a চিন্তা ও মননে এক আধুনিক মানুষের নাম দুর্গেশ চন্দ্র পত্রনবীশ
ঢাকা শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

চিন্তা ও মননে এক আধুনিক মানুষের নাম দুর্গেশ চন্দ্র পত্রনবীশ


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১, ১০:১১
চিন্তা ও মননে এক আধুনিক মানুষের নাম দুর্গেশ চন্দ্র পত্রনবীশ

দুর্গেশ চন্দ্র পত্রনবীশ

দুর্গেশ চন্দ্র পত্রনবীশ! নেত্রকোণার মানুষের কাছে 'লালুবাবু' হিসেবেই অধিক পরিচিতি। ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব, সাহিত্যিক, নাট্যাভিনেতা, সাংবাদিক,  শিক্ষক এবং খ্যাতি অর্জন করেছিলেন আইনজীবী হিসেবে। জীবনকে ছড়িয়েছেন এবং জড়িয়েছেন নানা মাত্রায়, নানা আঙিনায়।

ছিমছাম একহারা গড়নের প্রখর ব্যক্তিত্বের মানুষ ছিলেন দুর্গেশ চন্দ্র পত্রনবীশ। ১৯২১ সালের ১২ই এপ্রিল ময়মনসিংহ শহরের গিরীশ চক্রবর্তী রোডে মাতামহ আইনজীবী শরৎচন্দ্র অধিকারীর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন দুর্গেশ চন্দ্র পত্রনবীশ। মূল নিবাস নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বাড়রি গ্রামে। 

পিতা স্বর্গীয় রমেশচন্দ্র পত্রনবীশ, মাতা স্বর্গীয়া লাবন্য প্রভা দেবী। তাঁর পিতাও ছিলেন আইনজীবী এবং নেত্রকোণা শহরের নিউটাউনস্থ নিজ বাসভবনে থেকেই আইনপেশায় যুক্ত ছিলেন তিনি। পাঁচ ভাই (শৈলেশ চন্দ্র পত্রনবীশ, জিতেশ চন্দ্র পত্রনবীশ, দুর্গেশ চন্দ্র পত্রনবীশ, ভবেশ চন্দ্র পত্রনবীশ, জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র পত্রনবীশ) এবং দুই বোন (অতশী রায় ও নীলিমা চক্রবর্তী।) এর মধ্যে সন্তান হিসেবে চতুর্থ ও ভাইদের মধ্যে তৃতীয় দুর্গেশ চন্দ্র পত্রনবীশ।
 
মানুষের ভেতর একটি আহবান আছে। সেই আহ্বান রবীন্দ্রনাথের কথায়, 'দুর্গম পথের ভেতর দিয়ে পরিপূর্ণতার দিকে, অসত্যের থেকে সত্যের দিকে, অন্ধকার থেকে জ্যোতির দিকে, মৃত্যুর থেকে অমৃতের দিকে, দুখের মধ্যে দিয়ে, তপস্যার মধ্যে দিয়ে।' এই আহবান মানুষকে কোথায়ও থামতে দেয় না, 'চিরপথিক' করে রেখে দেয়।  দুর্গেশ পত্রনবীশ এই ডাক শুনতে পেয়েছিলেন। পেয়েছিলেন বলেই রয়ে গেলেন 'চিরপথিক' হয়ে। তাঁর জীবনাচরণ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে এই সত্যটি সহজেই বুঝা যায়। 

দুর্গেশ চন্দ্র পত্রনবীশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু নিজ গ্রামের বাড়রি স্কুলে (বর্তমানে বাড়রি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়)। সেখান থেকে প্রথম শ্রেণির পাঠ শেষ করে ১৯২৮ সালে নেত্রকোণা শহরের তৎকালীন খ্যাতনামা বিদ্যাপীঠ চন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে এ বিদ্যালয় থকেই ১৯৩৭ সালে প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। এরপর ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৩৯ সালে প্রথম বিভাগে আইএ এবং ১৯৪১ সালে বিএ পাশ করেন। 

রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকায় মাঝখানে কয়েক বছর লেখাপড়ায় ছেদ পড়ে। '৪৭ এর দেশ বিভাগের পর রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে কলকাতার দমদম কারাগারে বন্দি অবস্থাতেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৯৫২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাশ করেন দুর্গেশ পত্রনবীশ।
 
এর এক যুগ পর ১৯৬৪ সালে ঢাকা সিটি ল' কলেজ থেকে এলএলবি পাশ করে নেত্রকোণা বারে যোগ দিয়ে  আইনজীবি হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং দীর্ঘ ৪৫ বছর আইন পেশায় যুক্ত থেকে আইনজ্ঞ হিসেবে নিজেকে উত্তীর্ণ করেছিলেন ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠানে। দুর্গেশ চন্দ্র পত্রনবীশ ১৯৬০ সালে বগুড়ার এক রাজনৈতিক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের কন্যা মিনতি ভট্টাচার্যের (পরবর্তীতে পত্রনবীশ) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বৃটিশ খেদাও আন্দোলন, পাকিস্তান বিরোধী সংগ্রামে সেই পরিবারেরও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। এখনো প্রগতিশীল লড়াই সংগ্রামে সেই পরিবার বগুড়ায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করে। 

মিনতি ভট্টাচার্যের বাবার নাম ঋষিকেশ ভট্টাচার্য, মা সুষমা ভট্টাচার্য। বাবা ছিলেন আইনজীবী। এগার ভাই বোনের মধ্যে (৫ বোন ৬ ভাই) চতুর্থ সন্তান মিনতি ভট্টাচার্য আই এ পাশ করে বগুড়া ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ে এক যুগের অধিক সময় শিক্ষকতা করেন। 

