a
ফাইল ছবি
শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে মেসির ঠিকানা এখন ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে। মাঝে অন্য ক্লাব থেকে কিছু অফার আসলেও শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সেই গেলেন ফুটবলের এই মহাতারকা। ক্লাব ছাড়ার পর লিওনেল মেসি পিএসজির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। চাইলে আরো এক বছর চুক্তি বাড়ানোর অপশন রয়েছে চুক্তিতে।
চুক্তির পর পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি বলেছেন, ‘আমি আনন্দিত; মেসি প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে যোগ দিয়েছেন। প্যারিসে তাকে এবং তার পরিবারকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।
মেসির চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই প্রতি মিনিটে হাজারেরও বেশি ফলোয়ার বাড়তেছে ফরাসি এই ক্লাবটির। পিএসজি তাদের ওয়েবসাইটে এ চুক্তির তথ্য নিশ্চিত করেছে। সেখানে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে মেসি প্রতি সিজনে ৩৫ মিলিয়ন বেতন পাবেন যা ক্লাবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, দ্বিতীয় ২৯ মিলিয়ন সর্বোচ্চ বেতন পাবেন নেইমার জুনিয়র।
ক্লাবের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে মেসি বলেন, 'পিএসজিতে আমার ক্যারিয়ারের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত'। গুঞ্জন ছিলো ১৯ নম্বর জার্সি পড়ে খেলবেন মেসি চুক্তির পর নিশ্চিত করা হয় মেসি তার ক্যারিয়ারের শুরুর ৩০ নম্বর জার্সিতে মাঠ মাতাবেন। আজ বুধবার বিকেল ৩টায় মেসিকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করবে পিএসজি।
বার্সেলোনার পর পিএসজি (প্যারিস সেন্ট জার্মেই) মেসির পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ক্লাব। আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্ম নেওয়া মেসি মাত্র ১৩ বছর বয়সে যোগ দিয়েছিলেন বার্সেলোনায়।
প্রথম চার বছর বয়সভিত্তিক ও যুব দল এবং শেষ ১৬ বছর মূল দলে খেলেছেন তিনি। আরও কয়েক বছর কাতালান ক্লাবটিতে খেলার ইচ্ছা থাকলেও লা লিগার আর্থিক বিধি ও ক্লাবের ঋণের বোঝার কারণে তার সঙ্গে নতুন চুক্তি করেনি বার্সা। গত বৃহস্পতিবার বার্সেলোনার পক্ষ থেকে চুক্তি না করার বিষয়টি প্রকাশ হতেই তার কাছে প্রস্তাব নিয়ে যায় পিএসজি।
পিএসজি এবার শক্তিশালী দল গঠন করেছে দলে আছেন ব্রাজিলিয়ান নেইমার ফ্রান্সের এমবাপ্পে আর সদ্য যোগ দেওয়া লিওনেল মেসি। সবমিলিয়ে এই মৌসুম থেকে পিএসজি হয়ে উঠল ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। যাদের একটাই স্বপ্ন, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা। এই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যেই বিশ্বরেকর্ড গড়ে নেইমার ও এমবাপ্পেকে নিয়ে এসেছিলো পিএসজি। এবার মেসিকে টেনে বাজিমাত করল দলটি। নামের প্রতি সুবিচার করলে এই মৌসুমে ইউরোপের রুপালি মুকুট উঠতে পারে পিএসজির মাথায়।
ফাইল ছবি
জার্মান বুন্দেস লীগা, ইতালির লীগ সিরি আ তে ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে লীগ শিরোপা ইপিএলেও অনেকটা নিশ্চিত ম্যানস্টার সিটি জিতবে লীগ শিরোপা। এদিকে স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা কে জিতবে তা নিয়ে চলছে চরম রোমাঞ্চ। সর্বশেষ পয়েন্ট তালিকা অনুযায়ী লিগ শিরোপা জন্য এখনো দৌড়ে টিকে আছে অ্যাথলেটিকা মাদ্রিদ, বার্সোলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। তবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা এটিএম কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
বার্সোলোনা ও অ্যাথলেটিকা মাদ্রিদ ড্রয়ের পর সৌভাগ্যের দুয়ার খুলেছিল রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠার কিন্তু সেভিয়ার সাথে ড্র করে সে আশা পুরনে ব্যর্থ হয় জিদানের শীষ্যরা। ইতোমধ্যেই তিন দলেরই ৩৫টি করে ম্যাচ শেষ হয়েছে বাকি আছে ৩টি করে ম্যাচ ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এটিএম ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তিনে থাকা কোয়েমেনের বার্সোলোনার পয়েন্ট ও ৭৫ মুখোমুখি লড়াই রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে থাকায় তারা আছে ২ নম্বরে। তিন দলই যদি শেষ তিন ম্যাচ জিতে তাহলে লা লীগা জয় করবে অ্যাথলেটিকা মাদ্রিদ।
লা লীগায় দুদলের পয়েন্ট সমান হলে হিসাব করা হয় মুখোমুখী লড়াইয়ে কে বেশি জিতেছে, যে বেশি জিতে সে ই চ্যাম্পিয়ন হয় সেদিক থেকে এগিয়ে থাকবে রিয়াল মাদ্রিদ তারা মুখোমুখি লড়াইয়ে বার্সার সাথে দুইম্যাচে দুইটাতেই জয় এবং এটিএমের সাথে একটা ড্র আর একটাতে জয় আছে তাদের। তিন দলের পয়েন্ট সমান হলে শিরোপা জিতে নিবে রিয়াল মাদ্রিদ। তখন দ্বিতীয় হবে অ্যাথলেটিকা মাদ্রিদ আর বার্সা হবে তৃ্তীয়। রিয়াল আর বার্সা যদি কোন ম্যাচে হোচট খায় তাইলে সিমিওনির দলের শিরোপা পুরোপুরিই নিশ্চিত হয়ে যাবে।
বার্সাকে লীগ শিরোপা জিততে হলে তিন ম্যাচ অবশ্যই জিততে হবে এবং রিয়াল ও অ্যাথলিটাকার পয়েন্ট হারানোর দিকেও চেয়ে থাকতে হবে। দুর্দান্তভাবে লীগ শুরু করা এটিএম মাঝখানে হোচট না খেলে তারা এখন নিশ্চিত শিরোপা উদযাপন করত। অপরদিকে রিয়াল বার্সার ঘুড়ে দাঁড়ানোয় দারুনভাবে জমে উঠেছে লা লীগা।
file image
রাজশাহী মহানগরীর নামোভদ্রার জামালপুর আবাসিক এলাকায় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে নকল ওষুধের কারখানার সন্ধান পেয়েছে। এ সময় চারটি নামি দামী কোম্পানির বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও ওষুধ তৈরির কাঁচামালসহ জব্দ করা হয়েছে ওষুধ তৈরির একটি মেশিন। অভিযান চলাকালে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয় নকল ওষুধ তৈরির ওই কারখানায় (বাসায়)। নগরীর নামোভদ্রা জামালপুর এলাকার মৃত আনসার আলীর ছেলে আনিসুর রহমান (৪২) আটক।
অভিযানকালে মহানগর ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রাকিবুল ইসলাম জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ওই বাসায় তৈরি করা হয় নকল ওষুধ। এছাড়া আমরা অভিযোগ পেয়েছি, সেখান থেকে নকল ওষুধ সরবরাহ করা হয় বিভিন্ন দোকানে এবং ভুক্তভোগীরা বলেন বিভিন্ন দোকানে থেকে ওষুধ কেনার পর সেটি যে নকল তা বুঝতে পারেন। আমরা এমন অভিযোগের ভিত্তিতেঅনুসন্ধান শুরু করি।
আমরা অনুসন্ধানে জানতে পারি, রাজশাহীর বিভিন্ন জায়গায় এমন কারখানা আছে, ভেজাল ওষুধ উৎপাদন করা হয় যেখানে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই বাসায় অভিযান চালাই আমরা। অভিযান পরিচালনার সময় বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির যে সকল ওষুধ মার্কেটে বেশি বিক্রি হয় বিভিন্ন দোকান থেকে সেসব বিপুল পরিমাণে নকল ওষুধ উদ্ধার করি। যার কারণে আমরা এই কোম্পানির মূল মালিককে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
আটক আনিসুর জানান, তিনি ঢাকা থেকে নকল ওষুধ উৎপাদন মেশিনটি নিয়ে এসে দীর্ঘ ১ বছর ধরে নকল ওষুধ তৈরি করে বিক্রি করছেন। রাজশাহী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি বিক্রি করে আসছেন নকল ওষুধ। অনেকটা নির্জন এলাকার অবস্থিত নিজের বাড়িতে মেশিন বসিয়ে চারটি নামি দামী কোম্পানির নকল ওষুধ তৈরি করা হতো। অভিযানের এক সময় বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ ও ওষুধ তৈরির কারিগরকেও আটক করা হয়েছে। ওষুধের পরিমাণ কত তা এখনই সঠিক বলা যাচ্ছে না। তিনি জানান এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।