a দক্ষিণ কোরিয়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হলো
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

দক্ষিণ কোরিয়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হলো


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১, ০৫:২৬
দক্ষিণ কোরিয়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হলো

ফাইল ছবি

প্রথমবার নিজেদের উদ্ভাবিত রকেট উৎক্ষেপণে সফলতা অর্জন করলেও দক্ষিণ কোরিয়া এবার কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন এমনটাই জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি, তবে প্রথম পরীক্ষায় এটি অসাধারণ অর্জন। আমাদের এখনও অপূরণীয় লক্ষ্য রয়েছে, তা হলো কক্ষপথে নিরাপদে একটি ডামমি স্যাটেলাইট স্থাপন করা।

বিবিসি জানায়, নুরি নামের এই স্যাটেলাইটি ভেহিক্যাল-২ এ করে উপক্ষেপণের পর তা নির্ধারিত স্থানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। ২০২৭ সাল নাগাদ নুরি রকেট আরও পাঁচ বার উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

পরবর্তী উৎক্ষেপণ হবে আগামী মে মাসে। উল্লেখ্য, নুরি তৈরিতে দক্ষিণ কোরিয়া প্রায় দুই লাখ কোটি ওন (স্থানীয় মুদ্রা) ব্যয় হয়েছে। ৪৭.২ মিটার দীর্ঘ এবং দুইশ’ টন ওজনের রকেটটিতে ছয়টি তরল জ্বালানি চালিত ইঞ্জিন রয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সূর্যের রঙ আসলে কোনটি? সাদা, লাল, নাকি হলুদ?


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১২:২৩
সূর্যের রঙ আসলে কোনটি? সাদা, লাল, নাকি হলুদ?

ফাইল ছবি

খুব সকালে যখন ঘুম থেকে উঠি, তখন আমরা সবাই দেখে থাকি যে সূর্যের রঙ হলুদ বর্ণের। ধীরে ধীরে যখন বেলা বাড়তে থাকলে সূর্যের রঙ পরিবর্তন হয়ে কমলা রং ধারণ করে। আর দিনের শেষসময়ে সূর্য হয়ে উঠে একদম টাটকা লাল।

সূর্যের এ রঙ বদলানো নিয়ে আমরা কি চিন্তা করেছি কখনো? কেন এমনটা হয়? সূর্য আসলে কোন রঙের- লাল, হলুদ নাকি কমলা, নাকি অন্য কোনো রঙের! আমরা জানি সূর্য একটা নক্ষত্র, আর সব নক্ষত্রেরই কোনো না কোনো রঙ আছে। রঙগুলো হলো রেড জায়ান্ট, রেড ডোয়ার্ফ, ব্লু জায়ান্ট, সুপার জায়ান্ট ইত্যাদি।

নক্ষত্রের রঙ কেমন হবে তা সাধারণত তার তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে থাকে। একটি নক্ষত্রের ভেতর থেকে ফোটন বের হয়ে তা মহাশূন্যে হারিয়ে যায়, ফলে ফোটন থেকে বের হওয়া শক্তির পরিমান আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। এসব কারণে দেখা যায় একটি নক্ষত্র ইনফ্রারেড, আল্ট্রাভায়োলেট, লাল অথবা নীল রঙের আলোকরশ্মির বিকিরণ ঘটাচ্ছে একই সময়ে। এমনকি সেখানে বিদ্যমান থাকতে পারে এক্স ও গামা রশ্মিও।

নক্ষত্রের রঙের বিভিন্ন পরিবর্তন এর জন্য বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে,একটি নক্ষত্রের তাপমাত্রা যদি হয় সাড়ে পঁয়ত্রিশ হাজার কেলভিনের কম হয় তবে তার রঙ হবে লাল। আবার কোনো নক্ষত্রের তাপমাত্রা যদি দশ হাজার কেলভিনের উপরে হয় তবে তা  নীল রঙের হবে। সূর্যের তাপমাত্রার পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার কেলভিনের মতো। এ তাপমাত্রার নক্ষত্রগুলো সাধারণত হয়ে থাকে সাদা রঙের। সেক্ষেত্রে সূর্যের আসল রঙ হলো সাদা।

কি অবাক হচ্ছেন?  হ্যাঁ, সূর্যের রং আসলেই সাদা রঙের। আসলে মহাশূন্যে গিয়ে যদি আমরা সূর্যকে স্বচক্ষে দেখে আসতে সক্ষম হতাম, তবে ১০০ ভাগ নিশ্চিত হোমার  যে সূর্যের রঙ আসলে একেবারে সাদা। সূর্য ও সূর্যলোকের রঙ সাদা। তাহলে প্রশ্ন হলো সূর্যকে বিভিন্ন সময় লাল, হলুদ বা কমলারঙে দেখি কেনো? এর পিছনে বিশেষ কারণ হলো বায়ুমণ্ডলে সূর্যরশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটে। ছোট ছোট তরঙ্গদৈর্ঘের নীল ও বেগুনি আলোকরশ্মি অপসারিত হয়ে যায়। সূর্য থেকে আসা আলোক বর্ণালির এ দুটো রঙ সরে গেলে  তা অনেকটা হলুদের মতো হয়ে যায়। সূর্যকে আমরা তখন হলুদ দেখি। অন্যান্য রঙের বেলায়ও এ ঘটনা ঘটে। 

এভাবে সূর্যের আলো যখন বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে পৃথিবীতে আসে তখন তার রঙ বদলে হলুদ, কমলা বা ম্যাজেন্টা রঙ ধারণ করে। তবে আরেকটি প্রশ্ন হলো সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্যের রঙ লাল হয়ে যায় কেন? সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় ভাসমান ধূলিকণা ও বাতাসের অন্যান্য উপাদান সূর্যরশ্মির নীল প্রান্তের কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বর্ণকে বেশি বিক্ষিপ্ত করে ও লাল প্রান্তের বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বর্ণকে কম বিক্ষিপ্ত করে। ফলে সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করে থাকে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পরিবারের সবাইকে হত্যা করে কাউন্সিলরকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার হুমকি!


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ১০:১৮
পরিবারের সবাইকে হত্যা করে কাউন্সিলরকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার হুমকি

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে ব্যাকমেইল করে ও হুমকি ধমকি দিয়ে এক মহিলা তাকে বিয়ের করার জন্য তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। এমনকি তার স্ত্রীসহ পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল সেই নারী। 

শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ফেসবুকে লাইভে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব অভিযোগ করেন কাউন্সিলর খোরশেদ। এ সময় তার পাশেই ছিলেন স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা। লাইভের শেষের দিকে স্ত্রীও কথা বলেন এবং রাষ্ট্রের কাছে তার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান। 

ফেসবুক লাইভে খোরশেদ জানান, সাইদা শিউলি নামে ওই নারী ভয়ংকর চরিত্রের অধিকারী। তার সঙ্গে প্রশাসন ও উচ্চ মহলের বিভিন্ন দফতরের উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের উঠাবসা। তিনি একজন ব্যবসায়ী ও তিনবার বিয়ে করেছেন। ওই নারীর দুটি সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন এবং এক মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশুনা করেন।
  
খোরশেদ বলেন, ‌‘আমি করোনার শুরু থেকেই করোনায় আক্রান্তদের সেবা দিয়েছি ও সম্মুখে থেকে লডাই করে দাফন সৎকার কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। একপর্যায়ে গত মে মাসে আমি ও আমার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হই। তখন অক্সিজেনের অভাবে আমার স্ত্রীকে একপর্যায়ে আইসিইউতে ভর্তি করাতে হয়। তখন একটি সংবাদের নিচে ওই মহিলা কমেন্ট করে জানান, তিনি অক্সিজেন দিতে চান এবং আমার সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেন। তখন থেকেই তিনি আমার সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধু তালিকায় যুক্ত হন এবং কথা বলা শুরু করেন।’

‘একপর্যায়ে আমি বুঝতে পারি তার মতলব ভিন্ন। আমি তাকে তখন দূরে সরাতে চেষ্টা করি এবং বোঝাই। এরপর তার ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেকেও আমি এসব ঘটনা জানাই, তখন সে আমাকে বলে তার মা হয়তো দুষ্টুমি করছে, এরকম কিছু সম্ভব নয়। কাজ হবে না বুঝে পরবর্তীতে নভেম্বর-ডিসেম্বরে তার ভগ্নিপতিকে জানাই। এতে তিনি আরও ক্ষুব্ধ হন এবং আমার পেছনে উঠেপড়ে লাগেন।’  

তিনি আরও বলেন, ‘সম্মানকে ভয় পাই বলেই এতদিন মুখ খুলিনি। আমি ধৈর্য ধরেছি। কারণ, আল্লাহ হয়তো একটি ফয়সালা করবেন। তবে দুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় দুটি পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে এ সংক্রান্ত নিউজ হওয়ায় আমি নিজেই বিষয়টি সবার কাছে বলতে এসেছি। আমার পাশে থাকার জন্য আমি আমি সাংবাদিক, আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও প্রতিপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ।’  

খোরশেদ বলেন, ‘২১ জানুয়ারির পর থেকে হোয়াটস অ্যাপে, ম্যাসেঞ্জারে, টেলিফোনে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন এবং হত্যার হুমকি জানাচ্ছেন ওই মহিলা। আমার পরিবারের সবাইকে মারাত্মক মানষিক অত্যাচার করছেন। সর্বশেষ আমার স্ত্রী ও সন্তান নকিবকে তুলে নিয়ে হত্যা করবে বলেও হুমকি দেন। আমি এসব ঘটনায় শুরু থেকেই সরকারি সংশ্লিষ্ট সব দফতর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং অবহিত করেছি। বিভিন্ন ঘটনা ঘটার পর পরই তাদের অবহিত করা হয়।’  

তনি বলেন, ‘আমার বাড়ি একটি মরা বাড়ি হয়ে গেছে। একের পর এক লাশ দাফন করি। আবার আমার বাচ্চাদের থেকে এসব কারণে লুকিয়ে থাকতে হয়। ওদের জীবনের ভয়ে আছি আমি। আমার ছেলে মেয়ে আমার চিন্তায়, পারিবারিক অশান্তিতে অসুস্থ হয়ে গেছে। এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই ঘটনার কারণ কি? আমি এসব থেকে মুক্তি চাই আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যমে।’  

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষকে ব্যবহার করে তিনি আমাদের জ্বালাতন করতেন। এতদিন কষ্ট সহ্য করেছি, আর পারছি না। অনেকে লজ্জায় আমার কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন না। আপনাদের কাছে এ ঘটনার বিচার চাই। সাংবাদিক ভাইরা লেখনি ও প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে আমাকে এ অবস্থা থেকে বাঁচান। আমি এ নির্যাতন থেকে মুক্তি চাই। আমি আমার পরিবারের কাছেও ক্ষমা চাই এসব ঘটনায়।’  

কাউন্সিলর খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডের সচিবকে ফোন দিয়ে বলেছেন, আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে ঐ মহিলা হত্যা করবে। আমার সাথে তার সব কথার রেকর্ড আছে। সাংবাদিকসহ যে কেউ চাইলে আমরা এসব রেকর্ডিং দেব। আমি আমার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তা চাই রাষ্ট্রের কাছে।’  

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - তথ্য ও প্রযুক্তি

সর্বোচ্চ পঠিত - তথ্য ও প্রযুক্তি

তথ্য ও প্রযুক্তি এর সব খবর