a ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে স্মার্টফোনে আড়িপাতা: ঘটনা ফাঁস
ঢাকা বুধবার, ১৬ পৌষ ১৪৩২, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে স্মার্টফোনে আড়িপাতা: ঘটনা ফাঁস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১, ০৯:১৯
ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে স্মার্টফোনে আড়িপাতা: ঘটনা ফাঁস

ফাইল ছবি

ইসরায়েলি একটি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মার্টফোনে আড়িপাতার ঘটনা ফাঁস হয়েছে। ‘পেগাসাস’ নামে একটি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে এই আড়ি পাতার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৮ জুলাই) গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পেগাসাস’ নামক স্পাইওয়্যারটি ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি। আর এর মাধ্যমেই বিম্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, এমনকি কোনো দেশে ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্যদের ওপরও আড়ি পাতা হয়েছে।

মূলত কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোর সরকার আড়ি পাতার কাজে এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে। জানা গেছে, পেগাসাস হলো একটি ম্যালওয়্যার (বিশেষ ধরনের ভাইরাস)। এর মাধ্যমে আইফোন ও অ্যানড্রয়েড ফোনের সব মেসেজ, ছবি, ই–মেইল, কল রেকর্ড বের করা যায়। এই ম্যালওয়্যার ফোন ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতেই মাইক্রোফোন চালু করে দেয়।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ৫০ হাজারের বেশি ফোন নম্বরের একটি তালিকা ফাঁস হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে এনএসওর গ্রাহকেরা এসব নম্বরে আড়ি পেতেছে। প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংবাদ সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রথম এই তালিকা হাতে পায়। পরে তা অন্যান্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেয়।

গার্ডিয়ান–এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া তালিকায় যাদের নম্বর রয়েছে, তা ভবিষ্যতে প্রকাশ করা হবে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, একাডেমিক, এনজিও কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রীসভার সদস্য, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীরা রয়েছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে তুমুল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ২৬ ফেরুয়ারী, ২০২২, ১২:৫৭
রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে তুমুল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী

ফাইল ছবি

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র হামলা ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের দক্ষিণ, পূর্ব এবং উত্তরের প্রধান শহরগুলোর চারপাশে তীব্র যুদ্ধ চলছে। খবর বিবিসির

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী চেষ্টা করছে রাজধানী কিয়েভ পুরোপুরি দখল করে নেওয়ার। এর পর তারা দেশটির নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবে। কিয়েভের মাইডান স্কয়ারের কাছে একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং শহরের ত্রয়েশ্চিনা এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কিয়েভের ওপর গোলা হামলার শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে, শহরের কেন্দ্র থেকে কয়েক মাইল দূর পর্যন্ত শব্দ পেয়েছেন তারা। কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, শহরের চিড়িয়াখানার কাছে এবং শুলিয়াভকা শহরের আশপাশে ৫০টিরও বেশি বিস্ফোরণ এবং ভারি মেশিনগানের গোলাগুলি হয়েছে।

ইউক্রেনীয় স্টেট স্পেশাল সার্ভিসের মতে, রাজধানীর ট্রয়েসচিনা এলাকার সিএইচ পি-৬ পাওয়ার স্টেশনের কাছে তীব্র লড়াই চলছে। এ হামলার মাধ্যমে পুরো শহরটিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে পারে।

কিয়েভের পেরেমহি অ্যাভিনিউয়ে গাড়ির ধ্বংসাবশেষ এবং বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

ভাসিলকিভের একটি বিমানঘাঁটির কাছে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ান প্যারাট্রুপাররা কিয়েভের ওপর হামলা চালানোর জন্য এই ঘাঁটি তাদের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে।

অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনী দাবি করছে, তারা কৃষ্ণসাগরের শহর মাইকোলাইভে থেকে রাশিয়ানদের সফলভাবে হটিয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে কিয়েভ সেনাঘাঁটিতে হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী শনিবার একটি ফেসবুক পোস্টে জানায়, কিয়েভের একটি সেনাঘাঁটিতে রাশিয়ান সৈন্যরা আক্রমণের চেষ্টা করলে তারা এর বিরুদ্ধে তুমুল লড়াই শুরু করে। এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থোনিও গুতেরেস রুশ সেনাদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শান্তিকে আরেকটি সুযোগ দেওয়া উচিত। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর পরই তিনি মন্তব্য করেন, যেখানে ইউক্রেনে আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতার কারণে এই খসড়া প্রস্তাবটি ব্যর্থ হয়ে যায়। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জুম-এর উত্থান ও একটি ইতিহাস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৭:২৭
জুম-এর উত্থান ও একটি ইতিহাস

ফাইল ছবি

চীনে উৎপত্তি হ্ওয়া করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারী রোগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ কোভিড-১৯ নামে। এই ভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের মার্চে থেকেই পুরো বিশ্বে আতঙ্ক চরমে ওঠে। অফিস, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সকল প্রতিষ্ঠান এক এক করে বন্ধ হয়ে যায়। করোনার ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেয়। ধীরে ধীরে ব্যবসা, পড়াশোনা, যোগাযোগ সব বন্ধ হয়ে গেলো। তখন মানুষ ব্যাপকভাবে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হতে লাগলো। 

আর মানুষের সেই কাজকে সহজ করে দিয়েছে অডিও-ভিডিও কনফারেন্সিং মাধ্যম জুম। ইন্টারনেটের সাহায্যে ডিভাইসে (যেমন, মোবাইল, কম্পিউটার) অ্যাপ ব্যবহার করে এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে কয়েকজন ব্যবহারকারী একসঙ্গে ভিডিও কলে যুক্ত হতে পারেন। বলতে গেলে যোগাযোগকে সহজ এবং আরও বাস্তব করে তুলেছে জুম।

করোনাকালীন জুমের জনপ্রিয়তা:
মানুষ যখন করোনার কারনে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে তখন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জুমের উপর নির্ভর হচ্ছিলো। লকডাউন শুরুর পর এই অ্যাপের ব্যবহার জনপ্রিয়তা কতটা বেড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। জুমে কী না করেছে মানুষ? অনলাইন ক্লাস, ক্লাসপার্টি, অফিসের কাজ, মিটিং, আদালতের বিচারকাজ, সরকারি মিটিং, এমনকি বিয়ের আয়োজনও হয়েছে জুমে। 

কতক ক্ষেত্রে যে জুম মানুষকে পথ দেখিয়েছে, তা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে। ফেব্রুয়ারিতে জুম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২ দশমিক ২২ মিলিয়ন অর্থাৎ ২২ লাখ। যার পরিমান ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ছিল প্রতিদিনের ব্যবহারকারীর প্রায় ১০ মিলিয়নের মতো। সেখান থেকে ২০২১ সালের এপ্রিলে দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০০ মিলিয়নে।

জুমের জনপ্রিয়তার রহস্য :
অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে অন্যান্য অ্যাপ থাকতে জুম এত জনপ্রিয় কেন? কারন হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, জুমের ফ্রি ভার্সনে একসঙ্গে ১০০ জন ব্যবহারকারী একসঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং এ যুক্ত হতে পারেন। যেখানে মাইক্রোসফটের ফ্রি ভার্সনে মাত্র ৫০ জন এর বেশি ব্যবহারকারী একসাথে  যুক্ত হতে পারেন না। 

আবার ৪০ মিনিটের বেশি সময় কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত থাকতে হলে মাসে খরচ করতে হয় ১৪ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার। তবে এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারকারীদের খরচ করতে হয় ১৯ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার। জুমে রয়েছে, প্রাইভেট কল, সরাসরি মেসেজ পাঠানোর সুবিধা এবং পারসোনালাইজড টুলসহ নানা ফিচার।

জুমের যাত্রা:
২০১১ সালের শুরুরদিকে ৪০ জন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে নতুন একটি কোম্পানি চালু করেন এরিক ইউয়ান। শুরুতে এর নাম ছিল ‘সাসবি’। কোম্পানিটি প্রথমদিকে  বিনিয়োগ অভাবে কাজ করতে পারেনি। সকলের মত ছিল বর্তমানে ভিডিও টেলিফোনোর বাজার পড়ে গেছে। এ কারণেই কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান এর পেছনে বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল না। ভাগ্যক্রমে সে বছরই বছরের জুন মাসে বেশ কিছু পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ পায় কোম্পানিটি। পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে ‘সাসবি’ জুম নামটি ধারণ করে। 

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটি একটি বেটা ভার্সন চালু করে যেটির মাধ্যমে ১৫ জন ব্যবহারকারী ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হতে পারতেন। একই বছরের নভেম্বরে প্রথম গ্রাহক হিসেবে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে আরও কোম্পানিটি আরও বিনিয়োগ পায়। সেসময় জুম ১.১ ভার্সন চালু করে। এতে ২৫ জন ব্যবহারকারী একসঙ্গে যুক্ত হতে পারতেন। চালুর এক মাসের মধ্যে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ লাখ। এরপর মে মাসের মধ্যেই ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছে ১ মিলিয়নে।  

তবে মজার ইতিহাস হলো, জুমের আবিস্কার হয়েছে এরিক ইউয়ান এর একান্ত এক ব্যক্তিগত এক সম্পর্ক থেকে। কলেজে পড়ার সময় তার এক বান্ধবি ছিল তার সাথে দেখা করতে তাকে অনেকটা পথ পেরিয়ে যেতে হতো। সময় লেগে যেত প্রায় ১০ ঘণ্টা। তখন থেকেই চিন্তা করতেন যদি এমন কোনো মাধ্যম থাকতো, যার সাহায্যে দূর থেকেও একে অপরকে মূহুর্তেই মন চাইলে দেখে দেখে কথা বলা যেত। তখন হয়তো চিন্তাও করেন নাই তিনিই একদিন সেই মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষকে যুক্ত করে সেবা দিতে পারবেন। তার সেই ভাবনা- আজকের জুম। যা তাকে বিশ্বের শীর্ষ ৪০০ ধনীর কাতারে এনে দিয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক