a যুক্তরাজ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটে বন্দরকর্মীরা
ঢাকা শুক্রবার, ৪ পৌষ ১৪৩২, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

যুক্তরাজ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটে বন্দরকর্মীরা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২২ আগষ্ট, ২০২২, ০১:০৯
যুক্তরাজ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটে বন্দরকর্মীরা

ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম কনটেইনার বন্দর পোর্ট অব ফেলিক্সস্টোওয়ের কর্মীরা গতকাল রোববার থেকে আট দিনের ধর্মঘট শুরু করেছেন। দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মধ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট করছেন তাঁরা। খবর আল জাজিরার।

পোর্ট অব ফেলিক্সস্টোওয়েতে প্রায় দুই হাজার কর্মী নিযুক্ত আছেন। এ বন্দরে বছরে ২ হাজার জাহাজ থেকে প্রায় ৪০ লাখ কনটেইনারের চালান খালাস করা হয়ে থাকে, যা দেশটিতে সমুদ্রপথে আসা মোট চালানের অর্ধেকের বেশি।

যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন খাতের কর্মীদের ধর্মঘট চলার মধ্যে বন্দরের কর্মীরাও ধর্মঘট শুরু করায় সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা দেখা দেওয়ার শঙ্কা বেড়েছে। যুক্তরাজ্যে রেলওয়ে কর্মীরা ধর্মঘট করার কারণে প্রতি পাঁচটি ট্রেনের মধ্যে মাত্র একটি করে ট্রেন চলাচল করছে।
 

পোস্টাল কর্মীরাও চলতি মাসের শেষের দিকে চার দিনের ধর্মঘটের পরিকল্পনা করছেন। টেলিকম প্রতিষ্ঠান বিটিও সম্প্রতি কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো কর্মবিরতি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। অ্যামাজনের গুদামের কর্মী, আইনজীবী, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কর্মবিরতি পালন করতে দেখা গেছে।

ফেলিক্সস্টোওয়ের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ইউনাইট ইউনিয়নের ডকে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা ববি মর্টন বলেন, ধর্মঘটের কারণে কাজে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটবে এবং তা যুক্তরাজ্যজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলে বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে। তবে যে বিরোধ তৈরি হয়েছে, তা পুরোপুরিভাবে কোম্পানিরই তৈরি করা।

ববি মর্টন আরও বলেন, ‘আমাদের সদস্যদের ন্যায্য প্রস্তাব দেওয়ার মতো যথেষ্ট সুযোগ কোম্পানির ছিল, তবে তারা তা করেনি।’

পোর্ট অব ফেলিক্সস্টোওয়ের মালিক প্রতিষ্ঠান সিকে হাসিসন হোল্ডিং লিমিটেড এক বিবৃতিতে কর্মীদের ধর্মঘট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে। কোম্পানিটি তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া আট শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাবকে ন্যায্য বলে উল্লেখ করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ বন্দরে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের ভালো পারিশ্রমিক ও নিরাপত্তা দেওয়া হয়। অযথা এসব কর্মকাণ্ডের কারণে কেউই লাভবান হবেন না।

গত মাসে যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতির হার ১০ অতিক্রম করে গেছে, যা ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়তে থাকে। যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আভাস দিয়েছে, চলতি বছর মূল্যস্ফীতির হার ১৩ ছাড়িয়ে যাবে। আর তা ব্রিটিশ অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দেবে। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

গাজা যুদ্ধ ইস্যুতে ইইউ’র শান্তি বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০১:১৪
গাজা যুদ্ধ ইস্যুতে ইইউ’র শান্তি বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন

ফাইল ছবি: ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি

আজ দীর্ঘ ১০৮ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শান্তি বৈঠকে আজ সোমবার যোগ দিচ্ছেন ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তারা ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন।

চলমান গাজা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সর্বাঙ্গীণ শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে ইইউ। ব্রাসেলসে ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়মিত বৈঠকে আলাদাভাবে অংশ নেবেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।

বৈঠকটি প্রধানত মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুকে কেন্দ্র করে হলেও তাতে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও স্থান পাবে বলে আশা করা যায়। ইইউর শান্তি বৈঠকে সৌদি আরব, মিশর ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও অংশ নেবেন। এছাড়া আরব লীগের মহাসচিবও এই বৈঠকে যোগ দেবেন।

বৈঠকের আগে ইইউর কূটনৈতিক পরিষেবা বিভাগ জোটের ২৭ সদস্যের কাছে আলোচনাপত্র পাঠিয়েছে। আলোচনাপত্রে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনির মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ থাকার ইঙ্গিত রয়েছে। এর কেন্দ্রে আছে একটি ‘প্রস্তুতিমূলক শান্তি সম্মেলন’ আহ্বান করা। এর আয়োজক হিসেবে থাকবে ইইউ, মিশর, জর্ডান, সৌদি আরব ও আরব লীগ। সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন পক্ষ সম্মেলনে অনীহা থাকলেও সম্মেলনটি হবে। তবে সম্মেলনের আলোচনার প্রতিটি ধাপে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে বৈঠক সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ। সূত্র: রয়টার্স

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

চুক্তি করলেও অ্যান্টার্কটিকা বর্তমানে হুমকির মুখে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১, ১১:১৪
চুক্তি করলেও অ্যান্টার্কটিকা বর্তমানে হুমকির মুখে

সংগৃহীত ছবি

১৯৫৯ সালে অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মহাদেশটি হুমকির মুখে পড়েছে। চুক্তিতে ঐ মহাদেশকে যুদ্ধ, অস্ত্র ও পরমাণু বর্জ্য থেকে মুক্ত রাখতে একমত হয়েছিলেন বিশ্বের নেতৃবৃন্দ।

এই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ঐ অঞ্চলে কোনো একক দেশের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। সব দেশের বিজ্ঞানীরা মিলেমিশে সেখানে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করবেন। ঐ অঞ্চলকে ‘শান্তি ও বিজ্ঞানের জন্য নিয়োজিত একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকা’ হিসেবে ধরে রাখতে একমত হয়েছিলেন নেতারা।

পরে ১৯৭৬ সালে ঐ চুক্তির মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকায় প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজ চালানোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

ওই কারণে অনেক দিন পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকা তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে পেরেছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলা শুরু করেছে।

এই শতাব্দীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার অঙ্গীকার করেছেন বিশ্বনেতারা। যে নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তাতে তাপমাত্রা প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে জার্মানির গবেষণা সংস্থা ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার।

গত মাসে ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন জানা গেছে, বিশ্বের তাপমাত্রা যদি তিন ডিগ্রি বাড়ে তাহলে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলার হার অনেক বেড়ে যাবে এবং সে হারে সমুদ্রের পানির উচ্চতাও বাড়বে।

অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ আলেসান্দ্রো আন্তোনেল্লা অ্যান্টার্কটিকার পরিবেশগত রাজনীতি নিয়ে বই লিখেছেন। তিনি বলছেন, অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি সই করা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় দূষণকারী দেশ রয়েছে।

নতুন করে দূষণকারী দেশের তালিকায় যুক্ত হওয়া চীন, ভারত এবং ব্রাজিলও ঐ চুক্তির সঙ্গে আছে। এটা এক ধরনের ভণ্ডামি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক