a
ফাইল ছবি
এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ফিলিস্তিনের গাজায় আলজাজিরা, এপি, মিডল ইস্ট আইসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের ব্যবহার করা একটি ভবনে হামলা করেছে ইসরাইল।
আজ শনিবার ১২তলা বিশিষ্ট আল-জালা ভবনটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে হায়েনা ইসরাইলি বাহিনী।
এর আগে ইসরাইলি বাহিনী আলজাজিরা টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য মিডিয়ার স্থানীয় অফিসকে বিমান হামলা থেকে বাঁচতে অবরুদ্ধ গাজার এ অফিসটি থেকে সরে যেতে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। আলজাজিরা লাইভ আপডেটে এসব কথা জানানো হয়।
আলজাজিরার প্রতিনিধি জানান, তারা গত ১৫ বছর যাবত এ অফিসটি ব্যবহার করে আসছিলেন। তারা অফিসটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ আর্কাইভ এবং যন্ত্র ও সরঞ্জামাদি স্থানান্তর করতে পারেননি।
আলজাজিরা ভবন মালিক ও ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তার সাথে তাদের কথোপথনও প্রচার করা হয়েছে, যেখানে তারা মালামাল স্থানান্তরে আরো সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই কর্মকর্তা তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অনেক সাংবাদিক ইসরাইলি বোমাবর্ষণ ও স্বল্প সময়ের নোটিশের কথা উল্লেখ করার বিষয়টি টুইটে আপডেট দিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র : মিডিল ইস্ট আই
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন।
তালেবানের কাবুল দখলের পর তিনি দেশত্যাগ করেন। এ সময় তিনি সঙ্গে করে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে তা প্রত্যাখান করেন। খবর আরব নিউজের।
গত বুধবার আশরাফ ঘানি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, আমি শুধু দেশবাসীর শান্তির কথা ভেবে দেশত্যাগ করেছি। সঙ্গে কোনো টাকা-পয়সা আনিনি। এগুলো সব মিথ্যা প্রচারণা।
গত রোববার তালেবানের হাতে কাবুল পতনের পর বুধবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এলেন আশরাফ ঘানি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশরাফ ঘানি তার বক্তব্যের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এতে তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে এভাবে তিনি থাকতে চান না। দেশে ফেরার জন্য আফগান নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনা চলছে বলেও জানান ওই ভিডিও বার্তায়।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আশরাফ ঘানি চারটি গাড়িভর্তি নগদ অর্থ সঙ্গে নিয়েছিলেন বলে আফগানিস্তানে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়।
রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশনের মুখপাত্র নিকিতা ইশেনকো জানিয়েছিলেন, তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান থেকে পালানোর সময় চার গাড়ি নগদ অর্থ সঙ্গে নিয়েছিলেন আশরাফ ঘানি। সেই অর্থের একটি অংশ তিনি হেলিকপ্টারে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সব কিছু গড়বড় হয়ে যায়। কিছু অর্থ বিমানবন্দরেই রেখে যান ঘানি।
ছবি: আল অ্যারাবিয়া
প্রথমবারের মতো কাবা শরিফে অবস্থিত হাজরে আসওয়াদের (পবিত্র কালো পাথর) স্ফটিক স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (৩ মে) সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘জান্নাতি’ পাথর হাজরে আসওয়াদের সবচেয়ে স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করে।
আল অ্যারাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে— কোভিডের সময় হাজরে আসওয়াদের কাছে ভিড় নেই। এ সুযোগে সৌদি সরকারের দুই পবিত্র মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হাজরে আসওয়াদ বা ব্ল্যাক স্টোনের ছবি নিয়েছে। একেকটি ছবি তৈরি করতে ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে। প্রতিটি ছবি ছিল ১৬০ গেগাবাইটের এবং অবিশ্বাস্য ৪৯ হাজার মেগাপিক্সেলের।
তারপর ফোকাস স্ট্যাকিং নামে একটি কৌশল ব্যবহার করে ছবিগুলো শার্প করতে ৫০ ঘণ্টা লেগেছে। বিভিন্ন ফোকাস পয়েন্টের সঙ্গে একাধিক ফটো একত্রিত করে, ডিজিটাল ফটোগ্রাফিতে ফোকাস স্ট্যাকিং করা হয়।
৪ মে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয় এই ছবিগুলো প্রকাশ করে। এখন যে কেউ প্রথমবারের মতো একটি বর্ধিত ডিজিটাল ফটোতে পাথরটিকে খুব কাছ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে দেখতে পাবেন।
‘হাজরে আসওয়াদ’— কাবাঘরের দেয়ালে বিশেষভাবে স্থাপনকৃত একটি পাথরের নাম। আরবি ‘হাজর’ শব্দের অর্থ পাথর আর ‘আসওয়াদ’ শব্দের অর্থ কালো। অর্থাৎ কালো পাথর। ‘হাজরে আসওয়াদ’ বেহেশতের মর্যাদাপূর্ণ একটি পাথর। হজযাত্রীরা হজ করতে গিয়ে এতে সরাসরি বা ইশারার মাধ্যমে চুম্বন করে থাকেন।
রাসুলের নবুয়তপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ আগের স্থানে কে বসাবেন—এটি নিয়ে কোরাইশদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেধেছিল। তখন মহানবী (সা.) নিজের গায়ের চাদর খুলে তাতে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে চাদর ধরতে বলেন।
গোত্রপ্রধানরা চাদরটি ধরে কাবা চত্বর পর্যন্ত নিয়ে গেলে নবী করিম (সা.) নিজ হাতে তা কাবার দেয়ালে স্থাপন করেন এবং দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটান।
আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.)-এর শাসনামলে হাজরে আসওয়াদ ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ফলে তিনি তা রূপা দিয়ে বাঁধাই করেছেন। আর তিনিই সর্বপ্রথম হাজরে আসওয়াদকে রূপা দিয়ে বাঁধানোর সৌভাগ্য অর্জনকারী। এই পবিত্র পাথরের দৈর্ঘ্য ৮ ইঞ্চি ও প্রস্থ ৭ ইঞ্চি। সূত্র: যুগান্তর