a
ফাইল ছবি
তালেবানের মৌখিক অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মানবিক সাহায্য পাঠানোর পরিকল্পনা করছে তুরস্ক।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু সোমবার রাতে এ তথ্য জানান। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
চাভুসগ্লু বলেন, শীত মৌসুমে আফগানিস্তানের সহায়তা প্রয়োজন। আমরা নিজেদের সহায়তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও অনুরোধ করছি, আফগানিস্তানের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ান। দেশটি এবং তার অর্থনীতি যেন ভেঙে না পড়ে। এতে করে পার্শ্ববর্তী সকল দেশ বিভিন্ন বিষয়ে আক্রান্ত হবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানের মাধ্যমে একটি করিডর ব্যবহার করে আফগানিস্তানে মানবিক সাহায্য পাঠানো হবে।
‘আফগানিস্তানে ইতোমধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট। কিন্তু পাকিস্তানের মাধ্যমে আরও অতিরিক্ত সাহায্য দেশটিতে পাঠানো হবে’, বলেন চাভুসগ্লু।
তালেবান দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানে ফের ক্ষমতা দখল করে। তীব্র সংকটে থাকা আফগানদের বিভিন্ন দেশ মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে তুরস্ক অন্যতম অবদান রাখছে।
ফাইল ছবি
ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের উপর আক্রমনে নিজ সৈন্যদের নিরাপত্তার জন্য ইসরায়েল থেকে শতাধিক সেনা ও কয়েকজন বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান সহিংস অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ১৪ মে পেন্টাগন সূত্রে জানা যায়, ইসরায়েল থেকে ১২০ জন সেনাকে একটি সি-১৭ উড়োজাহাজে করে জার্মানির মার্কিন ঘাঁটিতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এসব সেনা যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে ইসরায়েলে গিয়েছিলেন।
মার্কিন সেনা সদরদফতরের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, এসব সেনা ইতোমধ্যে জার্মানির রামস্টেইন ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন। ইসরায়েলিদের সাথে পরামর্শ করেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এদিকে আমেরিকা থেকে ইসরায়েলে ভ্রমনে দেশটির সাধারণ জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে।
গত বুধবার হোয়াইট হাউস প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছিল,ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু’র সাথে ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সূত্রে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদারদের হামলায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৩ জন। এর মধ্যে ৩১টি কোমলমতি শিশুও রয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ছয়শ’রও বেশি ফিলিস্তিনি।
বর্বর এই হামলার এই হামলার জন্য বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্ব ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া মুক্তিকামী সংগঠন হামাস মুসলমানদের উপর হামলারস্বরুপ তেল আবিবে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে। সূত্র: পার্স টুডে, আল জাজিরা
ফাইল ছবি
দেশের প্রথম ১২ লেনের মহাসড়ক, যার ৮টি এক্সপ্রেসওয়ে। তার ওপর আধুনিক নির্মাণশৈলী আর নান্দনিকতা এই পথকে এগিয়ে রাখবে। এই সড়কটি পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র আট থেকে ১০ মিনিট। এরই মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ। আজ সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সড়কটি উদ্বোধন করবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সড়ক চট্টগ্রাম, সিলেট ছাড়াও আশপাশের জেলার সঙ্গে ঢাকার নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের পথ তৈরি করবে। আগামীর বাংলাদেশের জন্য যা হবে পথপ্রদর্শক।
জানা যায়, কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে পূর্বাচলের কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত মাত্র ১২.৫ কিলোমিটার সড়ক হলেও এটি দেশের প্রশস্ততর আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এক্সপ্রেসওয়ে। রাজধানীর প্রগতি সরণি ও বিমান বন্দর সড়কের সঙ্গে পূর্বের ইস্টার্ন বাইপাসকে সংযুক্ত করবে এই সড়কটি। পাশাপাশি ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন ও সংস্কার করা হচ্ছে। ‘কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এটি বাস্তবায়ন করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। নির্মাণকাজ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।
প্রকল্প সূত্র থেকে জানা যায়, সাড়ে ১২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে রাজধানীর কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে ১২ লেনবিশিষ্ট। এর মধ্যে ৮ লেন সড়ক হবে এক্সপ্রেসওয়ে। বাকি ৪ লেন সড়ক হবে স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য সার্ভিস রোড। এ ছাড়া বালু নদী থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক হবে ১২ লেনের। এর মধ্যে ৬ লেন সড়ক হবে এক্সপ্রেসওয়ে। বাকি ৪ লেন হবে সার্ভিস রোড। এ ছাড়া ১০০ ফিট খালের জন্য ৯০.১৫ একর, বোয়ালিয়া এবং ডুমনি খালের জন্য ৯৪.৬৪ একরসহ সর্বমোট ১৮৪.৭৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে লেক খনন ও উন্নয়ন (কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরণির উভয় পাশে ১২.৩ কিমি, বোয়ালিয়া খাল-৫.০২ কিমি, ডুমনি খাল-৪.৪০ কিমিসহ মোট ২৬ কিমি লেক খনন করা হয়েছে। আর প্রকল্পের মধ্যে নিকুঞ্জ খাল খনন ও উন্নয়ন (৭৫০ মিটার দীর্ঘ) তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া খালের ওপর ১৩টি আর্চ ব্রিজ নির্মাণ, রাস্তার ওপর বিভিন্ন স্থানে ১২টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। পাঁচটি ইন্টারসেকশন তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত দুটি ও বালু নদী থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত তিনটি ইন্টারসেকশন। স্লুইসগেট ও পাম্প হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৬টি আন্ডারপাস, ৩৬.৮ কিমি ওয়াকওয়ে, ১২.৫ কিমি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ৬টি স্থানে ফুটওভার ব্রিজ, ১১৭০টি সড়ক বাতি স্থাপন ও ১১টি সাবস্টেশন স্থাপন এবং ৬০ হাজার নানান প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটারের এ পথ রাজধানীতে আনবে নতুন গতি। পূর্বাচল নতুন শহর ও শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সঙ্গে যোগাযোগ হবে মসৃণ। ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট, নরসিংদী, গাজীপুরে যে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ তৈরি হবে তাই যেন জানান দেবে আগামীর বাংলাদেশকে।
এই বিষয়ে বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) বিভাগের সাবেক পরিচালক বিভাগের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, ঢাকা বাইপাস হওয়ার পর এর পুরো সুফল পাওয়া যাবে। তখন বাইপাস ব্যবহারকারীরা এ এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের সুফল পাবে। এতে শুধু দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে এমন না, ঢাকার প্রবেশপথের ওপরও চাপ কমে যাবে। ঢাকার যানজটও কমে যাবে। এ বিষয়ে রাজউকের মুখপাত্র ও নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, কুড়িল-পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়কের আগেই শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে সড়কটির উভয় পাশে ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে সৌন্দর্যবর্ধন ও সড়কের মিডিয়ামে গাছ লাগানোসহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হয়েছে। এই সড়ক নির্মাণ হওয়ায় রাজধানীর সঙ্গে পূর্বাচল, সিলেট, নরসিংদী ও চট্টগ্রামের যোগাযোগ আরও সহজ হবে। একই সঙ্গে নতুন ঢাকার গেটওয়ে হবে এই সড়কটি।
‘কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে (কুড়িল-বালু নদী পর্যন্ত) ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আবাসন প্রকল্পের বাইরে এটিই রাজউকের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প। প্রকল্পটির সর্বপ্রথম মেয়াদ ছিল ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট। তিন বছরের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। ২০১৫ সালে প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৫ হাজার ২৮৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর সঙ্গে আরও তিনটি খাল, সড়ক, সেতুসহ আনুষঙ্গিক বিষয় যুক্ত হওয়ায় সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৫ হাজার ৪২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। এতে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩২৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন