গতকাল ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২১ সালের আইপিএল এর ২৫তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় দিল্লি কলকাতা। সে ম্যাচে শিবম মাভিকে প্রথম ওভারে টানা ছ’টি চার মেরে রেকর্ড বুকে নাম লিখালেন ভারতীয় তরুন ব্যাটসম্যান পৃথ্বী শ। একই সাথে চলতি আইপিএল-এর দ্রুততম অর্ধশতরানও করেন তিনি।
পৃথ্বীর দাপটে কলকাতাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এর আগে আইপিএল ইতিহাসে ২০১২ সালে ৬ টি চার মারার রেকর্ড ছিল রাজস্থান রয়েলস এর আজিন্কা রাহানের কিন্তু সেটা ছিল ইনিংসের ১৪তম ওভারে আর পৃথ্বি ৬ বলে ৬ চার মেরেছেন ইনিংসের প্রথম ওভারেই যে পিচে কলকাতার ব্যাটসম্যানরা রান করতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেখানে পৃথ্বি রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছেন ইনিংসের শুরুতেই।
যার শুরুটা ছিল শীভম মাবীর প্রথম বলে বোলারের মাথার উপর দিয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করে আর শেষ করেছেন এক্সট্রা কভার দিয়া বল সীমানা ছাড়া করে। এর আগে ইনিংস শুরুর ওভারে সর্বোচ্চ চার ছিল ৫টি, যার একটি ২০০৯ সালে ডেকান চেন্নাই ম্যাচে করেছিলেন ডেকান চার্জার্স এর অজি ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গ্রিলক্রিস্ট। এমন ইনিংস উপহার দিয়ে ভারতীয় সাবেক ব্যাটসম্যানদের প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে এই তরুন প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান সপ্তম আসরে নাজেহাল অবস্থা ভারতের। প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ধরাশায়ী হয় বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি।
ভারতকে ১৫১ রানে আটকে দিয়ে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে এই প্রথম ভারতের বিপক্ষে জয় পেল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ছন্নছাড়া ব্যাটিং ভারতের। কিউইদের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া ভারত ইনিংস থামায় ৭ উইকেটে ১১০ রানে।
১১১ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ৩৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড। দলের জয়ে ৩৫ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন ওপেনার ড্যারিল মিচেল। ৩১ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ৩৩ রান করে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
টানা দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে কঠোর সমালোচনা মুখে পড়েছে বিরাট কোহলিরা।
ভারতের বিপক্ষে টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৪ রানে ফেরেন মার্টিন গাপটিল। তিনি জসপ্রিত বুমরাহর শিকার হওয়ার আগে ১৭ বলে করেন ২০ রান।
এরপর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ বলে ৭২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান ড্যারিল মিচেল। ৩৫ বলে ৪৯ রান করেন।
এরপর ডেভন কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয় নিশ্চিত করেন কেন উইলিয়ামসন।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় ভারত। ট্রেন্ট বোল্টের গতির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপোনার ইশান কিশান।
সুরাইয়া কুমার যাদবের পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ৮ বলে ৪ রান করে ফেরেন ইশান। তার বিদায়ে ২.৫ ওভারে ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
ইশান কিশান দলে ফেরায় ওপেনিং পজিশন ছাড়েন রোহিত শর্মা। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমেই ইশান কিশানের মতো ট্রেন্ট বোল্টের বলে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত শর্মাও। লংঅনে ফিল্ডিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এডাম মিলনির হাতে বলটি পড়ে। কিন্তু সহজ ক্যাচটি তার হাত ফসকে পড়ে যায়। শূন্য রানে লাইফ পান ভারতীয় এ তারকা ওপেনার।
৫.৫ ওভারে দলীয় ৩৫ রানে টিম সাউদির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল। দলীয় ৪০ রানে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন শূন্য রানে ক্যাচ তুলে দেওয়া রোহিত শর্মা। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৪ রান করেন তিনি।
রোহিত আউট হওয়ার পর উইকেটে বেশি সময় স্থায়ী হতে পারেননি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ইস সৌদির বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ১৭ বলে মাত্র ৯ রান করার সুযোগ পান কোহলি।
দলীয় ৭০ রানে ফেরেন ঋষভ পন্থ। অ্যাডাম মিলনির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ১৯ বলে মাত্র ১২ রান করার সুযোগ পান তিনি।
এরপর ১৯তম ওভারে দলীয় ৯৪ রানে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া ও শার্দুল ঠাকুর। দলকে সম্মানজনক স্কোর উপহার দিতে শেষ দিকে চেষ্টা করে যান রবিন্দ্র জাদেজা। তিনি ১৯ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ব্রাজিল থেকে প্রতি কেজি চিনি ৫৩ টাকায় কিনতে যাচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ব্রাজিল থেকে ১২ হাজার ৫০০ টন পরিশোধিত চিনি ক্রয়ে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি টন চিনির দাম ধরা হয়েছে ৫২৪ দশমিক ২১ ডলার। এ কেনাকাটায় বাংলাদেশি টাকায় মোট খরচ হবে ৬৫ কোটি ৯৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩৭ টাকা। তথ্য মতে, প্রতি কেজি চিনির দাম ৫২ টাকা ৭৯ পয়সা পড়ছে।
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে সুলভ মূল্যে পণ্য বিপণনের জন্য এই চিনি কিনছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ বেসরকারি রিফাইনারিগুলোতে উৎপাদিত চিনির খুচরা মূল্য ৯০ টাকা থেকে ৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে গত এক মাস ধরে বাজারে চিনির সংকটের কথা বলে এই দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর