a ড. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ খারিজ করেছে ইন্টারপোল
ঢাকা মঙ্গলবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ড. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ খারিজ করেছে ইন্টারপোল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রবিবার, ০২ মে, ২০২১, ১১:৫৩
ড. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ খারিজ করেছে ইন্টারপোল

ফাইল ছবি

ভারতের ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার অনুরোধ খারিজ করেছে ইন্টারপোল। এ নিয়ে মোট তিন বার ভারত সরকারের অনুরোধ খারিজ করে দিল ইন্টারপোল। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

ইন্টারপোল সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে অর্থ রোজগার করা এবং তা অপ্রাসঙ্গিক জায়গায় খরচ করাকে আর্থিক দুর্নীতি বলা যায় না এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ইন্টারপোল। আর তাই জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ খারিজ করা হয়েছে। 

এমনকি এনআইএ (ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় তদন্ত সংস্থা) যে তথ্যপ্রমাণ পেশ করেছিল ইন্টারপোলের সামনে তাও বাতিল হয়ে গেছে। ধর্মীয় বক্তব্য রাখার জন্য আর্থিক দান নেয়াকে অপরাধ বলে গণ্য করা যায় না বলেও সাফ জানিয়েছে ইন্টারপোল।

এ বিষয়ে জাকির নায়েকের আইনজীবী এস হরি হারাণ জানান, ইন্টারপোল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার কপি তিনি হাতে পেয়েছেন। এই বিষয়ে অবশ্য এনআইএ’র মুখপাত্র কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে এনআইএ সূত্রে খবর, এনআইএ ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছে এবং পরবর্তীতে তা পরীক্ষা করে ফের অনুরোধ জানাবে ইন্টারপোলকে।

প্রসঙ্গত, ভারতের ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েক বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিয়ে চীনের উত্থান! দায় এড়াতে পারবে পশ্চিমা শক্তি?


খোরশেদ আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩, ০২:৪৫
যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিয়ে চীনের উত্থান! দায় এড়াতে পারবে পশ্চিমা শক্তি?

ছবি সংগৃহীত

সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখেনা ভূরাজনীতিতে এর প্রভাব ও গুরুত্ব কত অপরিসীম! সারা বিশ্বে হঠাৎ চীন যেভাবে আধিপত্য বিস্তারে যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে  তার দায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্র এড়াতে পারবে?

ইরান-সৌদি আরবে সন্ধি স্থাপনের পর পরই আরব রাজনীতিতে বরফ গলতে শুরু করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরাক,ইয়েমেনসহ অন্যান্য দেশগুলোর সাথে ইরানের যে বৈরিতা শুরু হয়েছিল, সৌদির সাথে ইরানের সম্পর্ক উন্নয়নে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে আমুল পরিবর্তন আসছে।

মূল কথায় আসি। যদিও চীন মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা আনয়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছে কিন্তু ভূ-রাজনীতি বিবেচনায় চীনকে গনতন্ত্রের সহায়ক শক্তি হিসেবে কখনো বিবেচনা করা যাবে না। কারন চীন অর্থনৈতিক, সামরিক শক্তির পাশাপাশি বহুমাত্রায় নিজের শক্তি বাড়াতে মধ্যপ্রাচ্যসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহিত যোগাযোগ বৃদ্ধি করেইা যাচ্ছে। আর এটা করতে গিয়ে বেছে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশের ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদী সরকারকে। দেশটি নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে আর্থিক সহযোগিতার নামে ফ্যাসিবাদ রপ্তানি করছে এবং আমেরিকার পুঁজিবাদী মুক্তবাজার মডেলের বিপরীতে হিউম্যান অথোরিটি বা মানুষের কর্তৃত্ব নিয়ে বিশ্বকে দখলে নিতে চাচ্ছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মান, জাপান ও ইতালি অক্ষশক্তিগুলোর পতন হলে যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাদী অর্থনীতির নাম করে মুক্তবাজার ও উদার রাজনীতির খোলস পরে মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার ধোঁয়া তুলে বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার নামে বিভিন্ন দেশে অন্যায়ভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন করেছে। অনেক ক্ষেত্রে নিরংকুশ জনপ্রিয় ও গণতান্ত্রিক সরকারগুলোকেও অন্যায়ভাবে ক্ষমতা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তাদের ইচ্ছা মতো শাসককে বসিয়ে দিতেও কার্পন্য করেনি। এসব করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দেশের কিছু সুশীল সমাজ, জনসাধারণ ও সামরিক বাহিনীকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করেছে। যদিও ইদানীং চীনকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র তার নীতির পরিবর্তন এনেছে, তারপরও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন হীন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বুঝতে পেরে এবং একক ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র করোনা উত্তরোত্তর ও খালি হাতে আফগানিস্তান ও ইরাক হতে সৈন্য ফেরত এককচ্ছত্র ক্ষমতা শৈথিল্য বিশ্ব দরবারে প্রকাশের ফলে দেরিতে হলেও ঘুপটি মেরে থাকা দেশগুলো বর্তমানে চীন-রাশিয়ার বলয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে চলে আসছে।

