a করোনায় (২০সেপ্টে.) মৃত্যু ২৬, শনাক্ত ১৫৫৫ এবং সুস্থ ১৫৬৫
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

করোনায় (২০সেপ্টে.) মৃত্যু ২৬, শনাক্ত ১৫৫৫ এবং সুস্থ ১৫৬৫


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৬:৫৩
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য

করোনাভাইরাস

গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ২৫১ জন।
 
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১,৫৫৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ২৩৮ জন।
 
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১,৫৬৫  জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩ হাজার ১০৬ জন।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৪৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আসন্ন ২০২৫-২৬ বাজেটে তামাকজাত পণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধি করা আবশ্যক


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ২৬ ফেরুয়ারী, ২০২৫, ১০:৩৩
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আসন্ন ২০২৫-২৬ বাজেটে তামাকজাত পণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধি করা আবশ্যক

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  তামাকজাত পণ্যের দ্রুত কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন। বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব এর তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলরুমে, “জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আসন্ন ২০২৫-২৬ বাজেটে তামাকজাত পণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির আবশ্যকতা” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তামাকজাত পণ্যের কার্যকর করারোপ এবং মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবী তুলে ধরা হয়। বর্তমানে বাজারে নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ, ও অতি উচ্চ- এই চার স্তরের সিগারেট বিক্রি হচ্ছে। আসন্ন অর্থবছরে নিম্ন ও মধ্যম- এই দুটি স্তরকে একিভূত করে একটি নতুন স্তর তৈরি করে মোট স্তরের সংখ্যা তিনটিতে নামিয়ে আনা। এই নতুন তিন স্তরের সিগারেটের দশ-শলাকার একেকটি প্যাকেটের দাম যথাক্রমে ৯০ টাকা, ১৪০ টাকা, ও ১৯০ টাকা ধার্য করার প্রস্তাব করা হয়।


সংবাদ সম্মেলনে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাক্সিন অ্যান্ড ইনিশিয়েটিভ (গ্যাভী), চেয়ার, ডাঃ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ, তামাকজাত পণ্যে ব্যবহারের কিছু ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, টোব্যাকো এটলাস ২০১৮-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ অকাল মৃত্যুবরণ করেন। সে হিসেবে প্রতিদিন ৪৪২টি প্রাণ অকালে ঝরে যাচ্ছে। তামাকের কারণে বিভিন্ন রোগ যেমন- হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, ডায়াবেটিস, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসরোগ, ক্যান্সার, কিডনি রোগ এবং আঘাতজনিত রোগ ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য মতে, তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট রোগের কারনে তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা অকালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পরছে। এই অকাল মৃত্যু হ্রাসে বর্তমান সরকারকে এখনই তামাকজাত পণ্যের উপর কার্যকর করারোপ এবং মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পলিসি অ্যাডভাইজর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় যেখানে তামাকপণ্যের উপর কার্যকর করারোপ করা জরুরি সেখানে তামাক কোম্পানিগুলোর নানা রকম মিথ্যাচার এটিকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। তামাকপণ্যের উপর অতিরিক্ত করারোপ এবং দাম বৃদ্ধি করলে সরকারের রাজস্ব কমে যাবে বলে তামাক কোম্পানি প্রচারণা চালাচ্ছে, যা মোটেও যুক্তিসংগত নয়।

তিনি আরও বলেন, আসন্ন ২০২৫-২৬ বাজেটে তামাকপণ্যের উপর কার্যকর করারোপ এবং দাম বৃদ্ধি করা হলে ৬৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করা সম্ভব, ১৭ লক্ষ্য মৃত্যু রোধ করা সম্ভব, ২৪ লক্ষ্য প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে ধূমপান থেকে বিরত রাখা সম্ভব এবং ১৭ লক্ষ্য তরুণকে ধূমপান শুরু করা থেকে বিরত রাখা সম্ভব। গ্লোবাল ইয়ুথ টোব্যাকো জরিপের তথ্যমতে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশে ধূমপান আসক্ত কিশোর-কিশোরীর হার সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে প্রায় ১২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী নিয়মিত ধূমপানে আসক্ত। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তামাকজাত পণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এন্টি টোব্যাকো ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, মুতাসিম বিল্লাহ (মাসুম), তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান করেন তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থকার জন্য এবং তিনি বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেন আসন্ন ২০২৫-২৬ বাজেটে তামাকজাত পণ্যের উপর কর ও মূল্য বৃদ্ধি করে তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য।

এই সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে জীবন রক্ষায় তামাকজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং কার্যকর করারোপ করার দাবী জানানো হয় এবং তামাক বিরোধী কার্যক্রমকে সুদূঢ় করতে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানানো হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক কৌশল, আজও জাতীর জন্য অনুকরণীয়: ড. শেখ আকরাম আলী


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৬
জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক কৌশল, আজও জাতীর জন্য অনুকরণীয়: ড. শেখ আকরাম আলী

ছবি সংগৃহীত: শহীদ জিয়ার বিভিন্ন স্মৃতিময় ছবি

 

নিউজ ডেস্ক: রাজনীতি এবং রাজনৈতিক কৌশল একটি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দল ও নেতারা জাতির বিকাশে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কিছু জাতি সৌভাগ্যবান, যারা ভালো রাজনৈতিক নেতা পেয়েছে, আবার কিছু জাতি এমন নেতৃত্ব পায়নি। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই অঞ্চলে কিছু মহান নেতা আবির্ভূত হয়েছেন, যারা সফলভাবে তাদের দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই নেতারা জাতির নিকট বিনা বিতর্কে সম্মানিত হয়েছেন।  

কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে চিত্রটা ভিন্ন। এ বিষয়ে এখনো মতানৈক্য রয়েছে এবং তীব্র বিতর্ক চলছে। শেখ মুজিবকে বাংলা জাতীয়তাবাদের নেতা হিসেবে দেখা হয়, অন্যদিকে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হিসেবে গণ্য করা হয়।

বিএনপির রাজনীতি:
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি, যা কেউ অস্বীকার করতে পারে না। বিএনপির সাফল্য ও ব্যর্থতা উভয়ই তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭৮ সালে জন্মের পর থেকেই বিএনপিকে দেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।  

১৯৭৫ সালের আগস্টে শেখ মুজিবুর রহমানের পতনের পর দেশ এক রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যায় এবং মাত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য এক বেসামরিক রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদের অধীনে সামরিক শাসন চলে, যতক্ষণ না তিনি জেনারেল খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। তবে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ নিজ বাহিনীর হাতে নিহত হন, যা জিয়াউর রহমানের উত্থান ঘটায়।  

জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন এবং একজন প্রকৃত জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যেখানে খালেদ মোশাররফকে ভারতপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ইতিহাসের এই সংকটময় সময়ে, মার্চ ১৯৭১-এর মতোই, জিয়াউর রহমান আবার দেশের রাজনৈতিক আকাশে উদিত হন। তিনি শুধু সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফেরাননি, বরং জাতিকেও তার যোগ্য নেতৃত্বের প্রতি আত্মবিশ্বাসী করে তোলেন। যখন দেশ এক চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে ছিল, তখন তিনি একমাত্র যোগ্য নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন এবং জাতির ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।  

জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা এবং তিনি সময় নষ্ট না করে ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। তার এই উদ্যোগ তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং বিচক্ষণতার প্রতিফলন ছিল। সে সময় দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া বড় কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না, ফলে বিএনপির জন্ম ছিল সময়ের দাবির প্রতিফলন। আজ অনেকে বিএনপিকে "কিংস পার্টি" বলে আখ্যা দিলেও তারা সেসময়ের উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভুলে যায়।  

জিয়াউর রহমানের সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না—গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে তাকে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে হয়। অচিরেই তিনি দেশের সামরিক আইন প্রত্যাহারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেন। এভাবেই একজন সেনা কর্মকর্তা গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক হয়ে ওঠেন এবং জাতীয় গণভোটের মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ভবিষ্যতে যে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারেন, তা ভালোভাবেই জানার পরও তিনি আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফেরার অনুমতি দেন। অনেকের মতে, তিনিই আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা।  

১৯৭৮ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রথমবার অংশগ্রহণ করে এবং ৩০০ আসনের মধ্যে ২০৮টি আসন লাভ করে, যা তাকে দেশের প্রধান ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত করে। একটি সদ্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কীভাবে এত দ্রুত জনপ্রিয়তা পেল, এটি আজও অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের জন্য রহস্য। এর কারণ স্পষ্ট—২৬ মার্চ ১৯৭১-এ তার স্বাধীনতার ঘোষণার দিন থেকেই জিয়াউর রহমান এক জনপ্রিয় নেতা হয়ে ওঠেন। মুক্তিযুদ্ধে তার বীরত্ব এবং নেতৃত্ব তাকে কিংবদন্তি সৈনিক বানায়।  

তাছাড়া, মুসলিম লীগ ও ভাসানী ন্যাপের নেতাকর্মীরা, যাদের সমাজে ‘রাজাকার’ বলে চিহ্নিত করা হতো, তারা বিএনপিতে যোগ দিয়ে জিয়াউর রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে এবং দ্রুত grassroots পর্যায়ে দলটির ভিত্তি মজবুত করে। ফলে বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশে ‘আওয়ামী লীগ-বিরোধী’ শক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে, যা এখনো কেউ অস্বীকার করতে পারে না।  

খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব:  
১৯৮১ সালের মে মাসে জিয়াউর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণ করতে বাধ্য হন। দ্রুতই তিনি প্রমাণ করেন যে, তিনি এই দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ সক্ষম। তিনি গণতন্ত্রপ্রেমী এক অকুতোভয় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন এবং জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে কখনো আপস করেননি। এর ফলে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন।  

এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিএনপি একমাত্র কার্যকর জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে দাঁড়ায়, এবং বেগম জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের অগ্রদূত হয়ে ওঠেন। তার নেতৃত্বে বিএনপি ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয় এবং একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করে। তার স্বামীর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগীদের সমর্থনে, যেমন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমান, মেজর জেনারেল মজিদুল হক, সাইফুর রহমান, ব্যারিস্টার জহিরউদ্দিন সিরকার, অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক, আবদুর রহমান বিশ্বাস ও কর্নেল অলি আহমদ—তিনি তার সরকারকে সফলভাবে পরিচালনা করেন।  

নেতৃত্বের ভুল ও ভারতীয় হস্তক্ষেপ:
তবে, কিছু বড় ভুলের কারণে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে, মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে, তিনি সেনাবাহিনীর অনেক সিনিয়র কর্মকর্তাকে অপসারণ করেন, যা সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করে ফেলে। এছাড়া, জেনারেল নাসিমকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করাও ছিল একটি মারাত্মক ভুল।  

এরশাদের শাসনামলে ভারত তার আধিপত্য বিস্তারের কাজ শুরু করে এবং শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার মাধ্যমে সফল হয়। তবে, ২০০১ সালের নির্বাচনে তারা শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে ব্যর্থ হয়। খালেদা জিয়া জনপ্রিয় জনসমর্থন নিয়ে আবার ক্ষমতায় আসেন, তবে তার সরকারের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত, যেমন রাষ্ট্রপতি হিসেবে অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিনের ভুল নির্বাচন এবং সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল মইন উদ্দিনের নিয়োগ, বাংলাদেশে ভারতের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের পথ খুলে দেয়। এর ফলাফল ছিল শেখ হাসিনার একনায়কতান্ত্রিক শাসনের ১৫ বছরব্যাপী এক অন্ধকার যুগ।  

জুলাই বিপ্লব ও শেখ হাসিনার পতন:
শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের সময় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা অকল্পনীয় দমন-নির্যাতনের শিকার হন। কিন্তু তারা রাজপথ ছাড়েনি, যদিও তারা সরকার পরিবর্তনের কোনো বাস্তব সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।  

২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটে। ‘জুলাই বিপ্লব’ শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করে এবং ভারতের আধিপত্য চিরতরে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে দেয়। এই বিজয় ছিল ছাত্রদের, বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত ইসলাম এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল।  

ভবিষ্যতের করণীয়:
এখন জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে এই বিজয়কে স্থায়ী করার সময়। বিএনপি এখন বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি এবং তারা যদি বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো গুরুতর ভুল করে, তবে তা শুধু তাদের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য বিপর্যয় বয়ে আনবে।  

বিএনপিকে এখন অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পথ চলতে হবে, কারণ দলে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় রয়েছে। দেশের জনগণই বিএনপির প্রকৃত শক্তি, কোনো বাইরের শক্তি নয়। বিএনপির টিকে থাকা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে তাদের বর্তমান নেতৃত্বের ওপর। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য