দুর্গেশ চন্দ্র পত্রনবীশ কৈশোর ও যৌবন কাটিয়েছেন এমন একটি কালে যে সময়টিকে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন 'অসম্ভবের সম্ভাবনার যুগ'। একদিকে রাশিয়ায় সংঘটিত অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে ইতিহাসে প্রথমবারের মত মানুষের উপর মানুষের শোষনের অবসান ঘটিয়ে মানবমুক্তির অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায়, অন্যদিকে এর অভিঘাতে ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষনের নিগড়ে আবদ্ধ দেশোগুলোতে স্বাধীনতার আকাঙ্খা অভাবনীয়ভাবে তীব্র গতি লাভ করে। আর এর প্রভাবে এই সব দেশের মানুষের চেতনাগত উৎকর্ষতা এক অন্যমাত্রায় উত্তীর্ণ হয়। 

যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত হয়ে যায় তারা। ভারতীয় উপমহাদেশেও এর ঢেউ এসে লাগে ভালোভাবেই। অহিংস অসহযোগ, খেলাফত আন্দোলন, ভারত ছাড় আন্দোলনের পাশাপাশি বিপ্লবী লড়াই, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, নৌ বিদ্রোহ ইত্যাদির কারণে উপমহাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিত তখন টালমাটাল।
 
নেত্রকোণা শহরের নিউটাউনস্থ আইনজীবী পিতার বাসভবনে যাতায়াত ছিল তৎকালীন অনেক বিপ্লবীর। তাঁদের সংস্পর্শে এসে দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত হন দুর্গেশ পত্রনবীশ এবং দেশমাতার মুক্তি ও শোষণের নিগড় থেকে মানুষকে মুক্ত করার সংগ্রামে যুক্ত করেন নিজেকে। দেশ তখন ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল ভালোভাবেই। এ সময় নিউটাউনের বাসায় বিপ্লবীদের আনাগোনায় তাঁর মধ্যে স্বদেশ চেতনার সাথে সাথে সমাজতান্ত্রিক ভাবধারারও উন্মেষ ঘটে। 

তিনি সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই মানুষের সার্বিক মুক্তির উপায় হিসেবে মনে করেন এবং যোগ দেন নিখিল ভারত ছাত্র ফেডারেশনে, যে সংগঠনটি ছিল রেভ্যুলেশনারী সোশালিস্ট পার্টির (আরএসপি) সহযোগী ছাত্র সংগঠন।

নেত্রকোণায় তিনি আরএসপি'র শাখা গঠন করেন এবং  তাঁর কর্ম দক্ষতায় খুব দ্রুতই আরএসপি একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে নেত্রকোণায়। কর্মনিষ্ঠার কারণে দুর্গেশ পত্রনবীশ ১৯৪২ সালে যুক্তবাংলা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। কলকাতায় গ্রেফতার হলেন দুর্গেশ পত্রনবীশ। দীর্ঘ চার বছর কারাভোগের পর মুক্তি পান।
 
১৯৫৪ সালে পাকিস্তান জাতীয় কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোণার দশটি এবং কিশোরগঞ্জের আটটি থানা নিয়ে গঠিত বর্ণ হিন্দুদের জন্যে সংরক্ষিত প্রাদেশিক পরিষদের একটি আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করেছিলেন দুর্গেশ পত্রনবীশ। তখন পৃথক নির্বাচন পদ্ধতি প্রচলিত ছিল পাকিস্তানে। ১৯৫৬ সালে আবার তিনি গ্রেফতার হন।
 
আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করার প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় পুনরায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একদিকে অতিরিক্ত পরিশ্রম অন্যদিকে বারবার কারাবাসের ফলে স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে এবং মারাত্মকভাবে যক্ষায় আক্রান্ত হন তিনি। তখন যক্ষা রোগের তেমন কোনো চিকিৎসা ছিল না; বলা হতো 'যার হয় যক্ষা, তার নাই রক্ষা।' এ অবস্থায় চূড়ান্ত ঝুঁকি নিয়ে ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর এবং ফুসফুসের আক্রান্ত একটি অংশের পাশাপাশি পাঁজরের তিনটি হাড় কেটে বাদ দেওয়া হয়। এ ঘটনা দুর্গেশ পত্রনবীশের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপর সক্রিয় রাজনৈতিক  তৎপরতা থেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে।

আনন্দমোহন কলেজে অধ্যয়নকালীন ১৯৪০ সালে কলেজ ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৪৮-৪৯ সালে বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক ছিলেন কলকাতার সাউথ সুব্বার্ন হাইস্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন দুর্গেশ পত্রনবীশ। এরপর আবার তাঁকে কারাবরণ করতে হয় এবং ১৯৫৪ সালে কারাগার থেকে বের হয়ে করাচি থেকে প্রকাশিত 'গুডউইল' পত্রিকার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকাস্থ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে তাঁর সম্পাদনায় ঢাকা থেকে  প্রকাশিত  হয় 'সাপ্তাহিক জনতা'।

সাহিত্য চর্চার সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন দুর্গেশ পত্রনবীশ। কলকাতা থেকে প্রকাশিত 'প্রবাসী' পত্রিকায় তাঁর লেখা গল্প, প্রবন্ধ 'দ,চ,প' ছদ্মনামে নিয়মিত প্রকাশিত হতো। সিদ্ধার্থ মৈত্র ছদ্মনামে লিখেন উপন্যাস 'মিরা মিত্র', যা ১৯৬১ সালে প্রকাশিত হয় এবং বিদগ্ধ মহলে সাড়া জাগিয়েছিল। নেত্রকোণা থেকে প্রকাশিত 'উত্তর আকাশ' এবং 'সৃজনী' পত্রিকার সাথে যুক্ত থেকে সাহিত্যে চর্চায় যুক্ত থাকেন আজীবন।
 
শান্তিনিকেতনের বাইরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন প্রথম পালন করা হয়েছিল নেত্রকোণায়, রবীন্দ্র-স্নেহধন্য সংগীতাচার্য শৈলাজারঞ্জনের উদ্যোগে এবং আরেক প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তি সত্যকিরণ আদিত্যের নেতৃত্বে, ১৯৩২  সালে। সেই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করেছিলেন শিশু দুর্গেশ পত্রনবীশ এবং পরবর্তী সময়ে নেত্রকোণায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
 
১৯৭৩-১৯৭৪ সালে নেত্রকোণা সাধারণ গ্রন্থাগারের সম্পাদক ছিলেন। ২০০০ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন নেত্রকোণা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি। বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী হিসেবে ১৯৮৮ সালে নেত্রকোণা জেলা উদীচি শিল্পী গোষ্ঠী তাঁকে সম্মাননা প্রদান করে। নেত্রকোণা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন দুর্গেশ পত্রনবীশ।  

এছাড়াও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, নেত্রকোণা শিল্পকলা একাডেমি, পাবলিক লাইব্রেরি ও ডায়াবেটিক সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন দুর্গেশ পত্রনবীশ। ছিলেন নেত্রকোণা 'ল' কলেজের খন্ডকালীন অধ্যাপক ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজের আইন উপদেষ্টা। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে যুক্ত হয়েছিলেন ভিন্নধর্মী এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাটলির অন্বেষা বিদ্যালয়ের সাথে। আমৃত্যু তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি ছিলেন। ছিলেন প্রত্যাশা সাহিত্য গোষ্ঠীর উপদেষ্টা।

২০০৭ সালের ২৯ নভেম্বর ৮৬ বছর বয়সে রাত আনুমানিক ৯.৩৪ এ নেত্রকোণার নিউটাউনস্থ বড়পুকুর পাড়ের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী দুর্গেশ চন্দ্র পত্রনবীশ। মৃত্যুকালে স্ত্রী মিনতি পত্রনবীশ, দুই পুত্র শান্তনু পত্রনবীশ (আইনজীবী) এবং অতনু পত্রনবীশ(ব্যবসায়ী), দুই পুত্রবধূ এবং দুই নাতি ও এক নাতনিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গিয়েছিলেন তিনি। গত ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ৩টায় ৯১ বছর বয়সে না-ফেরার ভুবনে পাড়ি জমান স্ত্রী মিনতি পত্রনবীশ।

তিনি জীবনাচরণে, চিন্তা ও মননে ছিলেন আধুনিক, জীবন ঘনিষ্ঠ, দেশপ্রেমিক এবং আন্তর্জাতিকতাবাদী।


জন্মশতবার্ষিকীতে অপার শ্রদ্ধা---/স্বপন পাল

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কিছু হাসি কিছু কথা



শনিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ১০:২২
কিছু হাসি কিছু কথা

নিউটনের চতুর্থ সূত্রঃ

তুমি যদি ভোর ৬.০০ টায় অতিরিক্ত ৫ মিনিট
ঘুমানোর জন্য চোখ বন্ধ করো, চোখ
খুলে দেখবে যে ৭.৪৫ বাজে
কিন্তু যদি ক্লাসে বসে বোরিং লেকচার
শুনতে শুনতে ১২.৩০ টায় ৫ মিনিটের জন্যে চোখ
বন্ধ করো, চোখ খুলে দেখবে যে ১২.৩১ বাজে ।

<>.......বন্ধুর টা খাচ্ছি.........<>

এক চেইন স্মকার কে একদিন ২ টা সিগারেট
একসাথে জ্বালাতে দেখে এক
ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করলো , ” ভাই, শেষ
খাওয়া খাচ্ছেন নাকি? ”
লোকটি উত্তর দিল, আমার বন্ধু মারা জাওয়ার
আগে আমাকে বলে গিয়েছে ,’ দোস্ত, যখনি বিড়ি খাবি,
আম্র নাম করেও একটা খাবি”
এই জন্যেই ২ টা খাচ্ছি।
এর কিছু দিন পর একদিন তাকে ১ টি সিগারেট
খেতে দেখে লোকটি আবার জিজ্ঞাসা করলো ,
কি ভাই? বন্ধুর কথা ভুলে গেলেন নাকি?
লোকটির উত্তর,
ভাই, আমি সিগারেট খাওয়া ছেরে দিয়েছি । এখন শুধু
বন্ধুর টা খাচ্ছি।

মানুষ পরিবর্তনশীল

Picture

©শিক্ষকঃ  এটার
প্রমাণ
কে দিতে পারবে?

... ছাত্রঃ আমি পারব
স্যার?
শিক্ষকঃ বল।
ছাত্রঃ আমাদের পাড়ার
একজন যখন আমাদের
সাথে আড্ডা দিত তখন
তাকে বড় ভাই
বলে ডাকতাম। তারপর
তিনি যখন আমাদের
বাসায়
টিউশনি করতে এলেন
তখন তাকে স্যার
বলে ডাকতাম। এরপর
তিনি আমার
বোনকে বিয়ে করলেন,
এখন তিনি দুলাভাই


জাপান আর বাংলাদেশ

Picture

জাপানী আর বাংলাদেশি ২টা সাবান কারখানার ঘটনা (কৌতুক)

জাপানী কারখানা! পুরো কারখানাই অটোমেটিক। কোন মানুষ নেই, সব মেশিন...। একদিক দিয়ে সাবানের উপাদান দেওয়া হয়, আর আরেক দিক দিয়ে একদম প্যাকেট হয়ে সাবান বের হয়ে আসে।

কিন্তু একবার হলো কি, একটা সাবানের প্যাকেট বের হলো যেটায় কোন সাবান ছিল না। সেই প্যাকেট যেই না ক্রেতার হাতে গেলো, ক্রেতা অভিযোগ করলেন কোম্পানীতে। ব্যাস, আর যায় কোথায়? কোম্পানীর মালিকদ...ের মাথায় হাত! জাপানীরা ভাবে, "এরকম ভুল হলো কিভাবে??!! এরকম তো আর করা যাবে না। দেখো দেখো কি করা যায়..."