পূর্বেই বলেছি চীন তার শক্তির বলয় বাড়াতে বিভিন্ন দেশে ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সমর্থন দিয়ে আমেরিকার আধিপত্যবাদ ঠেকিয়ে নিজেদের দিকে ভেড়াচ্ছে। ফলে চীন রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, মায়ানমার, সিরিয়াসহ অগনতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্বরাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান পাকা পোক্ত করতে মরিয়া।

এদিকে, চীন তার শক্তি বৃদ্ধিতে অর্থনৈতিক শক্তি, দক্ষ কূটনীতি ও সামরিক শক্তি দিয়ে বিভিন্ন দেশ ও শাসককে নিরবে নিজেদের পক্ষে নেয়ার কাজ করে যাচ্ছে। আর এটা করতে গিয়ে চীন বিভিন্ন দেশের অগণতান্ত্রিক সরকারগুলোর সাথে কাজ করছে। এরই সর্বশেষ উদাহরণ ইরান-সৌদি আরবকে মিলিয়ে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে আমেরিকার বলয় থেকে বের করার সুযোগ সৃষ্টি করে চমক তৈরির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও চীন একই নীতিতে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের নিরাপত্তার কথা বলে ফিলিস্তিনীসহ আরব দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রষ্ট নীতির কারনে বিশ্বের শান্তিকামী মুসলমানকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা উল্লেখ না করলেই নয়। বাংলাদেশের জন্ম থেকে বর্তমানবধি যুক্তরাষ্ট্রের প্রচ্ছন্ন ভূমিকা এদেশের স্বাধীন প্রিয় ও সচেতন জনগনকে আশাহত করে অনেক অনেক ক্ষেত্রে। আর যুক্তরাষ্ট্রের এসব রাজনীতিতে ইইউসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো নির্লজ্জ সমর্থনের কারনে অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বলয় থেকে বেরিয়ে চীন-রাশিয়ার বলয়ে ঝুঁকছে।

আরো উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ সময়ে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই করে নিজেদের ইমেজ নষ্ট করেছে। এরমধ্যে আরও দৃশ্যমান তাদের নীতিতে দ্বি-চারিতা ও দূর্বল কূটনৈতিক কৌশল। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোতে অযথা সংঘাত বাধিয়ে সেসব দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার জ্বলন্ত উদাহরণ সম্পর্কে সম্যক ধারণা সবার।

তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষয়িষ্ণু শক্তির বিপরীতে চীনের উত্থান কোনভাবেই বিশ্ববাসীর জন্য আশাপ্রদ নয়। কারণ চীন বিভিন্ন দেশের এক নায়কতন্ত্র লৌহমানব ও কর্তৃত্ববাদী শাসকদের সঙ্গে নিয়ে একক মঞ্চ তৈরি করার সুযোগ করে দিচ্ছে ও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিগুলোর যুদ্ধাংদেহী মনোভাব ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির কারনে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মিত্র দেশগুলোকে একে একে হারানোর ফলে সেসব জায়গাগুলো পূরণ করছে চীন। বিশেজ্ঞদের ধারণা, বিশ্ব ভূ-রাজনীতিতে চীনের উত্থানের দায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো কোনভাবে এড়াতে পারবে না।

 

মোহা. খোরশেদ আলম
কলাম লেখক ও সম্পাদক মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
নির্বাহী পরিচালক
হিউম্যানরাইটস এন্ড এনভায়রমেন্ট ডেভে. সোসাইটি

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

রাশিয়া পশ্চিমাদের মোকাবেলায় মুসলিম দেশগুলোকে পাশে পেতে চান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১, ০৩:৩৯
রাশিয়া পশ্চিমাদের মোকাবেলায় মুসলিম দেশগুলোকে পাশে পেতে চান

ফাইল ছবি

মুসলিম দেশগুলোর সহিত সম্পর্ক বহুমুখীকরণ করতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

বুধবার রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় ল্যাভরভ এই আহ্বান জানান। রাশিয়া এবং মুসলিম বিশ্বের মধ্যে এটি হচ্ছে দ্বাদশ সম্মেলন। রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় কাজান শহরে সম্মেলনটি শুরু হয়েছে।

রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপকভিত্তিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

আজ শুক্রবার সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলো অংশ নিচ্ছে।

সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় ল্যাভরভ বলেন, “মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, অংশীদারিত্ব এবং আন্তঃধর্মীয় ও আন্ত সভ্যতার সংলাপ, জাতিসংঘ সনদের লক্ষ্য ও আদর্শ সামনে রেখে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতির ভিত্তির ওপর রাশিয়ার এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত। এ কারণে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে এবং সফলতার সাথে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে নানামুখী যে সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছি তা ন্যায় সঙ্গত।”

এই সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় রাশিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক আলেকজান্ডার বিকান্তভ বলেন, তার দেশ এবং মুসলিম বিশ্বের ওপর পশ্চিমা দেশগুলো অব্যাহতভাবে গোয়েন্দা যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। পশ্চিমাদের এই শত্রুতা মোকাবেলার জন্য রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক