a আরব বিশ্বে বিভক্তি ইসরাইল ইস্যুতে
ঢাকা মঙ্গলবার, ২ পৌষ ১৪৩২, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আরব বিশ্বে বিভক্তি ইসরাইল ইস্যুতে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ১৯ মে, ২০২১, ০৬:২৭
আরব বিশ্বে বিভক্তি ইসরাইল ইস্যুতে

ফাইল ছবি

 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলেও এখন পর্যন্ত অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে কয়েকটি আরব দেশ কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। 

ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি করা দেশ বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান এখনও ইসরাইলি বর্বরতার  নিন্দা জানায়নি। আমিরাতের পক্ষ থেকে ইসরাইলের হামলার নিন্দা জানালেও এবার হামাসের জন্যও কঠিন শব্দ ব্যবহার করেছে তারা। আরব আমিরাত কিছু ক্ষেত্রে গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাসেরও সমালোচনা করছে। আর তাতে ইসরাইলের কথারই প্রতিধ্বনী থাকছে। আর এ দেশগুলোর নীরবতাকেই আরব বিশ্বে ভাঙনের প্রথম ধাপ হিসেবে উল্লেখ করেছে দ্য গার্ডিয়ান।

ইসরাইল বনাম হামাস লড়াই বন্ধে কী করা উচিত এ নিয়ে আরব বিশ্বে অনৈক্যের আভাস পেয়েছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। যেখানে তুরস্ক ও ইরানের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশ গাজায় ইসরাইলের নৃশংস বর্বরতার নিন্দা জানিয়ে তা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে, সেখানে এবারই প্রথম উপরের উল্লেখিত দেশগুলো এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব রয়েছে। যদিও এর আগে তাদের ভূমিকা এমন ছিল না।

বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের করা ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা নীতি এবং তথাকথিত আব্রাহাম অ্যাকর্ড চুক্তি অমান্যের ভয়েই নিশ্চুপ রয়েছে দেশগুলো। আর এ কারণেই সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদানের জনগণের মধ্যে সাম্প্রতিক ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ শুরু হলেও দেশগুলো কৌশলে তা স্তিমিত করার চেষ্টা করছে।

তেল সমৃদ্ধ পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের যেসব দেশগুলো গত বছর ইসরাইলের সঙ্গে সন্ধি করেছে, তারাও গাজায় হত্যা-হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা তারা কেউ এখনও বলেনি।

জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলের পুলিশের অভিযান এবং গাজা উপত্যাকায় বিমান হামলা- এসব ঘটনাকে ইসরাইলের ‘নির্লজ্জ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ’ আখ্যায়িত করে তার নিন্দা জানিয়েছেন আরব দেশগুলোর কর্মকর্তারা। তবে সেখানেও সূক্ষ্মভাবে তারা ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছেন।

রিয়াদের আবদুর রহমান আল-তোয়াজরির মতে, যেসব আরব দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক করেছে, তাদের আবারও সেটা ভেবে দেখা উচিত, কারণ ইসরাইল প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে বলে বিশ্বাস হয় না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

গোলান মালভূমি সিরিয়ার ছিল এবং সিরিয়ারই থাকবে: দামেস্ক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১, ০৪:৫৮
গোলান মালভূমি সিরিয়ার ছিল এবং সিরিয়ারই থাকবে: দামেস্ক

সংগৃহীত ছবি

সিরিয়ার গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের কথিত ‘সার্বভৌম অধিকার’ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তীব্র ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে দামেস্ক। সিরিয়া বলেছে, ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমি সিরিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং ভবিষ্যতেও সিরিয়ারই থাকবে।

সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, “অধিকৃত গোলান মালভূমি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছে আরব প্রজাতন্ত্র সিরিয়া। ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের প্রতি আমেরিকার নিরবচ্ছিন্ন সমর্থনের ধারাবাহিকতায় ব্লিঙ্কেন ওই বক্তব্য দিয়েছেন যা নিন্দনীয়।”

ব্লিঙ্কেন সম্প্রতি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এক শুনানিতে ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন করা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের ‘সার্বভৌম অধিকার’কে স্বীকৃতি দেয় কিনা। 

উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বৈধতার প্রশ্ন বাদ দিলে গোলান মালভূমির ওপর বর্তমানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত সিরিয়া সীমান্তের ওপার থেকে ইসরায়েলের জন্য হুমকি বন্ধ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি এখন যেমন আছে তেমনই থাকবে। আপাতত হুমকি বন্ধ হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।”

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে সিরিয়ার কাছ থেকে দখলিকৃত গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের ‘সার্বভৌমত্বকে’ স্বীকৃতি দিলেও জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সমাজ ইসরায়েলের এই দখলদারিত্বকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নেয়নি বা কেউ স্বীকৃতি দেয়নি।

ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের জবাবে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে আছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা সত্ত্বেও প্রাদেশিক রাজধানী দখলের পথে তালেবান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৩ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:৪৫
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা সত্ত্বেও প্রাদেশিক রাজধানী দখলের পথে তালেবান

সংগৃহীত ছবি

আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্করগাহ দখলের খুব কাছে চলে এসেছে তালেবান বাহিনী। এমনকি ইতোমধ্যে একটি টেলিভিশন কেন্দ্র দখল করার দাবিও করেছে তারা। মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনা অভিযানের অন্যতম কেন্দ্র ছিল হেলমান্দ। এটির পতন হলে বড় ধাক্কা খাবে আফগান সরকার। লস্করগাহের বিভিন্ন অঞ্চলে তালেবানের লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনী। বিমান হামলা সত্ত্বেও শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে রাজপথে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা।

আজ সোমবার (৩ আগস্ট) এসব জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনটি প্রাদেশিক রাজধানীতে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান। লস্করগাহের পতন হলে ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো কোনো প্রাদেশিক রাজধানী এই তালেবানদের দখলে যাবে।

এর আগে গত রোববার কান্দাহারের বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালিয়েছে তালেবান। ওই হামলার পর থেকে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে তারা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কান্দাহার জয় করলে তালেবানদের যুদ্ধে জয়ী হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এ জয়ের মধ্য দিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নেবে তালেবানরা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক