a
ফাইল ছবি
তালেবানের মৌখিক অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মানবিক সাহায্য পাঠানোর পরিকল্পনা করছে তুরস্ক।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু সোমবার রাতে এ তথ্য জানান। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
চাভুসগ্লু বলেন, শীত মৌসুমে আফগানিস্তানের সহায়তা প্রয়োজন। আমরা নিজেদের সহায়তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও অনুরোধ করছি, আফগানিস্তানের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ান। দেশটি এবং তার অর্থনীতি যেন ভেঙে না পড়ে। এতে করে পার্শ্ববর্তী সকল দেশ বিভিন্ন বিষয়ে আক্রান্ত হবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানের মাধ্যমে একটি করিডর ব্যবহার করে আফগানিস্তানে মানবিক সাহায্য পাঠানো হবে।
‘আফগানিস্তানে ইতোমধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট। কিন্তু পাকিস্তানের মাধ্যমে আরও অতিরিক্ত সাহায্য দেশটিতে পাঠানো হবে’, বলেন চাভুসগ্লু।
তালেবান দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানে ফের ক্ষমতা দখল করে। তীব্র সংকটে থাকা আফগানদের বিভিন্ন দেশ মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে তুরস্ক অন্যতম অবদান রাখছে।
মোহাম্মাদ নাঈম ওয়ারদাক
নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের তালেবান বলেছেন, সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে মার্কিন সরকার তাদের সঙ্গে করা চুক্তি ওয়াশিংটন লজ্জাজনকভাবে লঙ্ঘন করেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মাদ নাঈম ওয়ারদাক বৃহস্পতিবার ইরানের প্রেস টিভিকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওয়াশিংটন তার প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে, ২০২০ সালে তালেবানের সাথে যে চুক্তি হয়েছিল তার প্রতি তারা সম্মান দেখায়নি। নাঈম ওয়ারদাক বলেন, এখন তালোবানের সামনে অগ্রাধিকার হচ্ছে আফগানিস্তান থেকে জোরপূর্বক মার্কিন সেনা বহিষ্কার করা।
তিনি বলেন, আফগান জনগণ দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদে লিপ্ত রয়েছে এবং গত ২০ বছর ধরে বিদেশি সামরিক আগ্রাসনের মুখে তারা নিজেদেরকে রক্ষা করে চলেছে।নাঈম ওয়ারদাক আরও বলেন, “আমাদের দেশকে স্বাধীন করার জন্য আমরা লড়াই করছি। জনগণকে রক্ষার জন্য আমরা স্বাধীন একটি সরকার চাই।”
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন তবে তিনি কোনও সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেননি। মার্কিন কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে জানিয়েছে, চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাতে তালেবান মুখপাত্র নাঈম ওয়ারদাক আরও বলেন, আফগানিস্তানে সম্প্রতি যে সহিংসতা বেড়েছে তার জন্য আমেরিকা দায়ী। তিনি বলেন, “মার্কিন বোমাবর্ষণ আমাদেরকে অভিযানের পরিধি বাড়াতে বাধ্য করেছে।”
ফাইল ছবি
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় হেফাজত নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবিরসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে মোল্লাহাট উপজেলার হাসপাতাল মোড়ে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে এখন পরিস্থিতি শান্তবস্থায় রয়েছে। ঘটনাস্থল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ আহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত হেফাজতের কোন নেতাকর্মীকে আটক করতে পরেনি।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির, মোল্লাহাট থানান এসআই ঠাকুর দাস, এএসআই লিয়াকত হোসেন, এএসআই বাহারুল ইসলাম, ডিএসবি’র পুলিশ সদস্য শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য সোহাগ মিয়া ও পুলিশ সদস্য নাজমুল ফকির। আহত পুলিশ সদস্যদের মোল্লাহাট উপহাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির বলেন, হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা মিছিল নিয়ে হাসপাতাল মোড়ে জড়ো হতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে হেফাজত নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা পুলিশের উপর হামলা করে। এতে ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের মোল্লাহাট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, মোল্লাহাটে হেফাজত কর্মীরা জড়ো হয়ে মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দিলে হেফাজত কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনায় যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।