a দেশ ত্যাগে উৎসাহিত না করতে আমেরিকাকে সতর্ক করলো তালেবান
ঢাকা রবিবার, ৬ পৌষ ১৪৩২, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

দেশ ত্যাগে উৎসাহিত না করতে আমেরিকাকে সতর্ক করলো তালেবান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৫ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:০৩
দেশ ত্যাগে উৎসাহিত না করতে আমেরিকাকে সতর্ক করলো তালেবান

সংগৃহীত ছবি

আফগান নাগরিকদের দেশ ত্যাগ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে চলে যেতে উৎসাহ না দেয়ার জন্য আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছে তালেবান। 

মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ।

বিদেশি সেনাদের কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করার নির্ধারিত তারিখ নবায়ন করা হবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “বিদেশি পার্সপোর্টধারী সবাইকে পূর্ব নির্ধারিত ৩১ আগস্টের সময়সীমার মধ্যে কাবুল ত্যাগ করতে হবে। তবে আমরা আফগান নাগরিকদের দেশ ত্যাগের পক্ষে নই।”

তিনি বিদেশ গমনের লক্ষ্যে কাবুল বিমানবন্দরে ভীড় করা আফগান নাগরিকদেরকে তাদের ঘর-বাড়িতে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান এবং তাদেরকে দেশ ত্যাগে উৎসাহ না দেয়ার জন্য আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানান।

জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “আমরা আমেরিকাকে বলে দিয়েছি তারা যেন আফগান নাগরিকদের দেশ ত্যাগে উৎসাহ না দেয়। কারণ, আমাদের নাগরিকদেরকে নিয়ে তারা নিচু মানের কাজে নিয়োগ দেবে।”

তালেবান মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আফগানিস্তানে বিদেশি মিশনগুলোর নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি এবং সব বিদেশি কূটনীতিক নির্ভয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।

মুজাহিদ বলেন, তালেবান এখনো সরকার গঠন না করলেও সব সরকারি অফিস-আদালত খুলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সব ধরনের ব্যাংক আজ-কালের মধ্যে খুলে যাবে এবং সব ধরনের অর্থনৈতিক তৎপরতা আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চলবে।

সরকারি অফিস-আদালতে কর্মরত নারী চাকরিজীবীদের ভবিষ্যত সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে তালেবান মুখপাত্র বলেন, তাদের জন্য প্রথমে দায়মুক্তির ব্যবস্থা করা হবে এবং এরপর তারা কাজে যোগ দিতে পারবেন। 

জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, শিগগিরই নারীদের লেখাপড়া ও চাকরির ব্যাপারে আমাদের নীতি ঘোষণা করা হবে। নারীরা শিল্পকর্ম চালিয়ে যেতে পারবে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের মানদণ্ড ইসলামি শরিয়ত। শরিয়ত একজন নারীকে যতটুকু স্বাধীনতা দিয়েছে তার ভেতরে থেকে নারীরা সব ধরনের কাজকর্ম করতে পারবে।

তালেবান মুখপাত্র অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে আফগান যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। কাজেই পাঞ্জশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ভারতের আকাশপথ এড়াতে পারে অনেক দেশ, বড় লোকসানের শঙ্কা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৯ আগষ্ট, ২০২১, ১০:৩১
ভারতের আকাশপথ এড়াতে পারে অনেক দেশ, বড় লোকসানের শঙ্কা

ফাইল ছবি

তালেবানের কবলে পড়া কাবুলের আকাশপথে ঢুকতে পারছে না অনেক দেশ। যার জেরে ভারতের আকাশপথ থেকেও বিমান ঘুরিয়ে নিচ্ছে সংস্থাগুলি। সেটা হলে অচিরেই বড়সড় আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে পারে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এশিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার অন্যতম রাস্তা ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের আকাশপথ ধরে ইউরোপের সীমান্তে প্রবেশ করা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বহু বিমান সংস্থাই আফগানিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে চাইছে না। কোনো কোনো দেশ ইতোমধ্যেই দেশের বিমান সংস্থাগুলিকে যাত্রাপথ বদলের নির্দেশ দিয়েছে। অসুবিধা হলো, যাত্রাপথ বদলালে বহু বিমান ভারতের আকাশপথও ব্যবহার করতে পারবে না। তাদের পথ পরিবর্তন করতে হবে। ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে।

বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ''এতদিন বহু বিদেশি বিমান দিল্লি হয়ে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের উপর দিয়ে ইউরোপে ঢুকে যেত। ভারতের আকাশ সীমা ব্যবহারের জন্য তারা বিপুল অঙ্কের মাশুল দিত। কিন্তু রুট পরিবর্তন হলে তারা ভারতের এয়ারস্পেসে ঢুকবে না।'' 

বস্তুত, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বহু বিমান কলকাতার উপর দিয়েও যাতায়াত করে। সেই বিমানগুলিও রুট বদলাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 
বিমানবন্দরের আরেক কর্মকর্তার বক্তব্য, ইতোমধ্যেই বহু বিমান রুট বদলেছে। আফগানিস্তানের আকাশপথ দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো তারা দিল্লি এবং এবং পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করছে। কিন্তু তাতে তাদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই পুরোওয়া রুট বদলে নের পরিকল্পনা করছে।

এর আগে বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর বেশ কিছুদিন পাকিস্তানের এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে সময়েও দিল্লির উপর দিয়ে যাওয়া বিমান যাত্রাপথ পরিবর্তন করেছিল। ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল। তবে সে ঘটনা ছিল সাময়িক। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অনেক জটিল। আদৌ সেখানকার আকাশপথ অদূর ভবিষ্যতে ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। এবং সে কারণেই বহু বিমান সংস্থা নতুন রুট তৈরির পরিকল্পনা করছে।

এমনিতেই করোনার কারণে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্র জানাচ্ছে, ভারত হয়ে পাকিস্তানে ঢোকা বিমানের সংখ্যা অন্তত ৬০ শতাংশ কমে গেছে। 

শুধু তাই নয়, কোনো কোনো বিমান সংস্থা এই রুটের বিমান বন্ধ করে দেওয়ার কথাও ভাবছে। কারণ করোনায় বিমান সংস্থাগুলিরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ফলে সাময়িক রুট বদলে তারা ক্ষতির পরিমাণ বাড়াতে চাইছে না।

কোনো বিমান যখন অন্য দেশের আকাশসীমায় ঢোকে তখন সেই দেশ তাকে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) পরিষেবা প্রদান করে। তার বিনিময়ে বিমানসংস্থা ওই দেশের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিপুল পরিমাণ টাকা দেয়। এর থেকে লাভবান হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ভারতের ভয়, তালেবানের ভয়ে তাদের সেই রোজগার অনেকটাই কমে যেতে পারে।

সূত্র: আনন্দবাজার ও ডয়েচে ভেলে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

উন্নত চিকিৎসার জন্য শীঘ্রই খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়া হবে: ড. জাহিদ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৫:১৪
উন্নত চিকিৎসার জন্য শীঘ্রই খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়া হবে: ড. জাহিদ

ছবি সংগৃহীত: বেগম খালেদা জিয়া

 

নিউজ ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শীঘ্রই বিদেশে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানান, খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসেটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখানে থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক সুস্থতা ওপর নির্ভর করে আমরা যাতে অতি দ্রুত উনাকে বিদেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি সেই প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। তারই অংশ হিসেবে আমরা ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’র ভাড়া করার জন্য কাজ শুরু করেছি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগও চলছে।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরের দিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি প্রদান করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতির দুই মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেখান থেকে মুক্তি পান।

এরই মাঝে বিভিন্ন জটিল রোগে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে একাধিকবার হাসপাতালেও ভর্তি করা হয় এবং তিনি দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালেই কাটিয়ে দেন। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার তাকে কোন ভাবেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে তার পরিবার ও দল থেকে বিশেষ উদ্যোগে দেশেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। তিনি রাজধানীর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালেই নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক