a
ফাইল ছবি
ইসরায়েলি একটি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মার্টফোনে আড়িপাতার ঘটনা ফাঁস হয়েছে। ‘পেগাসাস’ নামে একটি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে এই আড়ি পাতার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৮ জুলাই) গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পেগাসাস’ নামক স্পাইওয়্যারটি ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি। আর এর মাধ্যমেই বিম্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, এমনকি কোনো দেশে ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্যদের ওপরও আড়ি পাতা হয়েছে।
মূলত কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোর সরকার আড়ি পাতার কাজে এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে। জানা গেছে, পেগাসাস হলো একটি ম্যালওয়্যার (বিশেষ ধরনের ভাইরাস)। এর মাধ্যমে আইফোন ও অ্যানড্রয়েড ফোনের সব মেসেজ, ছবি, ই–মেইল, কল রেকর্ড বের করা যায়। এই ম্যালওয়্যার ফোন ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতেই মাইক্রোফোন চালু করে দেয়।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ৫০ হাজারের বেশি ফোন নম্বরের একটি তালিকা ফাঁস হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে এনএসওর গ্রাহকেরা এসব নম্বরে আড়ি পেতেছে। প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংবাদ সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রথম এই তালিকা হাতে পায়। পরে তা অন্যান্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেয়।
গার্ডিয়ান–এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া তালিকায় যাদের নম্বর রয়েছে, তা ভবিষ্যতে প্রকাশ করা হবে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, একাডেমিক, এনজিও কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রীসভার সদস্য, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীরা রয়েছেন।
ফাইল ছবি
পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া।
মস্কো বলছে, অবরোধের মত পদক্ষেপগুলো দেশটিতে বিভেদ ও সংঘাত আরো বাড়িয়ে দেবে। রাশিয়া জান্তা সরকারের অন্যতম মিত্র দেশ এবং মিয়ানমারের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করে থাকে রাশিয়া।
এদিকে, জান্তা সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, শিগগিরই সামরিক সরকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ইইউ।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
জান্তা সরকার গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় বলে জানায়। সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়ে আসছে এবং জান্তা সরকার শত শত মানুষকে হত্যা করে যাচ্ছে।
ফাইল ছবি
ভারতের ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মাওবাদীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে ২২ ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে ছত্তিশগড়ের ডিজিপি ডিএম অবস্থী জানিয়েছেন, শনিবার বিজাপুরের তারেম এলাকায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এতে দু’পক্ষের সঙ্গে গোলাগুলি শুরু হলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার সকালে ছত্তিশগড়ের পুলিশ কর্মকর্তা অশোক জুনেজা বলেন, মাওবাদীবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা সদস্যদের মৃত্যুর সংখ্যাই বেশি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩১ জওয়ান।
এদিকে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বিজাপুরের পুলিশ সুপার কমলচরণ কাশ্যপের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, এখন পর্যন্ত ২২ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের এলিট কোবরা ইউনিট, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে মাওবাদীরা হামলা চালালে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।