a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জো বাইডেন প্রশাসনের কাছে লেখা ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসরত বাঙালিদের সংগঠন ‘কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকান ইনকরপোরেশন।’ সংগঠনটি পালটা চিঠি পাঠিয়ে তথ্যের সত্যতা চ্যালেঞ্জ করেছে।
চলতি বছরের ১৭ মে বাইডেন প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠান ছয় রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্যারি মুর, টিম বার্চেট, ওয়ারেন ডেভিডসন, বব গুড, স্কট পেরি ও কিথ সেলফ। সেখানে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা অভিযোগ করা হয়।
ওই চিঠির প্রতিবাদে ২৬ আগস্ট ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশির সই করা চিঠিতে উল্লিখিত তথ্যের সত্যতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাইডেন প্রশাসনের কাছে লেখা ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে আমাদের জন্মভূমি সম্পর্কে মিথ্যা ও অসম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। এটি আমাদের অনুভূতিকে আহত করছে।’
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, মার্কিন সরকারি উচ্চপদে কর্মরত বাংলাদেশি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তরুণরাই মূলত ওই সংগঠনের সদস্য।
উল্লেখ্য সংগঠনটি প্রায় একযুগ আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয় বলে জানানো হয়। সূত্র: যুগান্তর
সংগৃহীত ছবি
১৯৫৯ সালে অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মহাদেশটি হুমকির মুখে পড়েছে। চুক্তিতে ঐ মহাদেশকে যুদ্ধ, অস্ত্র ও পরমাণু বর্জ্য থেকে মুক্ত রাখতে একমত হয়েছিলেন বিশ্বের নেতৃবৃন্দ।
এই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ঐ অঞ্চলে কোনো একক দেশের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। সব দেশের বিজ্ঞানীরা মিলেমিশে সেখানে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করবেন। ঐ অঞ্চলকে ‘শান্তি ও বিজ্ঞানের জন্য নিয়োজিত একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকা’ হিসেবে ধরে রাখতে একমত হয়েছিলেন নেতারা।
পরে ১৯৭৬ সালে ঐ চুক্তির মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকায় প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজ চালানোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ওই কারণে অনেক দিন পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকা তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে পেরেছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলা শুরু করেছে।
এই শতাব্দীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার অঙ্গীকার করেছেন বিশ্বনেতারা। যে নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তাতে তাপমাত্রা প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে জার্মানির গবেষণা সংস্থা ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার।
গত মাসে ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন জানা গেছে, বিশ্বের তাপমাত্রা যদি তিন ডিগ্রি বাড়ে তাহলে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলার হার অনেক বেড়ে যাবে এবং সে হারে সমুদ্রের পানির উচ্চতাও বাড়বে।
অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ আলেসান্দ্রো আন্তোনেল্লা অ্যান্টার্কটিকার পরিবেশগত রাজনীতি নিয়ে বই লিখেছেন। তিনি বলছেন, অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি সই করা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় দূষণকারী দেশ রয়েছে।
নতুন করে দূষণকারী দেশের তালিকায় যুক্ত হওয়া চীন, ভারত এবং ব্রাজিলও ঐ চুক্তির সঙ্গে আছে। এটা এক ধরনের ভণ্ডামি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংগৃহীত ছবি
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলছেন, বন্দুকের নল দিয়ে ভয় দেখিয়ে হেফাজতে ইসলামকে স্বব্ধ করা যাবে না। মামুনুল হক বলেন, কেউ যদি চিন্তা করেন বন্দুকের নল দেখিয়ে হেফাজতকে স্তব্ধ করবেন, তাহলে তাদের বলব, আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
তিনি জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে শুক্রবার (২ এপ্রিল) এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি বিশ্ব মানবাধিকার কর্মীদের বলতে চাই, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থাকে বলতে চাই- যথাযথভাবে তদন্ত করুন। পুলিশি হেফাজতে থাকা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা এসব হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে, তারা কীভাবে এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় আমি তার জবাব চাই।
মামুনুল হক বলেন, মাদরাসায় সংরক্ষিত ছুরিগুলো কেরাবানির কাজে ব্যবহৃত হয়। এগুলো নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই। সাংবাদ মাধ্যমগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানাই। যথাযথ ঘটনা তুলে ধরা তাদের দায়িত্ব। আর ভুলক্রমে সাংবাদিকদের ওপর হেফাজতের কিছু কর্মী হামলা করে থাকতে পারে। আমরা এজন্য কেন্দ্রীয়ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
সমাবশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি জোনায়েদ আল হাবীব বলেন, করোনার দোহাই দিয়ে মসজিদ বন্ধ করা যাবে না। করোনা আল্লাহ দিয়েছেন। তার কাছে মসজিদে বসেই মুক্তি চাইতে হবে। সরকারের প্রজ্ঞাপনে কওমি মাদ্রাসা বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই। তবে এই করোনার দোহাই দিয়ে কওমি মাদ্রাসা বন্ধ ও ইসলামী সভা-সমাবেশ বন্ধ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদি এবার করোনার দোহাই দিয়ে মাদ্রাসা বন্ধ করা হয়, তবে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
জোনায়েদ আল হাবীব বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিটি গ্রামের বাড়ি-ঘরে মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেন না। পুলিশ প্রত্যেক রাতে গ্রামের বাড়িগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছে। যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের স্বজনরাও রাতে বাড়িতে থাকতে পারেন না। তাদের পরিবার পরিজন আতঙ্কিত। আজ তাদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।