a
ফাইল ছবি
পরিবারসহ লিওনেল মেসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বার্সেলোনাতেই থাকবেন। পুরোটা জীবন থেকে স্প্যানিশ এ ক্লাবে কাটিয়েছেন। বাকিটা সময়ও থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। বার্সেলোনা তাকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছে।
আজ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছেন তিনিও। বিদায় বেলায় বার্সেলোনার সতীর্থ ও স্টাফরা দীর্ঘসময় ধরে করতালি মেসিকে অভিবাদন জানান। সেই ভিডিও আপলোড করা হয়েছে বার্সেলোনার টুইটার অ্যাকাউন্টে। তাতে দেখা গেছে, ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদছেন মেসি।
এক বার্সেলোনা ভক্ত ভিডিওটি দেখার পর মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘বার্সেলোনা ভক্ত হিসেবে আমি এখনোই এমন মুহূর্ত দেখতে চাইনি।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘কষ্টদায়ক সমাপ্তি।’
সংবাদ সম্মেলনে মেসিও বলেছেন, এই মুহূর্তেই কিছুই চিন্তা করতে পারছি না। এ পরিস্থিতি আমার জন্য বেশ কঠিন। জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ আমি এখানে কাটিয়েছি। আমি এ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলাম আমরা এখানেই থাকতে যাচ্ছি। আমি বার্সেলোনায় থাকতে চেয়েছি।
উল্লেখ্য, মেসি ২১ বছর আগে ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় এসেছিলেন। গত ১৭ বছর ধরে খেলেছেন ক্লাবের জার্সিতে। এ সময়ের মধ্যে বার্সেলোনার জার্সিতে ৭৭৮ ম্যাচ খেলে ৬৭২ গোল করেছেন। ১০ বার জয় করেছেন লা লিগা। সাতবার জিতেছেন কোপা দেল রে কাপ। এ ছাড়া চারবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তিনবার উয়েফা সুপারকাপ, তিনবার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও সাতবার স্প্যানিশ সুপারকাপ জয় করেছেন মেসি।
ভিডিও লিংকঃ Rw4JVdZRwP4
ফাইল ছবি
ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ ম্যাচ মনে করা হয় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ। উভয় প্রতিপক্ষের একে অপরের সাথে লড়াই বলতেই ফুটবল অন্যরকম এক রোমাঞ্চ দেখা যায় ভক্তদের মাঝে। কোপা আমেরিকার প্রায় দুই মাস পর আজ রবিবার দিবাগত রাত ১টায় ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আবারো মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা।
মহারণের আগে দুই দলেই বিরাজ করছে শেষ ম্যাচে জয়ের আত্মবিশ্বাস। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে পৌছায় আর্জেন্টিনা। সেই তুলনায় চিলির বিপক্ষে জিততে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে সেলেসাওদের। কেননা ভ্রমণ জটিলতার কারণে শীর্ষ ৯ খেলোয়াড়কে পায়নি তারা। তবুও এভেরটন রিভেইরোর একমাত্র গোলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা সপ্তম জয় তুলে নেয় তিতে শিষ্যরা।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জিতে সংখ্যাটা আটে পরিণত করতে চান এভারটন, চিলির বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘টানা সাত জয় ঐতিহাসিক। এটা একটা ডার্বি এবং সত্যিই কঠিন একটা ম্যাচ এবং আমাদের আরও একটা ম্যাচ জেতার আশা থাকবে।’ অপরদিকে আর্জেন্টিনাও ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয়। ৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়তে থাকা মেসিরা পুনরাবৃত্তি করতে চায় কোপা আমেরিকার সেই ফাইনালের। যেখানে আনহেল ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে ২৮ বছর পর আন্তর্জাতিক শিরোপার দেখা পায় আলবিসেলেস্তারা। তবে কোচ লিওনেল স্কালোনির জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসির চোট। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বাজে ভাবে ফাউলের শিকার হন তিনি। এদিক থেক ওদিক হলেই ঘটতে পারতো বিপদ। তবে জানা গেছে চোট গুরুতর নয়।
সম্ভাব্য একাদশ:
ব্রাজিল: ওয়েভেরটন, দানিলো, মারকিনিওস, মিলিতাও, সান্দ্রো, পাকেতা, ক্যাসেমিরো, গিমারেজ, বারবোজা, নেইমার, ভিনিসিয়াস।
আর্জেন্টিনা: এমিলিয়ানো, মলিনা, পেজ্জেলা, ওতামেন্দি, তালিয়াফিকো, ডি মারিয়া, ডি পল, লো সেলসো, রদ্রিগেজ, মেসি, লাওতারো।
ফাইল ছবি
চলমান ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনির সহিংসতায় ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গাইলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলমান এই পরিস্থিতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘দুর্বলতা ও সমর্থনের অভাবকে দায়ী করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্যা হিল জানিয়েছে, গতকাল বুধবার ১১মে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেছেন আমেরিকার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প জানান, তার শাসনামলে মধ্যপ্রাচ্যে কোন অশান্তি ছিল না। তিনি এর পেছনে মূল শক্তি হিসেবে মুসলিম জাতিকে শত্রু উল্লেখ করে বলেন তারা জানতো যে, যুক্তরাষ্ট্র শক্তভাবে ইসরায়েলিদের পক্ষে আছে। আর তারা হামলার শিকার হলে মোক্ষম জবাব দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, বাইডেনের আমলে বিশ্ব ক্রমেই অরাজকতা এবং অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। এর কারণ বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের দুর্বলতা এবং ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের অভাব।
সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সবসময় ইসরায়েলের পাশে থাকা উচিত এবং এটি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিতে হবে যে, ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই সহিংসতা, সন্ত্রাস ও রকেট হামলা বন্ধ করতে হবে। এটি পরিষ্কার করতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সবসময় শক্তভাবে সমর্থন করবে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার আল আকসায় নামাজরত মুসল্লিদের উপর হামলা করে ইসরায়েল দখলদার বাহিনী তাদের উচিত শিক্ষা দিতে সর্বদা পাশে আছে হামাসসহ সকল মুসলিম বিশ্ব।