারেন আলজেরিয় ফরোয়ার্ড মাহরেজ। ২-০ তে এগিয়ে যায় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
বাকি সময় দুটি তো দূরের কথা একটিও শোধ করতে পারেনি নেইমারের দল। শেষ পর্যন্ত দুইলেগ মিলেয়ে ৪-১ এ জয় পায় সিটিজেনরা। রেফারির শেষ বাঁশিতে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতে উল্লাসে মাতে ম্যানসিটি ভক্তরা।
আগামী ২৯ মে ইস্তানবুলে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। সেখানে প্রথমবার ফাইনালে উঠা গার্দিওলার ম্যান সিটির প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা চেলসি।
ফাইল ছবি
পরিবারসহ লিওনেল মেসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বার্সেলোনাতেই থাকবেন। পুরোটা জীবন থেকে স্প্যানিশ এ ক্লাবে কাটিয়েছেন। বাকিটা সময়ও থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। বার্সেলোনা তাকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছে।
আজ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছেন তিনিও। বিদায় বেলায় বার্সেলোনার সতীর্থ ও স্টাফরা দীর্ঘসময় ধরে করতালি মেসিকে অভিবাদন জানান। সেই ভিডিও আপলোড করা হয়েছে বার্সেলোনার টুইটার অ্যাকাউন্টে। তাতে দেখা গেছে, ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদছেন মেসি।
এক বার্সেলোনা ভক্ত ভিডিওটি দেখার পর মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘বার্সেলোনা ভক্ত হিসেবে আমি এখনোই এমন মুহূর্ত দেখতে চাইনি।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘কষ্টদায়ক সমাপ্তি।’
সংবাদ সম্মেলনে মেসিও বলেছেন, এই মুহূর্তেই কিছুই চিন্তা করতে পারছি না। এ পরিস্থিতি আমার জন্য বেশ কঠিন। জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ আমি এখানে কাটিয়েছি। আমি এ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলাম আমরা এখানেই থাকতে যাচ্ছি। আমি বার্সেলোনায় থাকতে চেয়েছি।
উল্লেখ্য, মেসি ২১ বছর আগে ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় এসেছিলেন। গত ১৭ বছর ধরে খেলেছেন ক্লাবের জার্সিতে। এ সময়ের মধ্যে বার্সেলোনার জার্সিতে ৭৭৮ ম্যাচ খেলে ৬৭২ গোল করেছেন। ১০ বার জয় করেছেন লা লিগা। সাতবার জিতেছেন কোপা দেল রে কাপ। এ ছাড়া চারবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তিনবার উয়েফা সুপারকাপ, তিনবার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও সাতবার স্প্যানিশ সুপারকাপ জয় করেছেন মেসি।
ভিডিও লিংকঃ Rw4JVdZRwP4
ফাইল ফটো
ডিজিটাল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর ৫১ শতাংশ মালিকানা নিচ্ছে ডাক বিভাগ। বাকি ৪৯ শতাংশ শেয়ার থাকবে বেসরকারি খাতের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে। এর মধ্যে বিদেশি অংশগ্রহণও থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় নগদের উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
এতদিন ডাক বিভাগে নাম কোম্পানিটি ব্যবহার করছে কীভাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, এত দিন নগদের মুনাফার ৫১ শতাংশ পেত ডাক বিভাগ। তবে মালিকানা ও পরিচালনায় কোনো অংশগ্রহণ ছিল না।
অনুষ্ঠানে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ বলেন, সরকার নগদের ৫১ শতাংশ শেয়ার নেবে। এ জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের অপেক্ষায় আছে। সব প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে নগদ।
নগদের শেয়ার সোনালী ব্যাংক কিনছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। সোনালী ব্যাংক যে বিনিয়োগ করতে চেয়েছে, তা অনেক কম। তিনি জানান, যখন ৮০ কোটি লেনদেন ছিল, তখন নগদের ভ্যালুয়েশন ছিল প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এখন লেনদেন ৪০০ কোটি টাকা, ভ্যালুয়েশনও পাঁচ গুণ বেড়েছে।
নগদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ বলেন, নগদের গ্রাহক ও লেনদেনে সাম্প্রতিক সময়ে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত নভেম্বরে গ্রাহক ছিল ২ কোটি, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ। লেনদেনও ১৫০ কোটি থেকে ৪০০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা এমএফএস বাজারে নগদের শেয়ার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ।
সাম্প্রতিক বিজ্ঞাপন বিতর্ক নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিযোগী কোনো কোম্পানিকে ঘায়েল করার জন্য নয়। নতুনত্বের অংশ হিসেবে ‘ব’তে বেকুব ও ‘ন’তে নগদের বিজ্ঞাপন করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন নুর, নগদের অন্যতম মালিক ও সাপ্লাইচেইন ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম প্রমুখ।