a আজ হিটলারের দেশ জার্মানীতে ঢুকে পড়ে সোভিয়েত বাহিনী
ঢাকা রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩২, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আজ হিটলারের দেশ জার্মানীতে ঢুকে পড়ে সোভিয়েত বাহিনী


খোরশেদ আলম, সম্পাদক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০২ মে, ২০২৩, ১০:২০
আজ হিটলারের দেশ জার্মানীতে ঢুকে পড়ে সোভিয়েত বাহিনী

ছবি সংগৃহীত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে হিটলারের দেশ জার্মানীতে আজ ঢুকে পড়েছিল সোভিয়েত বাহিনী। আজ রাশিয়ার নামে বিশাল দেশটি সোভিয়েত আমলের বিশ্বাল সামাজ্যেরই একাংশ। বর্তমানে এই রাশিয়া তার অস্তিত্ব টেকানোর নামে ইউক্রেনে আক্রমণ করে এবং সীমান্ত ঘেষা ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয় তার জন্য বিভিন্ন ছলাকলা কৌশল অবলম্বন করা সত্ত্বেও, ইউক্রেন কোনভাবেই রাশিয়ার কথা না শুনলে এবং পশ্চিমামুখী দেশগুলোর সাথে একাট্রা বাধলে গত বছরে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে বসে। রাশিয়া তার সীমান্ত ঘেষা ৪টি প্রদেশ দখল করে তা নিজেদের সাথে একীভূত করে ডিক্রি জারি করে।

রাশিয়া মনে করেছিল আক্রমণের মাধ্যমে অল্প সময়ে তারা ইউক্রেনকে বাগে আনতে পারবে। কিন্তু ন্যাটো নামে যে বিশাল সংগঠন সে সংগঠনের অন্যতম শক্তি জার্মানী সব সময় ইউক্রেনকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে আসছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝাল মেটানোর জন্য রাশিয়াকে পর্যদুস্ত করতে ক্ষেত্র বিশেষে আমেরিকার, যুক্তরাজ্যের চেয়েও বেশি সহযোগিতা করছে ইউক্রেনকে। তাদের একটাই চাওয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে জিতিয়ে নেওয়া।

পৃথিবীর অনেক মানুষ অনেক ইতিহাস ভুলে গেলেও জার্মানী তাদের স্থায়ীভাবে দাগাঙ্কিত কালিমা আজও মলিন হয়নি বলেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে এবং ইউক্রেণকে যে কোন মূল্যে জিতিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া।

সোভিয়েত বাহিনীর নিকট জার্মানীর পরাজয়ের ইতিহাসের সেই দিনটি আজ ২ মে। উল্লেখযোগ্য কী ঘটনা ঘটেছিল আজকের এই দিনে তা জানার চেষ্টা করবো। সময়টা ১৯৪৫ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একেবারে শেষের দিকে। জার্মানি-ইতালি-জাপানের সম্মিলিত শক্তিও চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সেই ১৯৪৫ সালে এ দিনে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ঢুকে পড়ে সোভিয়েত রেড আর্মি। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশাল বাহিনীর মুখে আনুষ্ঠানিকভাবে পতন ঘটে জার্মানির একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের। আজও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সোভিয়েত বাহিনী যদি তৎকালীন সময়ে বার্লিনে না ঢুকতো, তাহলে জার্মানী তথা হিটলারের পতন সেভাবে নাও ঘটতে পারতো।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার একক পরাশক্তির আত্বপ্রকাশ বিশ্ববাসী দেখে আসছে, হয়তোবা তারও পরিবর্তন সামনের দিনগুলোতে লক্ষ্য করবো ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ পরবর্তীতে। আমরা আশা করবো, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি হয় যেন শান্তি আলোচনার মাধ্যমে অর্থাৎ হিরোশিমা এবং নাগাসাকির মতো কোন বড় ধরণের পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার না করে।


মোহা. খোরশেদ আলম
মহাসচিব
হিউম্যানরাইটস এন্ড এনভায়রমেন্ট ডেভোলপমেন্ট সোসাইটি(হিডস)

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যুক্তরাষ্ট্র আবারও ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩, ১২:৩১
যুক্তরাষ্ট্র আবারও ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করল

ফাইল ছবি: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আলাদা করে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান নেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে দেশটি।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) এক কর্মীর কানাডায় আশ্রয় না পাওয়া এবং অতীতে বিএনপির রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত হওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন।

ওই সাংবাদিক বলেন, কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপির সঙ্গে যুক্ত একজন কর্মীর আশ্রয় আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এবং দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। 

