a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১১৪ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৫ হাজার ৫১৩ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৫,২৪৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৪ জন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮,৯০৭ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৬৩ জন।
সংগৃহীত ছবি
প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলেও করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের আক্রমণ হতে পারে শরীরে। বিশ্বের ১০ শীর্ষ কোভিড-বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার থেকে উঠে এসেছে এই তথ্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সমগ্র বিশ্বের ১২৪টি অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেল্টা। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত ২০ কোটি মানুষ ডেল্টার শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ডব্লিউএইচও।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ভারতে প্রথম চিহ্নিত হওয়া এই ভেরিয়েন্টটির আক্রমণে মানুষ শুধু গুরুতর অসুস্থই হয়ে পড়ছেন না, এটি খুব দ্রুত এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে টিকা নেননি এমন ব্যক্তিদের দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন অত্যন্ত বেশি, তেমনি টিকার দু’টি ডোজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও ডেল্টায় আক্রান্ত হচ্ছেন এমন প্রমাণ অমিল নয়। বরং তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।
বিশেষজ্ঞেরা শুরুতেই বলেছেন, করোনার বাকি ভেরিয়েন্টগুলোর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ডেল্টাই সব চেয়ে সংক্রামক ও প্রাণঘাতী। ব্রিটেনের মাইক্রোবায়োলজিস্ট শ্যারন পিককের কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সামনে সব চেয়ে বড় ঝুঁকি হল ডেল্টা।”
ব্রিটেনের সংস্থা ‘পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ড’ সম্প্রতি জানিয়েছে, ব্রিটেনে ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত ৩ হাজার ৬৯২ জন করোনা-রোগীর মধ্যে ৫৮.৩ শতাংশের টিকাকরণ হয়নি তবে ২২.৮ শতাংশের টিকার দু’টি ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
সিঙ্গাপুরেও ডেল্টা ভেরিয়েন্টের দাপট সব চেয়ে বেশি। দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, আক্রান্তদের তিন চতুর্থাংশই কিন্তু টিকা নিয়েছেন। ইসরায়েলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সেদেশে করোনা-আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এমন ৬০ শতাংশরই টিকা নেওয়া আছে।
আমেরিকায় করোনা আক্রান্তদের ৮৩ শতাংশই ডেল্টা ভেরিয়েন্টের শিকার। সেদেশের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচি জানিয়েছেন, টিকাকরণের হার কম এমন এলাকাগুলোতে ডেল্টার বাড়বাড়ন্ত বেশি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিকিৎসা উপদেষ্টা ফাউচির বক্তব্য, ‘‘আমেরিকায় ভ্যাকসিন না নেওয়া মানুষদের মধ্যে করোনা মহামারী আকার নিচ্ছে।”
ফ্লরিডা, টেক্সাস, মিসৌরির মতো প্রদেশগুলোতে টিকাকরণের হার কম বলে সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী। সার্জেন জেনারেল বিবেক মূর্তি সম্প্রতি জানিয়েছেন, সেদেশে করোনায় মৃতদের ৯৯.৫ শতাংশের টিকা নেওয়া ছিল না।
ইসরায়েলেও গত কয়েক মাস ধরে সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ডেল্টা স্ট্রেন। সরকারি তথ্যানুযায়ী, কোভিডে সর্বাপেক্ষা কার্যকর ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা বর্তমানে সেদেশে সংক্রমণ রুখতে মাত্র ৪১ শতাংশ কার্যকর হচ্ছে।
চীনের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০১৯ সালে প্রথম চিহ্নিত হওয়া উহান স্ট্রেনের তুলনায় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট আক্রান্ত ব্যক্তির নাকে ১০০০ গুণ বেশি ভাইরাস থাকে।
মাইক্রোবায়োলজিস্ট শ্যারন পিকক বলেছেন, “ডেল্টা আক্রান্তের ‘ভাইরাল লোড’ বেশি হওয়ায় সম্ভবত অন্যকে সংক্রামিত করার ক্ষমতা বেশি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।”
ছবি সংগৃহীত
ঢাকা প্রতিনিধি: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণসহ যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে কলমবিরতি কর্মসূচির পর এবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সোমবার (২৩ জুন) সকাল নয়টা থেকে তিন ঘণ্টা কলমবিরতি কর্মসূচি পালন শেষে সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার, মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার মিজ সেহেলা সিদ্দিকা বক্তব্য দেন।
আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে– মঙ্গলবার (২৪ জুন) আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকার কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজস্ব ভবনে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি এবং ঢাকার বাইরে স্ব স্ব দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি, কলম বিরতি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ।
জারি করা প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক সব বদলি আদেশ বাতিল না হলে এবং নিপীড়নমূলক নতুন কোনো বদলির আদেশ হলে ২৫ ও ২৬ জুন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে কলম বিরতি, অবস্থান কর্মসূচি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ।
এর আগে, গত ১২ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর পর থেকে এর প্রতিবাদে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। সূত্র: যুগান্তর