তো, সব কোম্পানীর মালিকরা একজোট হয়ে ৬ মিলিয়ন ডলার খরচ করে একটা মেশিন বসাল যা সাবানের প্যাকেট এক্সরে করে ওজন নিয়ে গন্ধ শুকে আগে থেকে নিশ্চিত হবে প্যাকেটে সবান আছে কিনা, তারপর সেটা রিলিজ দিবে।

একই সমস্যা ঘটল এবার এক বাংলাদেশি কারখানায়! কিন্তু বাংলাদেশি মালিকটি ছিলেন আবার খুব বুদ্ধিমান। তিনি ভাবলেন, ৬ মিলিয়ন ডলার খরচ করে ঐ মেশিন বসানো শুধু শুধু। তিনি করলেন কি, তার কারখানার যেদিক দিয়ে সাবান ভর্তি প্যাকেট বের হয়ে আসে সেখানে একটা ফ্যান লাগিয়ে দিলেন। ব্যাস আর কি... যে সাবানের প্যাকেটে সাবান থাকে না সেটা ফ্যানের বাতাসে উড়ে যায়... :)
--------------
বাংলাদেশিদের মেধা, বুদ্ধিই দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ...


এক যুবক বাড়ি ভাড়া খুঁজছে।

বাড়িওয়ালাঃ কাকে চাই?
–বাড়ি ভাড়া হবে?
–আপনি কি বিবাহিত?
–না।
–তাহলে যান। ব্যাচেলরদের কাছে আমি বাড়ি ভাড়া দেই না।
মালিক মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলেন। যুবক আবার দরজায় নক করল।
–আবার কী চাই?
–শুনুন, ব্যাচেলররা যদি এতই খারাপ তাহলে ব্যাচেলরদের কাছে মেয়ে বিয়ে দিবেন না যেন।

Kiss

প্রবাসী স্বামী তার স্ত্রীকে লেখা চিঠিতে লিখেছে,
প্রিয় সুইট হার্ট,
আমি এই মাসের বেতনের টাকা পাঠাতে পারছিনা, তাই তোমাকে ১০০ Kiss পাঠালাম।
ইতি তোমার স্বামী (অমুক)তার বউ কিছুদিন পর সে চিঠির উত্বর দিল এভাবে,
প্রিয় সুইট হার্ট,
তোমার পাঠানো Kiss গুলোর বিস্তারিত জানাচ্ছি।
১/ দুধ ওয়ালা ২টা Kiss বিনিময়ে এক মাসের জন্য দুধ দিতে রাজি হয়েছে।
২/ বিদ্য...ুত্ত বিল ওয়ালা ৭টা Kiss এর বিনিময়ে শান্ত হয়েছে।
৩/ বাড়ি এয়ালাকে প্রতিদিন দুইটা কিংবা তিনটা Kiss দিতে হচ্ছে।
৪/ সুপার মার্কেট মালিক শুধু Kiss তেই মানি রাজি নয়, তাই ……… (সেন্সর)
৫/ আর অন্যান্য খাতে ব্যায় হয়েছে ৪০ টি Kiss।
আমার জন্য কোন চিন্তা করোনা। বাকি রয়েছে ৩৫ টি Kiss। আমি আশা করছি সেগুলোও এই মাসেই ব্যাবহার করতে পারবো।
কি মন একটু ভাল হইছে? তাহলে একবার ঘুরে আসুন

কাস্টমার ফিডব্যাক

ম্যানেজমেন্ট এর ছাত্র টোকাইমামা ক্লাসরূম এর পাশের করিডোরে একটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরল

মেয়ে অবাক হয়ে বলল এটা কি হল???!!!

টোকাই মামা : ‘ ডাইরেক্ট মার্কেটিং জানু’

মেয়ে ঠাশ করে টোকাই মামার গালে এক চর বসিয়ে দিলো!!

টোকাই মামা : এটা কি হল??

মেয়ে : ‘ কাস্টমার ফিডব্যাক” !!!!

সাইকেল

বাবা-ছেলের মধ্যে কথা হচ্ছে--
বাবা: পরীক্ষায় এবার তুমি পাস-ফেল যাই করো না কেন, তোমাকে একটা সাইকেল কিনে দেব।
ছেলে: বাবা, তুমি খুব ভালো। তা কোন সাইকেল কিনে দেবে তুমি?
... বাবা: পাস করলে কলেজে যাওয়ার জন্য নতুন রেঞ্জার সাইকেল কিনে দেব।
ছেলে: আর যদি ফেল করি?
বাবা: তাহলে ভাঙাচোরা একটি সাইকেল কিনে দেব।
ছেলে: কেন?
বাবা: বাজারে ঘুরে ঘুরে যাতে তুমি দুধ বিক্রি করতে পারো।

এক ভদ্রমহিলা তিন তিনটে বিবাহযোগ্য কন্যা আছে ।

এক ভদ্রমহিলা তিন তিনটে বিবাহযোগ্য কন্যা আছে । অপূব সুন্দরী কিন্তু তাদের প্রত্যোকের একটি মুদ্রাদোষ আছে । সেটা ট মাত্রা উচ্চারন করে কথা বলার । যেমন টুমি কোঠায়? সেজন্য পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে বলে ঠিক করেছে । তাদের মা বললেন পাত্রপক্ষ দেখার সময় যেন কো কথা না বলে যা জবাব দেবার মাই দেবেন। যথাসময় পাত্রপক্ষ হাজির । মেয়ে তিনটি দেখার পর বললেন - আহা কি সুন্দর মেয়েগুলো । যেমন নাক , চোখ , তেমনি মেঘবরন চুল।

পাত্রপক্ষ চুলের প্রসংশা করতে হঠাৎ একটি মেয়ে ফস করে বললেন - টবু টো টুলে টেল দিইনি। দ্বিতীয়জন বলল- এই ডি ডি টুই যে বললি যে ? তৃতীয়জন বললেন- আমি বেশ টুপটাপ।
মজা পাইলে লাইক মাইরা বুজাইয়া দেনঃপি

কমিশনার সাহেব

কমিশনার সাহেব বাসায় আছেন ?
: কেন ?
: আমার একটা চারিত্রিক সার্টিফিকেট দরকার |
: তিন মাস পরে আসেন, উনি নারীঘটিত কেসে ছয় মাসের জেলে আছেন ||
মজা পাইলে লাইক মাইরা বুজাইয়া দেনঃ

তিন বন্ধু

এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে রাগতভাবে বলছে,''আর একটা ফালতু কথা বলবি,থাপ্পড় দিয়ে তোর ৬৪ দাতঁ ফেলে দেবো।"
সেটা শুনে তাদের আরেকটা বন্ধু বলে উঠল, "দুস্তো,আগে জানতাম,মানুষের দাত থাকে খুব বেশি হলে ৩২ টা,আর তুই কিনা তাকে বলছিস,"থাপ্পড় দিয়ে তোর ৬৪ দাতঁ ফেলে দেবো???"
তখন ১ম বন্ধু ৩য় জনকে বলল,"আমি আগেই জানতাম তুই মাঝখানে এসে নাক গলাবি,তাই তোরটা সহ হিসাব করে বলেছি।"

বতমান যুগের শিশু!!! আব্দুস সাত্তার ওয়াশিংটন:

Picture

অনেক মা-বাবাকেই বলতে শোনা যায়, আমার ছেলে বা মেয়েটা পড়াশোনায় একদম মনোযোগী নয়। বই নিয়ে বসতেই চায় না। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বেশিক্ষণ টিভি দেখা, কম্পিউটারে বা টিভিতে গেমস...্ খেলা। কিছুদিন আগেও শিশুদের মুটিয়ে যাওয়া বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে অতিরিক্ত টিভি দেখা বা ভিডিও গেমস্ খেলাকে দায়ী করা হলেও এর সাথে যোগ হয়েছে আরো একটি নতুন গবেষণার ফলাফল। যেসব শিশু প্রতিদিন দু’ ঘন্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় ধরে টিভি দেখেছে বা ভিডিও গেমস্ খেলেছে তারা অন্যদের তুলনায় শ্রেণী কে উল্লেখযোগ্য হারে কম মনোযোগী।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন টিভি বা ভিডিও গেমসের ছবিগুলো খুব দ্রুতগতিতে ও অতিমাত্রায় পরিবর্তিত হয়। ফলে তা বাড়ন্ত শিশুদের মস্তিষ্কে এক ধরনের প্রভাব ফেলে। এতে শিশুরা চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে যায় এবং পড়াশোনায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। এ ধরনের শিশুদের কেউ কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে বললে তারা সেটা অতোটা গুরুত্ব সহকারে নেয় না। পর মুহূর্তেই ভুলে যায়। ফলে তারা শুধু পড়াশোনা নয়, সবেেত্রই অমনোযোগী হয় উঠে। আর এই অমনোযোগিতা তাদের ঠেলে দেয় কাসের পেছনের সারিতে।

আগের গবেষণা পর্যালোচনা করলে আরো দেখা যায়, শিশুরা বেশি মাত্রায় টিভি দেখলে বা ভিডিও গেমস্ খেললে বেশির ভাগ সময়ই শুয়ে-বসে কাটায়। ফলে তাদের শরীরে ধীরে ধীরে মেদ জমতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা মুটিয়ে যায়। শরীরে মেদ বাড়লে রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয়ে যায় এবং শরীরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের রক্তনালিতে খাদ্য কনা পৌঁছাতে পারে না। ফলে সেসব অঙ্গ অপুষ্টির শিকার হয়। এতে দেখা যায় স্বাভাবিক ওজনের শিশুর তুলনায় মুটিয়ে যাওয়া শিশুরা কম বুদ্ধিমান হয় এবং কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে বা কোনো কিছু মনে করতে তারা তুলনামূলকভাবে বেশি সময় নেয়। এভাবেই তারা সব কিছুতেই ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়তে থাকে। চালচলনেও তারা অপোকৃত ধীর গতি সম্পন্ন হয়ে থাকে।

তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো থেকে দেখা যাচ্ছে শিশুদের অতি মাত্রায় টিভি দেখা বা ভিডিও গেমস খেলার ফলাফল মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। এ ব্যাপারে মা-বাবাদেরও রয়েছে বিরাট ভূমিকা। বিজ্ঞানীদের মতে, মা-বাবা বেশি মাত্রায় টিভি দেখলে এর প্রভাবও বাচ্চাদের উপর পড়ে। মা-বাবা একটা নিয়ম করে দিতে পারেন যাতে তারা প্রতিদিন দু’ ঘন্টার বেশি এগুলোতে সময় ব্যয় না করে। পাশাপাশি অতিরিক্ত টিভি দেখা ও ভিডিও গেমস্ খেলার ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে শিশুদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন এবং তাদের বুঝিয়ে বলতে পারেন। এছাড়া যে সময় শিশুরা বেশি মাত্রায় টিভি দেখে ও ভিডিও গেমস্ খেলে থাকে ওই সময় তাদের অন্যান্য খেলাধুলার প্রতি উৎসাহিত করা যেতে পারে। এতে যেমন তারা অমনোযোগী হওয়া থেকে মুক্ত থাকবে তেমনি মুটিয়ে যাওয়া বা বুদ্ধির বিকাশ কমে যাওয়া থেকেও নিজেদের রক্ষা করতে পারবে সহজেই। এ ব্যাপারে সব মা-বাবারই সচেতন হওয়া দরকার!!!


 

Picture

হযরত আবু যর (রা) বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হলাম। এরপর তিনি দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করলেন!শেষ পর্যায়ে আমি আরয করলাম- ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে খোদা-ভীতির উপদেশ দিচ্ছি। কেননা এটা তোমার যাবতীয় কাজকে অধিক সৌন্দর্যমণ্ডিত করবে। আমি বললাম, আরও অধিক কিছু বলুন। তিনি বললেনঃ কোরাআন তেলাওয়াত ও মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্‌ তা'আলা...র যিকিরকে নিজের জন্য বাধ্যতামূলক করে নাও। এটা তোমার ঊর্ধ্ব আকাশে স্মরণযোগ্য এবং পৃথিবীতে তোমার জন্য আলো হবে। আমি পুনরায় বললাম, আরও বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ নীরবতা দীর্ঘ কর। কেননা এটা শয়তানকে দূরে সরিয়ে দিবে এবং দীনী কাজে তোমার সহায়ক হবে। আমি আরয করলাম, আরও বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ অধিক হাসা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর। কেননা এটা অন্তরকে মেরে ফেলে এবং চেহারার জ্যোতি বিদূরিত করে দেয়। আমি আরয করলাম, আরো বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ ন্যায় কথা বল! যদিও তা (কারো কাছে) তিক্ত হয়। আরয করলাম, আরো বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ আল্লাহর রাস্তায় কাজ করতে কোনো নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করো না। আরয করলাম, আরো বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ তোমার মধ্যে যে দোষ-ত্রুটি তুমি জান , তা যেন তোমাকে অন্য লোকের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা থেকে তোমাকে বিরত রাখে।

{ বায়হাকী, মিশকাতঃ ৪১৫}


কেন নামাজ আদায় করা ফরজ।

Picture

কেন নামাজ আদায় করা ফরজ।

[ লেখাটি একটু বড় বিধায় ধৈর্য সহকারে পড়ুন ;
আপনার মূল্যবান সময় অপচয় হবেনা কথা দিলাম ]

মহান আল্লাহপাক মানুষ ও জ্বীন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তার ইবাদাত করার জন্য।
একাবিংশ শতাব্দীর এই যুগে যখন বিজ্ঞান তার উৎকর্ষতার সর্বশ্রেষ্ঠ সময় অতিবাহিত করছে মানুষের মনে আজ এই প্রশ্ন আসতেই পারে কেন মাহান রাব্বুল আলামিন মানুষের জন্য নামায ফরজ করে দিল এবং কেন নামায আদায়ের ব্যাপারে এত বেশি তাগিদ দিলেন?

গভীর ভাবে বিশ্লেষন করলে এই প্রশ্নের উত্তরে ৪টি বিভাগ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়।
তা হলঃ
১. আধ্যাত্মিক বিভাগ,
২. রাজনৈতিক বিভাগ,
৩. সামাজিক বিভাগ এবং
৪. বৈজ্ঞানিক বিভাগ।

১. আধ্যাত্মিক বিভাগঃ
পৃথিবীর সব কর্মকান্ড থেকে নিজেকে আড়াল করে মানুষ যখন নামাযে দন্ডয়মান হয়ে যায় তখন আল্লাহর সাথে মানুষের আত্মিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। যা আধ্যাত্মিক বিভাগ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

২. রাজনৈতিক বিভাগঃ
রাজনৈতিক বিভাগে বলা হয় যখন মুয়াজ্জিনের আহ্বানে মানব সকল নামাযের জন্য একত্রিত হয় তখন তাদের মধ্যে থেকে
একজনকে ইমাম নির্বাচিত করা হয়। কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে নামায কায়েমের মধ্যে নিহিত রয়েছে প্রকৃত আধুনিক গণতন্ত্র।

৩. সামাজিক বিভাগঃ
নামায আদায়ের জন্য যখন সবাই ইমামের পিছনে সারিবদ্ধ হয় তখন কে ধনী, কে গরীব, কে কাল, কে ফর্সা ইত্যাদির বিচার করা হয়না বরং সমগ্র মানব জাতীকে একটি প্লাটফর্মে দাড় করিয়ে সুন্দর শান্তিপূর্ণ এক নতুন সমাজ নির্মানে নামায সহায়তা করে।

৪. বৈজ্ঞানিক বিভাগ
বৈজ্ঞানিক বিভাগ নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা সম্ভাব নয়।
শুধু মাত্র একটি বিষয় নিয়ে বলার চেষ্টা করব।
মহান রাব্বুল আলামীন বলেন সুন্দর আকৃতি প্রদান করতে মানব দেহ কে এমন ভাবে গড়েছেন যে এর গঠন যেমন বিচিত্র তেমনই এর বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কাজ করার ধরন বিচিত্র।

মানব দেহে ২০৬খান হাড় আছে আর ৩৬০ জোড়া সন্ধি আছে যেগুলো নিয়মিত নড়াচড়া করা অপরিহার্য।
মানব দেহ এমনভাবে তৈরী যেখানে আমাদের মুখম্ডল ও মস্তিস্ক হৃদপিন্ডের উপর অবস্থান করে।
যদি না ইচ্ছাকৃত কেহ মাথানত না করে।
হৃদপিন্ড মানুষের দেহের বাম পাশে অবস্থান করে।
যার কাজ হলো সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক প্রেসার তৈরী করে সমগ্র দেহে রক্ত সঞ্চালন করে।
হৃদপিন্ড যখন রক্ত ছেড়ে দেয় তখন নিউটনের মহাকর্ষন সুত্রানুসারে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে অর্থাৎ পৃথিবীর আকর্ষনে হৃদপিন্ডের অবস্থান থেকে মানব দেহের নিচের দিনে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়।
আর হৃদপিন্ডের অবস্থান হতে উপরের দিকে অর্থাৎ মুখমন্ডলে ও মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চলন করতে হৃদপিন্ডটিকে অভিকর্ষ বলে বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়।
ফলে উদ্ধাঙ্গ পর্যাপ্ত পরিমান রক্ত পায়না।
মানবদেহের সবচাইতে গুরুপ্তপূর্ণ স্নায়ুতন্ত্র যা মানবদেহের সমস্ত কর্মকান্ডের সমন্বয় সাধন করে।
স্নায়ুতন্ত্র গঠনের একক হলো নিউরণ।
খুলি গহ্বরস্থিত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অংশকে মস্তিস্ক বলে।
মহান আল্লাহ্ মানব জাতিকে উন্নত মস্তিস্ক প্রদান করেছেন যার সাহায্যে নিজস্ব বুদ্ধি বিবেচনার মাধ্যমে দৈনন্দিন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারে।
বিধান মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখা অপরিহার্য।
নামাযই মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখার উৎকৃষ্ট পন্থা।
নামাযরত অবস্থায় মানুষ যখন রুকুতে যায় তখন মেরুদন্ডের ৩৩ টি কশেরুকা সক্রিয় হয় এবং হাতে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে ফলে মানব দেহ অটুট থাকে।
মানুষ যখন জমিনে তার কপাল স্পর্শ করে একমাত্র মহান আল্লাহর প্রতি আত্নসমর্পণ করে তখন তাকে সিজদা বলে।
আর ঠিক তখনই হৃদপিন্ডটি মুখমম্ডল এবং মস্তিস্কের উপরে চলে যায় ফলে অভিকর্ষ বলে প্রভাবে অতি সহযেই মস্তিস্ক প্রয়োজনীয় রক্ত পায় এবং মস্তিস্কের অতি সুক্ষ কৌশিক জালিকায় রক্ত প্রবাহিত হয় তখন নিউরনগুলে সঠিকভাবে কাজ করে।
মস্তিস্ক সক্রিয় থাকায় উন্নত চিন্তা করার মত অবস্থা তৈরি হয়।
সুতরাং নামাযের মধ্যে শারীরিক কল্যাণ যেমন নিহিত ঠিক তেমনি পরকালীন মুক্তি অবশ্যম্ভাবী।

••• এবার ছবিটিতে লক্ষ্য করুন •••
শরীর ভালো লাগছে না, কাপড় ঠিক নে
 


ব্যুফেতে গিয়া কেমনে জাইত্যা পেটের ভিতরে ঠুসাইবার চান

Picture

ভোজন রসিকরা সর্বদা "খাওয়ার আগে মাইরের পিছে" নীতিতে পূর্নাঙ্গ ভাবে বিশ্বাসী....যারা এই নীতিতে বিশ্বাসী তাদের জন্য একজন ভোজন যোদ্ধার গবেষনার আলোকে ব্যুফেতে গিয়া কেমনে জাইত্যা পেটের ভিতরে ঠুসাইবার চান তা নিয়া ১২ টি পয়েন্ট উল্লেখ করা হইল।

১/ ব্যুফে খাওয়ার সর্বপ্রথম অলংঘনীয় যে নিয়ম সেটি হল সংগী নির্বাচন।
খাদক ভাইদের ক্ষেত্রে একটি সতর্কীকরন হইল গার্লফ্রেন্ড নিয়া জিন্দেগীতে ব্যুফে খাইতে যাবেন না। ইফ যদি আপনার গার্লফ্রেন্ড ভোজন প্রেয়সী না হয়। তানইলে ইট্টু পর পর খালি তেনা পেচাইব। কইব এই তুমি এরকম অসভ্যের মতন খাচ্ছ কেন?, ঐ লোকটা আমাদের দিকে এভাবে তাকায় আছে কেন? আমরা কি বেশি খাচ্ছি নাকি? ইত্যাদি আজাইরা পেচাল পাইরা কনসেন্ট্রেশনের মায়রে বাপ কইরা ছাইরা দিব। বেস্ট অপশন হইল নিজের চেয়ে বড় খাদক কে সংগী হিসেবে নির্বাচন করা। এতে প্রতিযোগিতার আবেশ তৈরি হয় এবং বেশি খাওয়ান যায়।

২/ আগেই কইছি "খাওয়ার আগে মাইরের পিছে", এইটা ভুলা যাইবনা...ঢাকার ব্যুফে রেস্টুরেন্ট গুলির লান্চ বা ডিনারে নির্দিস্ট সময়সীমা থাকে। সাধারনত ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় বেধে দেয়া থাকে। এক্ষেত্রে সময় শুরু হবার আধা ঘন্টা আগে গিয়া জায়গা দখল করতে হইবে। প্রশ্ন উঠিতে পারে আধা ঘন্টা কি করিবেন। এসময় খালি নাকের ব্যবহার করতে হইবে। আপনার নস্ছাদ্র দিয়া চোষ্য চর্ব লেহ্য পেয় এর সুঘ্রাণ আপনার পরিপাক তন্ত্রে গিয়া অবিরাম আঘাত হানিতে থাকিবা যাহা বেশি খাইবার পক্ষে সহায়ক। ব্যফে টাইম শুরু হইবার সাথে সাথে বিসমিল্লাহ বইলা কোদালের মত ঝাপাইয়া পরবেন। তানাইলে আসল আইটেমে এ শর্ট পইরা যাইব নিশ্চিত।

৩/ ব্যুফেতে জিন্দেগীতে স্যুপ খাইবেন না দুইটা কারন
# স্যুপটা জঘণ্য হয়
# স্যুপ আপনার ক্ষিদা অকালে ধংস করবে অত্যন্ত ক্রুর ভাবে

৪/ব্যুফেতে সালাদ ই থাকে ১২-১৫ ধরনের...২/১ টা ছাড়া বাকিগুলার ধার দিয়াও হাটবেন না।

৫/ ভাত, ফ্রাইড রাইস এবং নুডুল বা পাস্তা অত্যন্ত অল্প পরিমানে চেখে দেখবেন।

৬/সালাদের মত মেইন ফুডেও আজাইরা কিছু আইটেম থাকে ঐগুলার দিকে ফিরাও তাকাইবেন না

৭/ এক ফোটাও পানি খাইবেন না

৮/ ভুলেও লজ্জা পাবেন না, মনে রাখবেন লজ্জা পাইছেন তো ধরা খাইছেন।

৯/ এই পয়েন্টটা ৩/৪ নম্বরে আলোচনা করা উচিত আছিলো, যাউক্গা বেপার না। এই পয়েন্ট টা খাওয়ার আগে অবশ্যই এপ্লাই করতে হইবেক সেটা হইলো খাওয়া শুরু কইরবার আগে অবশ্যই একবার পুরা আয়োজন ঘুরিয়া দেখিতে হইবে কারন দেখা গেল আজাইরা আইটেম পেটের মধ্যে ঢুকাইয়া জায়গা মাইরা দিতাছেন পরে মজার জিনিষের জায়গা নাই

১০ পোষাক নির্বাচন: আপনার সবচেয়ে ঢিলেঢালা প্যান্টটা বের করে পরে ফেলুন। তার উপর ছেড়ে দিন টি-শার্ট। ভুলেও ইন করবেন না আর বেল্টরে ব্যবহার এই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বর্জণীয়।

১১/ ভুলেও ওয়েটারদের সাথে আই কন্ট্যাক্ট না করা। অনেক ওয়েটার আছে আপনার পারফরমেন্স দেখে আগলি লুক দিতে পারে। সেটা দেখলে আবার আপনার উদ্যম কমে যেতে পারে।


১২/ লাস্ট বাট নট দ্যা লিস্ট যেহেতু সবার আগে গেছেন সেহেতু আপনার হাতে পুরা টাইম ই আছে। তাই পুরা সময় যত্ন সহকারে ব্যয় করিবেন খাওয়া পিছনে। যখনি দেখবেন যে টান্কি পুরা ফুল তখন ৫/১০ মিনিট কাল ব্যাপী জিরাইয়া লইবেন আর চিন্তা করিবেন যে শালা ৮০০ টাকা দিলাম আর কিছুই তো খাইলাম না...দেখবেন যে টাকার আফসুসে পেটের ভিতরে মিনিমাম হাফ লিটার জায়গা খালি হইয়া গেছে


পরীক্ষায় T20 FORMAT প্রণয়ন: 

Picture

• পরীক্ষার সময় ১ ঘন্টা এবংmark ৫০

• প্রত্যেক ২০ মিনিট পর বিরতি (Strategic Time-out)
... ...
• প্রত্যেক uncommon প্রশ্ন answer এর
জন্য free hit mark.

• প্রথম ৩০ মিনিট powerplay। এসময় কোন
শিক্ষক পরীক্ষার হলে থাকবে না ।

• কোন ছাত্রকে নকলের কারণে বহিষ্কার
করা হলে সে এই decision এর বিরুদ্ধে hall
super (third umpire) এর নিকট appeal
করতে পারবে (DRS) ।

• কোন ছাত্র যদি সময়ের আগে খাতা জমা দেয়
তাহলে তার জন্য বোনাস mark ৫।

• প্রত্যেক room ই cheer girl থাকবে। যখনই
extra paper নেওয়া হবে তারা নাচবে ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাঁধন-মিথিলাকে নিয়ে যা বললেন জয়া


বিনোদন ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৯ আগষ্ট, ২০২১, ১১:১৭
বাঁধন-মিথিলাকে নিয়ে যা বললেন জয়া

ফাইল ছবি

জয়া আহসান বাংলাদেশী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। ঢাকাই চলচ্চিত্রে বেশ ভালো কিছু সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মাত্রই কয়েক বছর হল বাংলাদেশে ছাড়াও কলকাতার বেশকিছু চলচ্চিত্রে দেখা যাচ্ছে এই অভিনেত্রীকে। ওপার বাংলাতেও দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই অভিনেত্রী।

জয়া আহসানের মতো ওপার বাংলার সিনেমায় নাম লেখিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ও রাফিয়াথ রশীদ মিথিলা। সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত বাঁধন অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’। কয়েক দিন আগে মুক্তি পেয়েছে এটি। মুক্তির পর থেকে দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন এই অভিনেত্রী। অন‌্যদিকে মিথিলা ‘মায়া’ সিনেমার মাধ‌্যমে টলিউডে পা রাখতে যাচ্ছেন। শুটিং সেট থেকেই প্রশংসা কুড়াতে শুরু করেছেন এই নায়িকাও।

কলকাতার সিনেমায় বাঁধন-মিথিলার অভিনয় প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ‌্যমে কথা বলেছেন জয়া আহসান। শুরুতে এই অভিনেত্রী বলেন—‘আমার তো খুব আনন্দ হচ্ছে।’ কিন্তু এতে জয়া আহসানের প্রতিদ্বন্দ্বী বাড়ছে না তো?

এ বিষয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘প্রতিযোগিতা হিসেবে ভাবলে, যে কোন কাজে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকা অবশ্যই ভালো। আমার মতে, শিল্পের কোনো সীমারেখা থাকা উচিত নয়। আদানপ্রদান তো শিল্পীদের মাধ্যমেই হয়। আমি চাইব আরো বেশি মানুষ আসুক বাংলাদেশ থেকে, এখানে কাজ করুক। আর শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীই নন, পরিচালকরাও আসুক। এখানে সিনেমা তৈরি করুক। আমারও দল ভারী হবে বইকি!’

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook