a
ফাইল ছবি
ইরানের ইসলামী বিপ্লব গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি নৌ শাখার কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসিরি বলেছেন, পারস্য উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলো সম্পূর্ণভাবে নজরদারিতে আছে।
তিনি বলেন, শত্রুদের সকল বিষয় নজরদারিতে রয়েছে এবং কোনো জাহাজ পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করছে এবং বের হয়ে যাচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে পর্যবেক্ষণে আছে। তিনি আরও বলেন, হরমুজ প্রণালীর ব্যান্ডউইথ কন্ট্রোল কোড অনুসারে এসব জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আলী রেজা তাংসিরি বলেন, এ অঞ্চলে আইআরজিসি'র উপস্থিতি শুধুমাত্র সামরিক কারণে নয় বরং জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর উপস্থিতি রয়েছে। তিনি পারস্য উপসাগরকে উন্নয়নের ইঞ্জিন বলেও মন্তব্য করেন।
রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসিরি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হওয়ায় এবং এ এলাকায় ভৌগলিক বিশেষ গুরুত্ব পাওয়ায় পাশ্চাত্যের কিছু দেশ ও শক্তি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অবৈধ উপস্থিতি বজায় রেখেছে।
তিনি বলেন, ‘পারস্য উপসাগরে আইআরজিসি’র পুরো নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বাসিজের উপস্থিতির কারণে বাড়তি জনশক্তি যুক্ত হয়েছে। এখন আমরা ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রো-অপটিক সিস্টেম ব্যবহার করে পারস্য উপসাগরের সমস্ত গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছি।’ সূত্র : পার্সটুডে
ফাইল ছবি
গোলাগুলি নেই, বোমবর্ষণও নেই। তারপরও আতঙ্ক কাটছে না। ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে এখনো আতঙ্কে দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষত মিশ্র অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক ভয় কাজ করছে ইসরায়েলের মধ্যে। বর্তমানে ফিলিস্তিনিদের দোকান থেকে রুটি পর্যন্ত কিনছেন না ইসরায়েলি নাগরিক। ইসরায়েলির দোকানে যাচ্ছেন না ফিলিস্তিনিরা। একের অপরের প্রতি নতুন করে বিশ্বাস গড়তে অনেক সময় লাগবে।
ইসরায়েলের মিশ্র অঞ্চলের বহু মানুষ বলেছেন, যুদ্ধবিরতি স্থায়ী সমাধান নয়। মূল সমস্যার সমাধান না হলে ফের লড়াইয়ের সম্ভাবনা আছে। সহিংসতার সম্ভাবনা এখনো উড়িয়ে দেয়া যায়না।
রাজধানী তেল আবিবের প্রান্তে বহু ফিলিস্তিনি থাকেন। সাংবাদিকদের তারা জানিয়েছেন, রাস্তায় নামলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। স্বাধীনভাবে চলাফেরা পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। জেরুজালেমের পূর্ব অংশের ছবিও একই রকম। সেখানেও বহু ফিলিস্তিনি বাস করেন। কিছুদিন আগে সেখান থেকে হাইফা শহরে গেছেন সামাহ।
সাংবাদিকদের তারা জানিয়েছেন, জেরুজালেমে নিজের কৌমের মধ্যে থাকার সুযোগ থাকলেও, হাইফাতে সেই সুযোগ নেই। হাইফার জনগণকে জাতিবিদ্বেষের শিকার হতে হয়।
অভিযোগ, পুলিশও বিদ্বেষপূর্ণ মনোবভাব দেখায়। রাস্তায় বের হলেই নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। বস্তুত, লড়াইয়ের সময় এই অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। দুই গোষ্ঠীই একে অপরের উপর আক্রমণ করেছিল।
এদিকে, দুই দিন যুদ্ধবিরতির পর খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দির মাউন্ট। ওই মন্দিরের পাশেই আল আকসা মসজিদ। পুলিশ দর্শনার্থীদের এসকর্ট করে নিয়ে যাচ্ছে মন্দিরে। এই অঞ্চলটিতে গত সপ্তাহে ব্যাপক গন্ডগোল হয়েছিল এবং মসজিদ ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।
মুসলমানদের কাছে এই অঞ্চলটি অনেক পবিত্র। তাই নতুন করে মসজিদ খুলে দেওয়ার ফলে সেখানে সামান্য উত্তেজনা হয়েছিল। তবে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি দুই অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
ফাইল ছবি
ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ ম্যাচ মনে করা হয় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ। উভয় প্রতিপক্ষের একে অপরের সাথে লড়াই বলতেই ফুটবল অন্যরকম এক রোমাঞ্চ দেখা যায় ভক্তদের মাঝে। কোপা আমেরিকার প্রায় দুই মাস পর আজ রবিবার দিবাগত রাত ১টায় ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আবারো মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা।
মহারণের আগে দুই দলেই বিরাজ করছে শেষ ম্যাচে জয়ের আত্মবিশ্বাস। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে পৌছায় আর্জেন্টিনা। সেই তুলনায় চিলির বিপক্ষে জিততে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে সেলেসাওদের। কেননা ভ্রমণ জটিলতার কারণে শীর্ষ ৯ খেলোয়াড়কে পায়নি তারা। তবুও এভেরটন রিভেইরোর একমাত্র গোলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা সপ্তম জয় তুলে নেয় তিতে শিষ্যরা।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জিতে সংখ্যাটা আটে পরিণত করতে চান এভারটন, চিলির বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘টানা সাত জয় ঐতিহাসিক। এটা একটা ডার্বি এবং সত্যিই কঠিন একটা ম্যাচ এবং আমাদের আরও একটা ম্যাচ জেতার আশা থাকবে।’ অপরদিকে আর্জেন্টিনাও ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয়। ৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়তে থাকা মেসিরা পুনরাবৃত্তি করতে চায় কোপা আমেরিকার সেই ফাইনালের। যেখানে আনহেল ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে ২৮ বছর পর আন্তর্জাতিক শিরোপার দেখা পায় আলবিসেলেস্তারা। তবে কোচ লিওনেল স্কালোনির জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসির চোট। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বাজে ভাবে ফাউলের শিকার হন তিনি। এদিক থেক ওদিক হলেই ঘটতে পারতো বিপদ। তবে জানা গেছে চোট গুরুতর নয়।
সম্ভাব্য একাদশ:
ব্রাজিল: ওয়েভেরটন, দানিলো, মারকিনিওস, মিলিতাও, সান্দ্রো, পাকেতা, ক্যাসেমিরো, গিমারেজ, বারবোজা, নেইমার, ভিনিসিয়াস।
আর্জেন্টিনা: এমিলিয়ানো, মলিনা, পেজ্জেলা, ওতামেন্দি, তালিয়াফিকো, ডি মারিয়া, ডি পল, লো সেলসো, রদ্রিগেজ, মেসি, লাওতারো।