a
সংগৃহীত ছবি
মহামারি করোনাভাইরাসের টিকার যৌথ উৎপাদনে চীনা কোম্পানি আর অ্যান্ড ডি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে বলে জানা গেছে।
চীনের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান মঙ্গলবার (৬ জুলাই) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে হুয়ালং ইয়ান লেখেন, চীনা ভ্যাকসিন আর অ্যান্ড ডি সংস্থা ভবিষ্যতে ভ্যাকসিন উৎপাদনে বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে। চীন এ পর্যন্ত প্রায় ১০০টি দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে।
কোভ্যাক্সকে ১০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচ সরবরাহ করবে। চীন বহু উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন ও সমবায় উৎপাদন পরিচালনা করেছে এবং তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনায় বিদেশি দেশগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সমর্থন করেছে।
তিনি আরো বলেন, চীনা টিকা আন্তর্জাতিক মহলে বেশ সুনাম অর্জন করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন। সেদিন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে করোনার টিকার যৌথ উৎপাদনে চীনা কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করা হবে।
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৫১ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ১০৯ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১,৮৬২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২০৩ জন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩,৫৪৯ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ১৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
ফাইল ছবি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। আর প্রতিদিন হবে এইচএসসি, এসএসসি ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস। তবে বাড়িতে করোনা রোগী থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না আসার অনুরোধ জানান তিনি।
রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানানো হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. দীপু মনি বলেন, শুরুর দিকে ২০২১ সালে যারা এসএসসি ও এইচএসসি এবং ২০২১ সালে যারা এসএসসি পরীক্ষা দেবেন তাদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে। এছাড়াও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে।
তিনি বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর শুরুর দিন ৪-৫ ঘণ্টা ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চেকলিস্ট পূরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। র্যান্ডম স্যাম্পলিং করে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।
স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। স্কুলে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না। তবে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকতে পারে।