বাংলাদেশের পর্যবেক্ষকরা বলছেন- বিএনপি অতীতে রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত হয়েছে, বিশেষ করে ২০১৪ সালে। সেসময় জাতীয় নির্বাচনের সময়ে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করেছিল। এবারও বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিকে সহিংসতা শুরু করার চেষ্টা করার অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন দল। এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কি?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে- আমরা বাংলাদেশে বা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে অবস্থান নিই না। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত।

এর আগে একই ব্রিফিংয়ে অন্য এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সারা বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটছে যেখানে হাজার হাজার মানুষ ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মোবাইল ফোন তল্লাশি, গ্রেফতার ও হাজার হাজার মামলাসহ বিরোধীদের সমাবেশে ইন্টারনেট বন্ধের অভিযোগ আসছে। 

এমনকি মৃত বিরোধী নেতারাও বর্তমান সরকারের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। তাহলে, যারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করছে, যুক্তরাষ্ট্র কি তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে?

ম্যাথিউ মিলার বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত ২৪ মে ভিসানীতি জারি করার সময় স্পষ্ট করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে এই ভিসা বিধিনিষেধগুলো প্রযোজ্য হবে। গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন কর্মকাণ্ডের মধ্যে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার ব্যবহার করে জনগণকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার থেকে বিরত রাখার মতো কাজ রয়েছে। 

এছাড়া রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা মিডিয়াকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখার জন্য পরিকল্পিত যে কোনো ব্যবস্থার ব্যবহার হলে সেটিও এই নীতির মধ্যে রয়েছে।

এই পর্যায়ে ওই সাংবাদিক বাংলাদেশে মানবাধিকার কর্মীদের হুমকি, হয়রানি এবং বিচারের শিকার হওয়ার বিষয়টি সামনে আনেন। তিনি প্রশ্ন করেন, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৮৬ শতাংশ মানবাধিকার কর্মী বিভিন্ন বাধা ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন। অর্থ নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে আরেকটি অস্ত্র, কারণ তাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে। 

তাই অনেক আন্তর্জাতিক সাহায্য গ্রহীতা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা তাদের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না বলে আমি শুনেছি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি উদ্বেগজনক বলে মনে করেন?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, সাধারণ নিয়ম হিসাবে, গণতান্ত্রিক সমাজে স্বাধীনভাবে সবাইকে তাদের ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করার সক্ষমতাকে সমর্থন করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, আমরা মানবাধিকারের ওপর যে কোনো ধরনের বিধিনিষেধের বিরোধিতা করি এবং এই বিষয়ে এর চেয়ে বলার মতো আমার কাছে আর কোনো নির্দিষ্ট মন্তব্য নেই। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

চাঁদপুর সফরে যাচ্ছেন সদ্য নিয়োগে পাওয়া প্রতিমন্ত্রী


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১৯ আগষ্ট, ২০২১, ০৭:৫১
চাঁদপুর সফরে যাচ্ছেন সদ্য নিয়োগে পাওয়া প্রতিমন্ত্রী

ফাইল ছবি

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে সদ্য নিযুক্ত হওয়া প্রতিমন্ত্রী ড. শামছুল আলম (মোহন) দুইদিনের সফরে আগামী ২৫ আগস্ট চাঁদপুর যাচ্ছেন। প্রথম দিন থাকবেন মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায়। পরেদিন ২৬ আগস্ট চাঁদপুরে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে যোগদান করবেন। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর একান্ত মোঃ আবদুল আজিজ একটি অফিস আদেশ জারি করেছেন। বৃহস্পতিবার মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, ২৫ আগস্ট বুধবার সকাল ৮ টায় ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে চাঁদপুর জেলার তার নিজ উপজেলা মতলব উত্তরের উদ্দেশ্য রওনা করবেন।

১০.৩০ ঘটিকায় পশ্চিম ইসলামাবাদ তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করবেন। ১১ ঘটিকায় মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দিবেন। ১২ ঘটিকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় ও দুপুর ২ টায় মতলব দক্ষিণ উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। ২.৩০ ঘটিকায় মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় এবং ৩.৩০ ঘটিকায় মতলব দক্ষিণের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা শেষে বিকাল সাড়ে ৪ টায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং ৫ টায় চাঁদপুর সার্কিট হাউসে অবস্থান।

পরদিন ২৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিবেন। ১২ ঘটিকার সময় চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন ও চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। বেলা ২.৩০ টায় সার্কিট হাউসে চাঁদপুরের জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় এবং বিকাল ৪ টায় চাঁদপুর ত্যাগ করে ঢাকার সরকারি বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবেন।

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর ড. শামছুল আলম এর চাঁদপুর ও মতলবে এটাই প্রথম সফর। গত ১৮ জুলাই তিনি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক