a রোমাঞ্চ ছড়িয়ে লা লিগার শিরোপা জিতলো এটলেটিকো মাদ্রিদ
ঢাকা সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে লা লিগার শিরোপা জিতলো এটলেটিকো মাদ্রিদ


ক্রীড়া ডেস্ক :
রবিবার, ২৩ মে, ২০২১, ১১:৩২
রোমাঞ্চ ছড়িয়ে লা লিগার শিরোপা জিতলো এটলেটিকো মাদ্রিদ

ফাইল ছবি

২০২০-২১ সিজনে শত রোমাঞ্চের ইতিটেনে শেষ ম্যাচে এসে শিরোপা নিশ্চিত করলো স্প্যানিশ দল এটলেটিকো মাদ্রিদ। পুরো মৌসুমের মতো শেষ দিনেও রোমাঞ্চের সবটুকু নিয়ে হাজির হয়েছিল এবারের লা লিগা। আগে এক ম্যাচ হেরে যাওয়ায় শিরোপা দৌড় থেকে আগেই বাদ পরে যায় বার্সোলোনা । তাই শেষ ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকরা অনেকটা অনিশ্চয়তায় ছিল রিয়ালকে ট্রফি জিততে হলে হারতে হতো এটলেটিকো মাদ্রিদকে। রিয়াল জিতেছে ঠিক কিন্তু হারেনি এটিএম তাই এবারের শিরোপা উৎসব এটিএম প্রেমিদের।

মৌসুমের শেষ ম্যচ মাঠে নেমে ছিল শিরোপার দাবিদার দুই ক্লাবই এবংকি আলাদা ম্যাচে শুরুতে গোলও খেয়ে বসেছিল দুই দল। শেষ অবধি নিজেদের ম্যাচ জিতে লা লিগার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।

এটি তাদের ১১তম লিগ শিরোপা জয়। সর্বশেষ ৭ বছর আগে ২০১৩-১৪ মৌসুমে লিগ জিতেছিল ডিয়েগো সিমিওনের শীর্ষ্যরা। লা লিগা বেশিবার জয়ের তালিকায় তৃতীয় নাম এখন এতলেটিকো মাদ্রিদ । রিয়াল লা লিগার শিরোপা ঘরে তুলেছে ৩৪ বার আর বার্সা জিতেছে ২৬ বার।

শনিবার রাতে ফুরফুরে মেজাজে মাঠে নামে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, তাদের জন্য সমীকরণটা বেশ সহজই ছিল। রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে জিতলেই শিরোপা তাদের। কিন্তু শুরুতেই তারা গোল খেয়ে বসে! মৌসুমজুড়ে রোমাঞ্চ ছড়ানো থাকা লা লিগা জয়ের ভাগ্য আবারও পড়ে যায় অনিশ্চয়তায়।

কিন্তু ম্যাচের ৫৭ মিনিটে অ্যাঞ্জেল কোরেরা ও দশ মিনিট বাদে এই মৌসুমে সিমিওনের মূল অস্ত্র বার্সোলোনার সাবেক তারকা লুইস সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত ২-১গোলে জয় নিয়ে শিরোপা উৎসব করেন তারা। এই ম্যাচে হারলেই শিরোপা  হারানোর ভয় ছিল অ্যাটলেটিকোর। কারণ নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল পিছিয়ে ছিল মাত্র দুই পয়েন্ট। মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল জিনেদিন জিদান শিষ্যরা।

মৌসুমের শুরুর দিকে ধারণা করা হচ্ছিল খুব সহজে  লিগ জিতবে অ্যাটলেটিকো। একের পর এক হোঁচট খাচ্ছিল রিয়াল ও বার্সা, অন্যদিকে দারুণ ধারাবাহিকতা ছিল তারা। কিন্তু কিছু ম্যাচে পয়েন্ট হারায় অ্যাটলেটিকো, অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ায় রোনাল্ড কোম্যান ও জিনেদিন জিদান শিষ্যরা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

আরও পড়ুন

প্যারাগুয়েকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১, ১১:১৭
প্যারাগুয়েকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

সংগৃহীত ছবি

আর্জেন্টিনা আলেহান্দ্রো গোমেসের শুরুর গোলে প্যারাগুয়েকে হারালো। এই জয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো আর্জেন্টিনা।

মঙ্গলবার ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে গ্রুপ 'এ'র ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। সব মিলিয়ে ৪ ম্যাচ পর প্যারাগুয়েকে হারানোর স্বাদ পেল আর্জেন্টাইনরা।  

উরুগুয়ের বিপক্ষে যে একাদশ সাজিয়েছিলেন, আজ তাতে ৬টি পরিবর্তন আনেন স্কালোনি। রক্ষণে তাগলিয়াফিকো এবং পেজ্জেলাকে নামানো হয় ওতামেন্দি ও আকুনার জায়গায়। মিডফিল্ডে দে পল এবং লো সেলসোকে সরিয়ে আনা হয় গোমেস ও পারেদেসকে। আক্রমণে লাউতারো মার্তিনেস ও নিকোলাস গঞ্জালেসের জায়গায় নামেন দি মারিয়া ও সার্জিও আগুয়েরো।

খেলার শুরুর কয়েক মিনিট ছিল আর্জেন্টিনার দখলে। বেশকিছু আক্রমণ শানিয়েছিল দলটি। এর মধ্যে অষ্টম মিনিটে দারুণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সার্জিও আগুয়েরো।  প্যারাগুয়ের দুই ডিফেন্ডার গুস্তাভো গোমেস ও পিরিস দুজনেই একসঙ্গে লাফিয়ে হেড করতে চেয়ে মিস করে বসেন। তাদের ভুলে পেনাল্টি বক্সে বল পেয়ে যান আগুয়েরো। কিন্তু এত কাছ থেকে শট নিয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি ম্যানচেস্টার সিটির এই স্ট্রাইকার।

তবে আগুয়েরোর গোল মিসের দুই মিনিট পরেই আর্জেন্টিনাকে স্বস্তি এনে দেন গোমেস। আনহেল দি মারিয়ার থ্রো-বল পেনাল্টি বক্সে পেয়ে এগিয়ে আসা প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পাশ কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই সেভিয়া ফরোয়ার্ড।
 
অষ্টাদশ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করে প্যারাগুয়ে। আর্জেন্টিনার রক্ষণে বেশ কয়েকবার হানা দিলেও অবশ্য গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে কঠিন কোনো কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি তারা।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দি মারিয়ার শট ঝাঁপিয়ে ফেরান প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি, উল্টো গোমেসের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন জুনিয়র আলোনসো। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলবঞ্চিত হয় আর্জেন্টিনা।  

দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনা রক্ষণে জোর দিতে শুরু করে। ফলে প্যারাগুয়ে প্রচুর জায়গা পেয়ে যায়। এমনকি একবার তো টানা চারটি কর্নার পেয়ে যায় তারা। কিন্তু কোনোটাই অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি তারা। অপরদিকে আর্জেন্টিনাও নিজেদের জাল অক্ষত রাখায় মনোযোগ দিলে শেষ দিকে খেলায় তেমন কোনো উত্তেজনা থাকেনি।  

এই ম্যাচে খেলতে নেমে দেশের হয়ে হাভিয়ের মাসচেরানোর সর্বোচ্চ ১৪৭ ম্যাচ খেলার রেকর্ড স্পর্শ করলেন মেসি। ম্যাচটাকে স্মরণীয় করে রাখার একটা সুযোগ শেষদিকে এসেছিল তার সামনে। কিন্তু বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের ফ্রি-কিক ফিরিয়ে দেন প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক।

৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্রয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠলো আর্জেন্টিনা। বলিভিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা প্যারাগুয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিন নম্বরে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে চিলি আছে দুই নম্বরে। ১ পয়েন্ট নিয়ে চারে উরুগুয়ে। এখনও জয়ের দেখা না পাওয়া বলিভিয়া আছে পাঁচে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন গতিতারকা ডেল স্টেইন


আবু হানিফ,ক্রীড়া ডেস্ক 
মঙ্গলবার, ৩১ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:০৬
ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন গতিতারকা ডেল স্টেইন

ফাইল ছবি

ক্রিকেট মাঠে ব্যাটসম্যানদের মনে ভয় জাগানিয়া বোলারদের তালিকা করা হলে উপরের দিকেই যায়গা হবে ক্রিকেটে স্টেইনগান হিসেবে পরিচিতি দক্ষিন আফ্রিকার বোলার ডেল স্টেইনের।

আজ সব ধরনের ক্রিকেটকে অবসরের ঘোষণা দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই পেসার। মঙ্গলবার ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ৩৮ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার।

টেস্ট ক্রিকেটে ওয়ান্ডারার্সে গতির ঝড় তোলার পাশাপাশি গলের স্পিনসহায়ক উইকেটেও ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করা পেসার বলতেই সবার মনে পড়বে ডেল স্টেইনের নামটাই।

২০০৪ সালের ১৩ ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ২১ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে টেস্ট অভিষেক হয় পরের বছরর হয় ওয়ানডে অভিষেক এক যুবকের। সুইং আর গতিই তার মূল অস্ত্র। আর এই সুইং গতি দিয়েই শাসন করেছেন ক্রিকেট বিশ্ব প্রায় ১৫ বছর।

দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২০ সালে এরপর বিভিন্ন ঘরোয়া লীগ খেললেও ২০২১সালেই ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে সর্বকালের সেরা বোলার ডেল স্টেইন।

বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ডটি তার নামের পাশে। বিশ্ব ক্রিকেটে তার চেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন মাত্র তিনজন পেসার, তিনজনই স্টেইনের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে তাকে সর্বকালের সেরা বোলার হিসাবে আখ্যায়িত না করা হলেও সেরার তালিকায় তিনি উপরের দিকেই থাকবেন।

আধুনিক ক্রিকেটের সেরা বোলার স্টেইন। এমনকি স্টেইনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী জেমস অ্যান্ডারসনও স্টেইনকেই সেরা মানেন। এশিয়ায় একজন নন-এশিয়ান বোলার হিসাবে সবচেয়ে সফল ডেল স্টেইন। কে কতটা পরিপক্ক পেসার তার প্রমাণ পাওয়া যায় এশিয়ার স্পিনিং উইকেটে আর ডেল স্টেইন এখানে কারো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এই শতাব্দীতে এশিয়ার মাটিতে তার চেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন মাত্র পাঁচজন বোলার, পাঁচজনই এশিয়ার পেসার।

আর তাদের মাঝে কেবল শোয়েব আখতার স্ট্রাইকরেট ও গড়ে এগিয়ে আছেন। টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করা জেমস অ্যান্ডারসনও ডেল স্টেইনের সমান এশিয়ার মাটিতে ২২টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন কিন্তু তিনি সফল হতে পারেননি। এমন অনেক রেকর্ডই আছে যেখানে অনেক কিংবদন্তিরাও টাচ করতে পারেননি। এমন অনেক রেকর্ড করেছেন যা হয়ত আগামী ১০০ বছরেও ভাঙ্গা যাবে না।

পরিসংখ্যানে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন তার পূর্বসূরি পেসারদের। ইনজুরি রোজ জীবনের সাথী না হলে এতদিন হয়ত ছাড়িয়ে যেতেন সবাইকে থাকতেন এমন কোন জায়গায় যেখান থেকে তাকে শুধু দেখতে হতো। ছুঁয়ে দেখতে পরিশ্রম করতো এ সময়কার বোলাররা। ডেল স্টেইন সর্বকালের সেরা পেসারদের কততম স্থানে আছেন, সেটা জানা না গেলেও এই শতাব্দীর সেরা পেসার হিসাবে ডেল স্টেইন যে একক ভাবেও তৃতীয়, সেটা কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে বলে দেওয়া যেতেই পারে।

স্টেইন জাতীয় দলের হয়ে ৯৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। ওয়ানডে খেলেছেন ১২৫টি। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৪৭টি। তিন ফরমেটের মধ্যে টেস্টে উইকেট শিকার করেছেন ৪৩৯টি, ওয়ানডেতে ১৯৬টি এবং টি-টোয়েন্টিতে উইকেট নিয়েছেন ৬৪টি।

বিদায় বেলায় স্টেইন ব্যক্ত করেছেন তার মনের কথা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বলেন, অনুশীলন, ম্যাচ, সফর, হার, জিত, স্ট্রাইপড ফিট, জেট ল্যাগ, আনন্দ ও ভ্রাতৃত্বের ২০ বছর কেটে গেল। বলার মতো অনেক স্মৃতি আছে। ধন্যবাদ দেওয়ার মতো অনেক মানুষ আছে। এই হিসাবের দায় আমি বিশেষজ্ঞদের হাতেই ছেড়ে দিলাম।

আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলাকে আজ আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানাচ্ছি। তিক্ত মিষ্টি তবে কৃতজ্ঞ। সবাইকে ধন্যবাদ, আমার পরিবার থেকে সতীর্থ, সাংবাদিক থেকে ভক্ত, সবাইকে। এটি দারুণ একটি সফর ছিল।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