a
বিল গেটস ও মেলিন্ডার গেটস । ফাইল ছবি
সংসার ভাঙলো মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস-এর। বর্তমানে ৬৫ বছর বয়সী বিল গেটস ও ৫৬ বছর বয়সী মেলিন্ডার বিয়ে হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। দীর্ঘ ২৭ বছর একসঙ্গে থাকার পর বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন এই দম্পতি।
সোমবার দিবাগত রাতে তাদের নিজস্ব টুইটার পেইজে আলাদা পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করে। সংসার ভাঙার কারণ হিসেবে তারা জানান, নিজেদের সম্পর্কের ওপর নিরীক্ষা ও চিন্তাভাবনার পর আমরা আমাদের সংসারের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যুগল হিসেবে আমরা আর থাকতে পারবো বলে মনে হয় না।
উল্লেখ্য, ১৯৮০’র দশকের শেষের দিকে মেলিন্ডা মাইক্রোসফটে যোগদানের পর বিল গেটসের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। তারা একসঙ্গে দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ গড়ে তোলেন। এ ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করে যাচ্ছে।
মাইকেল কলিন্স।ফাইল ছবি
মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গতকাল ২৮ এপ্রিল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে নিজ বাড়িতে মৃত্যু বরণ করেন নভোচারী মাইকেল কলিন্স। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। কলিন্সের পরিবার টুইটারে সূত্রে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
এ সময় পরিবারের সদস্যরা তার পাশে ছিলেন। তিনি জীবনের সব বাধা একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। কলিন্সের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে নাসা। নাসার প্রশাসক স্টিভ জুরিক এক বিবৃতিতে বলেন, নাসা গভীর শোকের সঙ্গে বলছি নাসা এবং বিশ্ব একজন মহান পাইলট ও নভোচারীকে হারালো তার শুন্যস্থান চিরকাল অপূরনীয় হয়ে থাকবে।
১৯৬৯ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পা রেখেছিল নাসার অ্যাপোলো-১১। মাইকেল কলিন্স ছিলেন সেই চন্দ্রাভিযানের কমান্ড মডিউল পাইলট। অভিযানে নিল আর্মস্ট্রং এবং এডউইন অলড্রিনের চাঁদের বুকে পা রাখেন। তবে কলিন্স চাঁদে নামেননি। এ কারণে তাকে ‘বিস্মৃত নভোচারী’ বলা হয়।
এ তিনজনের মধ্যে আর্মস্ট্রং মারা যান ২০১২ সালে। এখন শুধু বেঁচে আছেন অলড্রিন।
মাইকেল কলিন্স ১৯৩০ সালে ইতালিতে জন্ম নেন। তার বাবা যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল ছিলেন। কলিন্স যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট করেন। তারপর বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। এরপর ১৯৬৩ সালে পাইলট হিসেবে নাসাতে যোগ দেন।
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে নিউইয়র্কে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ট্রাম্পের বেশ কয়েকজন সমর্থক বিক্ষোভ করেছেন। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলকে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ প্রদান করা হয়েছিল, এমন অভিযোগে নিউইয়র্কের প্রসিকিউটররা পাঁচ বছর ধরে তদন্ত করে আসছেন।
সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলের দাবি, সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। কিন্তু এ সম্পর্কের বিষয়টি বারবার অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
এ আশঙ্কা যদি সত্যি হয়, তাহলে ট্রাম্পই হবেন ফৌজদারি অপরাধে গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের হয়ে আবারও প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ৭৬ বছরের ট্রাম্প।
ট্রাম্প গত সপ্তাহজুড়েই বলেছেন, তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হতে পারেন। সমর্থকদের তিনি বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও ট্রাম্পের আইনজীবী বলেছেন, গণমাধ্যমের খবরের ওপর ভিত্তি করে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গণমাধ্যম বলেছে, গতকাল চূড়ান্ত সাক্ষী আইনজীবী রবার্ট কস্টেলোর সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর আইনজীবীদের প্যানেল ভোটাভুটি করতে পারে।
বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা মেয়র ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে নিরাপত্তা ও আনুষঙ্গিক পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছেন। এনবিসি নিউজ বলেছে, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ম্যানহাটনের ফৌজদারি আদালতের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
ডেমোক্রেটিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা সতর্কতা জারি করে বলেছেন, বিক্ষোভের জন্য ট্রাম্প যে আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে তাঁর সমর্থকেরা ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলের সহিংসতার মতো ঘটনা ঘটাতে পারেন।
‘দ্য ডোনাল্ড’ নামের একটি অনলাইন গ্রুপে ট্রাম্পের সমর্থকেরা ‘জাতীয় ধর্মঘট’ ও গৃহযুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্পের আটক ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন তাঁরা। সূত্র: প্রথম আলো