a
ফাইল ছবি
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এক হাজার ৬০ ফুট দীর্ঘ আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে র্যালি করেছে ফুটবল প্রেমিকরা। শুক্রবার দুপুরে কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার আরামনগর বাজার থেকে পতাকা মিছিলের আয়োজন করে আর্জেন্টিনা দলের স্থানীয় ভক্ত ও সমর্থকরা। পতাকা মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় আরামনগর বাজারে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় তরুণ, বৃদ্ধ ও শিশুসহ তিন শতাধিক ফুটবল ভক্তরা প্রিয় দলের জার্সি গায়ে ও হাতে পতাকা নিয়ে মিছিলে অংশ নেয়। মিছিলে বাদ্যের তালে তালে সমর্থকরা মেতে উঠে আনন্দ উচ্ছাসে।
পতাকা মিছিলের উদ্যোক্তা মাসুদুর রহমান জানান, ৫ ফুট প্রস্থ ও এক হাজার ৬০ ফুট দীর্ঘ পতাকাটি তৈরিতে তাদের সময় লেগেছে তিন দিন এবং খরচ হয়েছে ত্রিশ হাজার টাকা। সকল ভক্তদের প্রত্যাশা মেসির নেতৃত্বে এবারের বিশ্বকাপ শিরোপা আর্জেন্টিনার ঘরেই উঠবে।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগেই উত্তেজনা চরম আকারে পৌঁছে গেছে। বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের মাঝেই এরূপ ঘটনা ঘটে থাকে। তবে লাতিন আমেরিকার দুই দেশ থেকে ১৫ হাজার মাইল দূরের দেশ বাংলাদেশে এ দ্বৈরথ নিয়ে উন্মাদনা একটু বেশিই বলা চলে। বাগবিতণ্ডা, তর্ক ছাড়াও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে থাকে।
বিষয়টি সম্পর্কে ভালোই অবহিত ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত আর্জেন্টাইন দূতাবাস।
আর্জেন্টিনার দূতাবাস বাংলাদেশে নেই। তবে বাংলাদেশে যে আর্জেন্টিনার ভক্তের সংখ্যা অগণিত সে সম্পর্কে অবগত আছেন সেই দূতাবাসের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উন্মাদনা সম্পর্কে তারা জানেন। আর তাই আর্জেন্টাইন দূতাবাসের কর্মকর্তারা ফাইনালে আর্জেন্টিনা দলের জন্য বাংলাদেশের আকুণ্ঠ সমর্থন চেয়েছেন।
এ বিষয়ে দিল্লিস্থ আর্জেন্টাইন দূতাবাস থেকে একটি প্রেস নোট এসেছে দেশের এক গণমাধ্যমে।
সেখানে তারা লিখেছে, ‘বাংলাদেশের নাগরিকবৃন্দকে আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে। আমরা জানি, বাংলাদেশে অসংখ্য আর্জেন্টাইন সমর্থক আছেন। মেসি ও নেইমারের লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন তারা।
আর্জেন্টাইন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকদের শুভেচ্ছা। অনুগ্রহ করে, উপভোগ করবেন দুর্দান্ত এই ফাইনাল খেলা। আমরা ফুটবল ভালোবাসি। এর উত্তেজনা ও সৌন্দর্য্যের চূড়ান্ত বিকাশে বিশ্বাসী। সারা বিশ্ববাসী এখন সুপার ক্ল্যাসিকোর ফাইনাল ম্যাচ মাঠে দেখবে।’
ছবি সংগৃহীত
নির্বিচার হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রায় ৩০,০০০ নিরীহ ও নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েলের বাহিনী এবং দিনকে দিন এই সংখ্যা বেড়েই চলছে। অথচ ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা গাজার জনগণের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ করছে না।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি ওয়ার্ল্ড জায়নিস্ট অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউজেডও) জরুরি সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, গাজার জনগণের বিরুদ্ধে নয়।’’
ড্যানিয়েল হ্যাগারি আরও বলেন, ‘‘এই যুদ্ধে আমাদের লক্ষ্য, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল জিম্মিদের উদ্ধার করা। একই সঙ্গে গাজার নাগরিকদের হামাসের হাত থেকে মুক্তি নিশ্চিত করাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা উত্তর থেকে দক্ষিণে হামাসের সামরিক কাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে হামাসের ২৪টির মধ্যে অন্তত ১৮টি ব্যাটালিয়ন ধ্বংস করেছি। বাকিগুলো ধ্বংস করার কাজ চলছে। এর মধ্যে অন্তত চারটি ব্যাটালিয়ন রাফাহতে রয়েছে।’’
হ্যাগারি বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রাফাহর ১৪ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারে না। একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য সেখানকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
অথচ ইসরায়েল হামাসকে নির্মুলের নামে গাজার স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল এমনকি জাতিসংঘ কর্তৃক বিভিন্ন শরণার্থ শিবিরে বোমা মেরে শত শত নারী-শিশুকে হত্যা করেছে এবং বাড়ি-ঘর সব ধ্বংস করেছে। আর ইসরায়েলের এই সামরিক মুখপাত্র বর্তমানে তাদের নিজেদের অবস্থা বেগুতিক দেখে বলছে রাফাহর ১৪ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারে না। ৩০ হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যার আগে এসব তত্ত্বকথা তাদের মনে ছিলো না?
ইসরায়েল-আমেরিকার এসব ভন্ডামী দু’মুখো কথা বিশ্বের সকলে কম-বেশি জানে বলেই আস্তে আস্তে আমেরিকামুখী ছোট-বড় দেশগুলোর জনগণ ও সরকার আমেরিকা থেকে মুখ ফিরিয়ে তারা রাশিয়া তথা অন্য বৃহৎ দেশগুলোর সাথে জোটবদ্ধ হয়ে সামনে দিনগুলোতে চলার পথ খুঁচছে!
আমেরিকা আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশগুলো থেকে তাদের সেনাবাহিনী নিজ দেশে আনতে বাধ্য হয়েছে। নিকট অতীতে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়ে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলকে সাহায্যের নামে ইউক্রেন থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। হয়তো নিকট ভবিষ্যতে আমেরিকা অন্য দেশের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ইসরায়েল তথা মধ্যপ্রাচ্য থেকেও তাদের গুটিয়ে নিয়ে নিজেদের দেশ রক্ষায় ব্যস্ত থাকতে বাধ্য হবে, এই সময় খুব একটা দূরে নয়!
লেখক: কলাম লেখক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক
এবং নির্বাহী পরিচালক, হিউম্যানরাইটস এন্ড এনভায়রমেন্ট ডেভোলপমেন্ট সোসাইটি(হিডস)