a
ফাইল ছবি
নিজেদের তৈরি ‘এয়ার টু এয়ার’ গকদোয়ান ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে তুরস্ক। দেশটির প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান ইসমাইল দেমির এই তথ্য জানিয়েছেন। দেমির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তুরস্কের ডেইলি সাবাহর খবর অনুসারে, তুরস্কের বৈজ্ঞানিক ও গবেষণা কাউন্সিল এবং ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ইনস্টিটিউট এই ক্ষেপণাস্ত্র আবিস্কার করেছে।
দেমির বলেন, গকদোয়ান অগোচরে আঘাত হানবে। এয়ার টু এয়ার এই মিসাইল রাডার সিস্টেম দ্বারা ফায়ার করা হবে। চলতি বছরেই তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
৪ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো শুক্রবার মধ্য রাতের পর ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামে আবারও সমস্যার সৃষ্টি হয়।
ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করা ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে মেসেজ পাঠাতে না পারার কথা জানান অনেক ব্যবহারকারীরা। খবর ব্লুমবার্গের
এব কথা স্বীকার করে ফেসবুক সমস্যার জন্য ক্ষমাও চেয়েছে। যদিও বৃহত্তর ক্ষেত্রে শুক্রবার পরিসেবায় কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি।
এর আগে সোমবার রাতে দীর্ঘক্ষণ, কোথাও কোথাও সাত ঘণ্টার কাছাকাছি বন্ধ ছিল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম পরিসেবা। এক সপ্তাহের চার দিনের মধ্যেই ফের সমস্যায় পড়লেন ব্যবহারকারী।
শুক্রবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে একটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, আমরা জানি কিছু ব্যবহারকারী আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছেন। যত দ্রুত পরিসেবা স্বাভাবিক করা যায়, তা চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। সমস্যার জন্য ক্ষমা চাইছি।
মৌলভীবাজার: অনিয়ন্ত্রিত এবং ভেজাল খাদ্যাভাসে মানবদেহে দেখা দিয়েছে সুস্থতার অভাব। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অধিকাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন হৃদযন্ত্রের নানা অসুখে।
এসব অসুখের বেশিভাগই খাবারকে কেন্দ্র করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটু সচেতন হলেই এই হৃদযন্ত্রের অসুখ কিছুটা হলেও দূর করা সম্ভব। আর তা হলো, দৈনিক খাদ্যাভাসে ঝুঁকিপূর্ণ সোয়াবিন তেলের পরিবর্তে উপকারী সূর্যমুখী তেল রান্নায় ব্যবহার করা।
আশা কথা, মৌলভীবাজার জেলায় উপকারী সূর্যমুখী তেলে বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ। যা মানবদেহের উপকার কিছুটা হলেও সূচনা করার জন্য প্রস্তুত।
সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাইল হাওর সংলগ্ন একটি ৫ কেয়ারের (বিঘা) বাগান সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রায় ৪ হাজার সূর্যমুখী ফুল পূর্ণতা নিয়ে বাতাসে দোলা খাচ্ছে। কিছু কিছু সূর্যমুখী অবশ্য খাড়া অবস্থা থেকে মাটিতে পড়ে গেছে। তবে, এতে ক্ষতির তেমন কোনো কারণ নেই বলে জানান কৃষক। এ খামারের কৃষক জুবের মিয়া বলেন, এই সূর্যমুখী ফসলটি আমাদের প্রদর্শনী খামার। আমরা পাঁচজন কৃষক সম্মিলিতভাবে অগ্রহায়ণ মাসের শেষে চাষ করেছি। আমাদের ৫ জন কৃষকের প্রত্যেককে সাইফুল স্যার ৫ কেজি সূর্যমুখী বীজ এবং ১৫০০ টাকা করে দিয়েছেন। আমরা মাটি তৈরি করে সরাসরি বীজ মাটিতে লাগিয়েছি।
শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, সূর্যমুখী চাষ বাবদ আমি কৃষক জুবেরকে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছি। কিছুদিন আগে শিলা বৃষ্টির কারণে কিছু গাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তেল হিসেবে সূর্যমুখী অত্যন্ত উন্নত এবং স্বাস্থ্যের উপকারী।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজারের উপ পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর মাত্র ৫৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছিল। এবার সেটা বেড়ে ৫৬৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। ৫৬৫ হেক্টর জমির জন্য যে পরিমাণ বীজ দরকার সে পরিমাণ বীজ কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এটি হাইসান-৩৩ ভ্যারাইটির।
স্বাস্থ্যক্ষতির দিকটি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা যেভাবে রেনডমলি (ক্রমাগতভাবে) সোয়াবিন তেল বিভিন্ন খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত খাচ্ছি, তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সূর্যমুখী তেল অত্যন্ত পুষ্টিসম্পন্ন এবং এতে কোলেস্টেরালের মাত্রা কম। এ তেলের ভিড়ে ক্যানসার প্রতিরোধের উপাদান আছে। এসব গুণের জন্য এই তেল অনেকে দাম দিয়ে কিনে খাচ্ছেন। সুস্থ থাকতে হলে আমাদের সূর্যমুখী তেল বা সরিষা তেল অবশ্যই খেতে হবে। এজন্য আমাদেরকে প্রতিবছর ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। আমাদের বাংলাদেশে তেলের যে প্রয়োজন তার শতকরা মাত্র ১০ শতাংশ তেল সরিষা, সূর্যমুখী, তিসি, বাদাম প্রভৃতি থেকে আসে। বাকি শতকরা ৯০ শতাংশ তেল বিদেশ থেকে আনতে হয় বলে জানান তিনি। সূর্যমুখী বীজ থেকে উৎপাদিত তেলের পরিমাণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সূর্যমুখী বীজ থেকে শতকরা ৪০ শতাংশ তেল হয়। অর্থাৎ ১০ কেজি সূর্যমুখী যদি ভাঙান তবে, ৪ লিটার তেল পাবেন। এখন প্রতিকেজি সূর্যমুখীর দাম ৮০ টাকা। যখন এটা হারভেস্ট (আহরণ) হবে তখন একটু দাম কমবে। গত বছর আমরা ৬০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করেছি।
১০ কেজি সূর্যমুখী বীজের দাম হবে ৬০০ টাকা। এই ১০ কেজি ভাঙালে ৪ লিটার সূর্যমুখী তেল পাবেন। ভাঙানো পর সূর্যমুখীর খইল দিয়ে দিলে ভাঙানোর খরচ ফ্রি। তাহলে প্রতি কেজির দাম ১৫০ টাকা করে পড়লো। বীজের দাম বেশি হলে হয়তো ১৬০ টাকা পড়বে।
আমেরিকান বা বিদেশি অন্যান্য কোম্পানির সূর্যমুখী তেল হলে আপনাকে বাজার থেকে প্রতি লিটার ২০০ টাকা করে কিনতে হবে বলে যোগ করেন উপ পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী।