a
ফাইল ছবি
পবিত্র মসজিদ জেরুজালেমের আল-আকসা ও এর আশপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর বর্বরোচিত হামলার জন্য ইসরাইলকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুশিয়ার করেছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন- হামাস। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মার্জুক শনিবার এক বিবৃতিতে ওই হুশিয়ারি দেন। খবর ইয়েনিসাফাকের।
আল-আকসায় নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিদের ওপর গত শুক্র ও শনিবার টানা দুদিন ধরে হামলা চালায় ইহুদিবাদীরা। এতে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হন। তিনি পবিত্র জেরুজালেমে ইহুদিদের হামলার ঘটনায় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নীরবতাকে ধিক্কার জানান। হামাস নেতা মুসা আবু মার্জুক আরও বলেন, আমাদের এ নীরবতার সুযোগ নিয়ে দখলদার ইহুদিবাদীরা গোটা ফিলিস্তিনি গিলে খাচ্ছেন। একের পর এক ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করছেন। প্রতিবাদ করলেই নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য তুরস্ক ও ইরানসহ কয়েকটি মুসলিম দেশ এ বর্বর হামলার জন্য ইসরাইলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইসরাইলি একটি আদালত সম্প্রতি পূর্ব জেরুজালেমের বাসিন্দাদের বাড়ি খালি করার আদেশ দিলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন নেখানকার বাসিন্দারা।
অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণের জন্য এখন পূর্ব জেরুজালেম পর্যন্ত দখলদারিত্ব কায়েম করছে ইসরাইল। এ জবরদখলে ধারা অব্যাহত রেখেছে সেই ১৯৬৭ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়াখ্যাত ইহুদিবাদী এ দেশটি।
ফাইল ছবি
চারটি এইচ–৬ বোমারু বিমানসহ তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের ১৯টি যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দেশটির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হয়।
তাইওয়ান দাবি করেছে, সেগুলোর মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম বোমারু বিমানও ছিল।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করা যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে চারটি এইচ–৬ বোমারু বিমান ছিল। সেগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এছাড়া, বিমানগুলো সাবমেরিন ধ্বংস করতেও ব্যবহার করা হয়।
চীনা জঙ্গি বিমানগুলো তাইওয়ানের ‘প্রাতাস’ দ্বীপের উত্তর–পূর্ব অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়ে যায়। সেগুলোর যাত্রাপথের একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেছে তাইওয়ান।
অনুপ্রবেশের পর চীনা যুদ্ধবিমানগুলোকে সতর্ক করতে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তৈরি রাখা হয়েছিল বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। পাশাপাশি দেশটির কয়েকটি ফাইটার বিমানও পাঠানো হয়।
তবে তাইপের এসব অভিযোগের ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি চীন। তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে বেইজিং। এর আগেও জুনে তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের ২৮টি সামরিক বিমান অনুপ্রবেশ করেছিল।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সবুজ হাওলাদার, ঢাকা: ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করে তামাক। পাশাপাশি এসডিজি’র ১৭টি লক্ষ্যকেই বাধাগ্রস্থ করছে তামাক। তাই ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের বিকল্প নেই।’
আজ রবিবার সকালে (২৩ ফেব্রুয়ারী’২৫) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে-(ডিআরইউ) ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান বক্তারা।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ও স্কয়ার ক্যান্সার সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান মিলন এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইনকিলাবের জেষ্ঠ্য সাংবাদিক মাইনুল হাসান সোহেল।
মূল প্রবন্ধে তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.৩ শতাংশ। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে, পঙ্গুত্ববরণ করে বছরে প্রায় ৪ লাখ মানুষ, পরোক্ষ ধূমপানে শিকার ৪২.৭ শতাংশ। দেশের ৩০ শতাংশ বন উজাড় করে তামাক পাতা পোড়ায় তামাক কোম্পানীগুলো। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির ২০১৯ সালে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফল অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা একইসময়ে এই খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের (২২ হাজার ৮১০ কোটি) চেয়ে অনেক বেশি। সবমিলিয়ে বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং পরিবেশের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে হুমকি সৃষ্টি করছে।
বক্তারা বলেন, তামাক কোম্পানির মূল টার্গেট কিভাবে এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে তামাকে আসক্ত করে ব্যবসা বাড়ানো যায়। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাকপণ্যের প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও কার্যকর বাস্তবায়নের অভাবে তামাক কোম্পানির কূটকৌশল ও চটকদার বিজ্ঞাপনের ফলে, অরক্ষিত হয়ে পড়েছে দেশের তরুণরা।এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উচিত তামাক কোম্পানির ছোবল থেকে তরুণদের সুরক্ষা প্রদান করা। তাই বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) যুগোপযোগী করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের যুগান্তকারী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে যা অত্যন্ত প্রসংশনীয়। তবে আইন শক্তিশালী হলে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তামাক কোম্পানী অপপ্রচার চালাচ্ছে যা একেবারেই ভিত্তিহীন। আইন শক্তিশালীকরণের সাথে রাজস্ব কমার কোন সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে খূচরা বিক্রেতার আয়ের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।
সভাপতির বক্তব্যে ইকবাল মাসুদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাসের মাধ্যমে এফসিটিসি’র সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও শক্তিশালী করতে হবে যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি, তামাক কোম্পানির কূটকৌশল ও হস্তক্ষেপ মোকাবেলায় এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ অনুসারে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।