a করোনায় (১৩ এপ্রিল) মৃত্যু ৬৯, শনাক্ত ৬০২৮, সুস্থ ৪৮৫৩
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

করোনায় (১৩ এপ্রিল) মৃত্যু ৬৯, শনাক্ত ৬০২৮, সুস্থ ৪৮৫৩


স্বাস্থ্য ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৬:৫৫
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য

করোনাভাইরাস

গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ৮৯১ জন। 
 
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৬০২৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৫ জন। 
 
আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
 
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৮৫৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আগামীকাল থেকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে


স্বাস্থ্য ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২০ জুন, ২০২১, ০৬:৪৭
আগামীকাল থেকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে

সংগৃহীত ছবি

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে আগামীকালে সোমবার (২০ জুন) থেকে দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কার্যক্রম।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, রাজধানীর ৩টি কেন্দ্রে দেওয়া হবে ফাইজারের টিকা। কেন্দ্রগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
 
করোনা বিষয়ক নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে রোববার (২০ জুন) এসব তথ্য জানান অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য অধ্যাপক শামসুল হক।

অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, ইতোমধ্যে কোভ্যাক্স থেকে এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আমাদের হাতে এসেছে। আমরা এটিকে সংরক্ষণ করেছি। টিকা দেওয়ার জন্য গাইড লাইন এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামীকাল (২১ জুন) থেকে ফাইজার টিকা কার্যক্রম শুরু করা হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ক্ষমতার রাজনীতি, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ: ড. শেখ আকরাম আলী


আলী আসলাম, আন্তর্জাতিক নিউজ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৩৭
ক্ষমতার রাজনীতি, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ: ড. শেখ আকরাম আলী

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার রাজনীতি (Power Politics) মানব সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত একটি সর্বজনীন বাস্তবতা। তবে ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে সমাজের পরিবর্তনের সাথে সাথে এটি নানা রূপ পরিগ্রহ করেছে। অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করার বা প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতাই এই রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি। আধুনিক কালে এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হয়ে উঠেছে এবং দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখছে।  

রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রভাব বিস্তার করে, যার মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে প্রধান বিবেচনা করা হয়।  

প্রাচীন যুগে শারীরিক শক্তি ছিল বিজয়ের মাপকাঠি। মধ্যযুগে কামান ও আগ্নেয়াস্ত্র সেই জায়গা দখল করে। কিন্তু নেপোলিয়নিক যুগে ইউরোপের আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে আরও উন্নত অস্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়। সামরিক শক্তি ছোট ও দরিদ্র দেশগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবহৃত হতে থাকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আধুনিক অস্ত্র ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বোমার ব্যবহার দেখা যায়।  

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বিশ্ব বিভক্ত হয় দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরে। তখন থেকেই প্রকৃত অর্থে ক্ষমতার রাজনীতি শুরু হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পুঁজিবাদী জগৎ এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক ব্লক মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মাধ্যমে ঠান্ডা যুদ্ধের অবসান ঘটে এবং একমেরু বিশ্বে পরিণত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।  

তবে এই ফাঁকে চীন অর্থনৈতিক দৈত্য হিসেবে উঠে আসে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করে।  

বাংলাদেশের জন্ম হয় ভারতের প্রত্যক্ষ সহায়তায় এবং সেই সময়ে সোভিয়েত রাশিয়ার কূটনৈতিক ছায়ার নিচে থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশের যাত্রা। ফলে নিজস্ব স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গড়ে তোলার সুযোগ তখন মেলেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অবহেলার ফলেই ১৯৭৫ সালের আগস্টে শেখ মুজিবের পতন ঘটে সামরিক-নাগরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে।  

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। তিনি একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির অনুসরণে সচেষ্ট ছিলেন। বিশ্বের দ্বিধাবিভক্ত পরাশক্তির কাঠামো তখন তার পক্ষে ছিল। তিনি একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন, অন্যদিকে চীন ও মুসলিম বিশ্ব (যেমন: পাকিস্তান) এর সাথেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেন। কিন্তু ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতির শিকার হয়ে ১৯৮১ সালের মে মাসে প্রাণ হারান।  

এরশাদের আমলে ভারত সন্তুষ্ট থাকলেও খালেদা জিয়ার শাসনামলে ভারতীয় উদ্বেগ বাড়তে থাকে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ক্ষমতার রাজনীতি এক চরম সংঘাতময় পরিস্থিতিতে পৌঁছায়। ১৯৯৬ সালে ভারত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে সক্ষম হলেও ২০০১ সালের নির্বাচনে তাদের ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়।  

২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলেও তারা কিছু গুরুতর রাজনৈতিক ভুল করে বসে, যার ফলে ভারতের আধিপত্য আবারও প্রতিষ্ঠা পায়। নির্বোধ সেনাপ্রধান মঈন উদ্দিনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবার ভারতনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনকাল শুরু হয়, যেখানে কার্যত কোনও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বিদ্যমান ছিল না।  

২০২৪ সালের ছাত্রনেতৃত্বাধীন ‘জুলাই বিপ্লব’-এর মাধ্যমে অধ্যাপক ড. ইউনুসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। বর্তমান সরকার ভারতের ব্যাপারে সতর্ক এবং একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গঠনের লক্ষ্যে সচেষ্ট। সম্প্রতি ড. ইউনুসের চীন সফরকে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চীন অর্থনৈতিক সহায়তা, মংলা বন্দর উন্নয়ন, তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং পানি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানের সাথেও সম্পর্ক দ্রুত উন্নয়নশীল এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে আশা করা যায়।  

তবে আন্তর্জাতিক ক্ষমতার রাজনীতিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও অতিরিক্ত নির্ভরতা কোনওভাবেই বুদ্ধিদীপ্ত হবে না। ভারত এখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক বন্ধু। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, তারা যেকোনো সময় বাংলাদেশকে উপেক্ষা করতে পারে।  

চীনের সাথে সম্পর্ককে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে এবং পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ককেও সম্মান ও গুরুত্বের সঙ্গে বজায় রাখা প্রয়োজন। শত্রুর শত্রু যে সবচেয়ে বড় বন্ধু—এই কৌশলগত বাস্তবতাও মনে রাখতে হবে।  

দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার রাজনীতি যেন জাতীয় স্বার্থকে বিপন্ন না করে। যারা ক্ষমতায় যেতে চাইছেন, তারা যেন কেবল ক্ষমতার স্বার্থে জাতীয় স্বার্থকে বিসর্জন না দেন—এই প্রত্যাশাই থাকবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য