প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম-অসঙ্গতি ও অগ্রগতি পরিদর্শনে পাঁচটি টিম নামছে মাঠে। এসব টিম প্রকল্প পরিচালকের নেতৃত্বে দুইদিনে ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা সফর করবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, শুক্রবার (৯ জুলাই) সকালে টিমগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সারাদেশের বিভিন্ন স্পটের উদ্দেশে যাবে। তারা শনিবার রাতে ফিরে এসে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপস্থাপন করবেন।
সূত্রটি আরো জানায়, অতিবৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশপাশি কিছু জায়গায় নির্মাণেও অনিয়ম ধরা পড়েছে। এসব ঘর দ্রুতই মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই মেরামত কাজ দেখতেই এই সফর। পাশপাশি এই প্রকল্পের কোনো সমস্যা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনের মধ্যদিয়ে তুলে আনা হবে।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মাহবুব হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে অনেকগুলো কেস (ঘটনা) পেয়েছি। আমাদের কাছে প্রতিটি কেসই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রতিটি বাড়ির সঙ্গে একেকটি পরিবারের স্বপ্ন জড়িত। এজন্যই এ রকম একটি মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিদর্শনে নামছি।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। এর সঙ্গে আমাদের সবার আবেগ জড়িয়ে আছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তি পেতেই হবে। কাউকেই বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন ১ লাখ ২০ হাজার পরিবারকে বাড়ি করে দেয়া হয়। ঝড়-বৃষ্টির কারণে সম্প্রতি কিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও ঘর নির্মাণ নিয়েও বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। আর এ কারণেই তদন্ত করে ইতোমধ্যে ব্যবস্থাও নিয়েছেন তারা। এরইমধ্যে পাঁচ কর্মকর্তাকে (উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওএসডি করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে।
গত ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হয় এবং যথাযথভাবে অন্যান্য বছরের ন্যায় সারাদেশের মতো ঢাকা সিটিতে পশু কুরবানি হয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবছর অন্যান্য বছরের চেয়ে আগেই কুরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়।
ঢাকা উত্তরের চেয়ে দক্ষিণ একটু পিছিয়ে থাকলেও সরেজমিনে দেখা যায় ঈদের পর রাতের মধ্যেই সিটির প্রায় ময়লা-আবর্জনা অপসারিত হয়েছে।
তবে, সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি ৭ নং ওয়ার্ড কমিশনারের বাসার পার্শ্ববর্তী দুটি বিল্ডিং-এর কুরবানির গরুর বর্জ্য আজ ১৪ এপ্রিল বিকালের মধ্যেও অপসারিত করা হয়নি। সিটি কর্পোরেশনের নাম লেখা দুটি বস্তায় আবর্জনার দুর্গন্ধে আশে-পাশে কিছু অফিস ও দোকানপাটে বসে থাকা কষ্টসাথ্য হলেও দুই বিল্ডিং-এর দাড়োয়ান একে অপরের দোষারোপ ও উদ্ধত আচরণে বাসা-বাড়ির ময়লা নেয়া গাড়িও তা অপসারিত করতে রাজি হয়নি।
আমাদের প্রতিনিধি দুটি বাড়ির দাড়োয়ানকে জিজ্ঞাসা করলে তারা স্বীকার করেন তারা দু'জন দুটি বস্তায় কুরবানির বর্জ্য রেখেছে এবং সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি আসলে তা নিয়ে যাবে বলে জানান। ঈদ ১০ তারিখে হয়েছে আজ ১৪ তারিখ এখনো কি সিটি কর্পোরেশেনে গাড়ি আসেনি বললে তারা সদু্ত্তর দিতে পারেনি। তবে তাদের একজন স্বীকার করেছে, কমিশনার সাহেব নাকি তাদের ময়লা সরিয়ে ফেলতে বলেছে।
দাড়োয়ানেদের সাথে কথা বলার সময়ে হঠাৎ বাসাবাড়ি থেকে ময়লা নেয়া গাড়ি দেখে দুই বাড়ির দাড়োয়ান আমাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ময়লা গাড়িতে দিতে গেলে তারা নিতে রাজি হয়নি। তারা দাড়োয়ানকে বলছেন ঈদের দিন ও পরের দিন সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি এসেছিল তারা কেন ময়লা দেয়নি? সুতরাং এতবড় বস্তা তাদের ছোট গাড়িতে (এসব গাড়ি শুধু বাসাবাড়ির ময়লা গ্রহণ করে) নেয়া সম্ভব নয়!
ঈদের ৪/৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এসব কিছু কিছু জায়গায় কুরবানির বর্জ্য ও আবর্জনার স্তুপ রেখে দেয়ায় সিটি কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
বিশ্বকাপজয়ী ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বাবা-মা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাঁচির পালস সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ধোনির বাবা পান সিং এবং মা দেবকী দেবীকে।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বুধবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে যাচ্ছেন চেন্নাই অধিনায়ক ধোনি। কিন্তু ঠিক তার আগ মূহুর্তে এলো এই দুঃসংবাদ।
হাসপাতালে আপাতত নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ধোনির বাবা-মাকে। তাদের বয়স বেশি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে ধোনির পরিবার।
এদিকে আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, টুর্নামেন্টের মাঝেখানে বায়ো-বাবল ছেড়ে বের হওয়ার উপায় নেই ধোনির। তাই মা-বাবার সঙ্গে আপাতত দেখা হচ্ছে না ধোনির।