a যুক্তরাজ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটে বন্দরকর্মীরা
ঢাকা বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

যুক্তরাজ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটে বন্দরকর্মীরা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২২ আগষ্ট, ২০২২, ০১:০৯
যুক্তরাজ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটে বন্দরকর্মীরা

ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম কনটেইনার বন্দর পোর্ট অব ফেলিক্সস্টোওয়ের কর্মীরা গতকাল রোববার থেকে আট দিনের ধর্মঘট শুরু করেছেন। দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মধ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট করছেন তাঁরা। খবর আল জাজিরার।

পোর্ট অব ফেলিক্সস্টোওয়েতে প্রায় দুই হাজার কর্মী নিযুক্ত আছেন। এ বন্দরে বছরে ২ হাজার জাহাজ থেকে প্রায় ৪০ লাখ কনটেইনারের চালান খালাস করা হয়ে থাকে, যা দেশটিতে সমুদ্রপথে আসা মোট চালানের অর্ধেকের বেশি।

যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন খাতের কর্মীদের ধর্মঘট চলার মধ্যে বন্দরের কর্মীরাও ধর্মঘট শুরু করায় সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা দেখা দেওয়ার শঙ্কা বেড়েছে। যুক্তরাজ্যে রেলওয়ে কর্মীরা ধর্মঘট করার কারণে প্রতি পাঁচটি ট্রেনের মধ্যে মাত্র একটি করে ট্রেন চলাচল করছে।
 

পোস্টাল কর্মীরাও চলতি মাসের শেষের দিকে চার দিনের ধর্মঘটের পরিকল্পনা করছেন। টেলিকম প্রতিষ্ঠান বিটিও সম্প্রতি কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো কর্মবিরতি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। অ্যামাজনের গুদামের কর্মী, আইনজীবী, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কর্মবিরতি পালন করতে দেখা গেছে।

ফেলিক্সস্টোওয়ের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ইউনাইট ইউনিয়নের ডকে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা ববি মর্টন বলেন, ধর্মঘটের কারণে কাজে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটবে এবং তা যুক্তরাজ্যজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলে বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে। তবে যে বিরোধ তৈরি হয়েছে, তা পুরোপুরিভাবে কোম্পানিরই তৈরি করা।

ববি মর্টন আরও বলেন, ‘আমাদের সদস্যদের ন্যায্য প্রস্তাব দেওয়ার মতো যথেষ্ট সুযোগ কোম্পানির ছিল, তবে তারা তা করেনি।’

পোর্ট অব ফেলিক্সস্টোওয়ের মালিক প্রতিষ্ঠান সিকে হাসিসন হোল্ডিং লিমিটেড এক বিবৃতিতে কর্মীদের ধর্মঘট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে। কোম্পানিটি তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া আট শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাবকে ন্যায্য বলে উল্লেখ করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ বন্দরে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের ভালো পারিশ্রমিক ও নিরাপত্তা দেওয়া হয়। অযথা এসব কর্মকাণ্ডের কারণে কেউই লাভবান হবেন না।

গত মাসে যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতির হার ১০ অতিক্রম করে গেছে, যা ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়তে থাকে। যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আভাস দিয়েছে, চলতি বছর মূল্যস্ফীতির হার ১৩ ছাড়িয়ে যাবে। আর তা ব্রিটিশ অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দেবে। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ইউক্রেন প্রসঙ্গে চীনকে কঠোর হুঁশিয়ারি আমেরিকার: বিবিসি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২, ১২:২৩
ইউক্রেন প্রসঙ্গে চীনকে কঠোর হুঁশিয়ারি আমেরিকার: বিবিসি

ফাইল ছবি

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানে সহায়তা করলে চীনকে কঠোর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

আজ সোমবার ইতালির রাজধানী রোমে এ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে চীনা ও মার্কিন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মাঝে। এর আগেই এ ধরনের হুমকি এল। বিভিন্ন মার্কিন গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

নির্দিষ্টভাবে কোনও কর্মকর্তার নাম উল্লেখ না করে আমেরিকার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, ইউক্রেন অভিযানে চীনের কাছে সামরিক সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া।

ওয়াশিংটনে চীনা অ্যাম্বেসি দাবি করেছে, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে এই অভিযান শুরু করে। এরই মধ্যে সোমবার ১৮তম দিন অতিবাহিত হয়েছে এই অভিযান। বিগত এইদিনে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী। সূত্র: বিবিসি

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ভাড়াটিয়ারা ছাড়ছেন শহর, বাড়িওয়ালারা উভয় সংকটে


আরাফাত, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শনিবার, ১৪ আগষ্ট, ২০২১, ১০:০৩
ভাড়াটিয়ারা ছাড়ছেন শহর, বাড়িওয়ালারা উভয় সংকটে

সংগৃহীত ছবি

ভালো নেই রাজধানীর বাড়ি-ফ্ল্যাট মালিক ও ভাড়াটিয়ারা। করোনা মহামারিতে গ্রামে চলে গেছেন শতকরা ৪০ ভাগ ভাড়াটিয়া। ফাঁকা পড়ে আছে অনেক ফ্ল্যাট, বাড়ি। রাজধানীর অনেক বাসার গেটে বা দেওয়ালে সাঁটানো হয়েছে ‘টু-লেট’ বা ‘বাড়ি ভাড়া’ বিজ্ঞাপন। 

আবার বড় বাসা ছেড়ে দিয়ে কম ভাড়ার বাড়িতে উঠতে বাধ্য হচ্ছে অনেক পরিবার। করোনার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে ধাক্কা লেগেছে, তাতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। আয় কমে গেছে অগণিত মানুষের।

রাজধানীতে আগে কাজের সুবাদে যারা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন, তারা এ পরিস্থিতিতে চলে গেছেন গ্রামের বাড়িতে। অনেকে বাসা ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে রেখেছেন বাড়ির মালিককে। এ কারণে মূলত ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে করোনা মহামারিতে শুধু যে ভাড়াটিয়ারাই অর্থসংকটে বিপদে পড়েছেন, তা নয়; একই সংকটে পড়েছেন বাড়ির মালিকরাও। বাড়িভাড়ার টাকায় সংসার চালানো বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়া না পেয়ে মাসের পর মাস অর্থকষ্টে ভুগছেন বলে জানা গেছে ।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঢাকার ৮০ শতাংশ বাড়িওয়ালা বাড়িভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাড়িই যেহেতু তাদের ব্যবসা, তাই বিভিন্ন বিল ও করের ঊর্ধ্বগতি সাপেক্ষে তারা বছরে গড়ে ৯ শতাংশ ভাড়া বাড়ান। ৭৫ শতাংশ বাড়িওয়ালা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিংবা সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে বাড়ি বানিয়ে থাকেন। বাড়িভাড়া ছাড়া সাধারণত তাদের অন্য কোনো আয়ের উত্স থাকে না। তাই ঋণের কিস্তি পরিশোধ কিংবা সংসার চালানোর তাগিদে ভাড়া পাওয়া তাদের জন্য জরুরি।

বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া পরিষদের তথ্যমতে, ঢাকার মোট ভাড়াটিয়ার ৪০ শতাংশ রাজধানী ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। করোনা মহামারিতে চাকরি চলে যাওয়া, বেতন কমিয়ে দেওয়া এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের ওপর। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ ধরনের সমস্যা যে কেবল নিম্নবিত্তের তা নয়, ঢাকায় বাড়িভাড়ার টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারও।

ইতালি প্রবাসী সোয়েব হোসেন (ছদ্মনাম) বলেন, ‘করোনায় আমার চাকরি নেই, স্ত্রী-তিন সন্তান, বৃদ্ধ মা ও ভাই রয়েছে ঢাকায়। আমাদের আয়ের উত্স রাজধানীর ফ্ল্যাট ভাড়ার টাকা। অথচ আমার চাকরিও নেই, ঢাকায় বাড়িভাড়ার টাকাও নেই, এখন জমানো টাকা ভেঙে সংসার চালাতে হচ্ছে। সঙ্গে তিন সন্তানের স্কুলের বেতন দিতে হচ্ছে।’

অনেক বাড়িওয়ালা তার বাড়ি ভাড়া বাড়াতে একই ফ্লাটে একাধিক পরিবারকে ঢুকিয়ে তারা বিকল্প পথ খুঁজছে। এসবের ফলে পুরাতন ভাড়াটিয়াদের সাথে নতুন ভাড়াটিয়াদের নানা রকম সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে। এসব ব্যাপারে কিছু কিছু বাড়িওয়ালা নিজে সেসব বাড়িতে না থাকলে ভাড়াটিয়াদের কোন সুযোগ-সুবিধা না দেখে নানান কৌশলে বাসা ভাড়া বাড়ানোর চেষ্টা করে, যা দেখার কেউ নেই।

এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের আয়ে যে প্রভাব পড়েছে তা বিবেচনা করে বাড়িভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। এরই মধ্যে এক থেকে তিন মাসের বাড়িভাড়া মওকুফের জন্য বাড়ির মালিকদের কাছে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতি এবং ভাড়াটিয়া পরিষদ।

ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, আমরা প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি, নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য কিছুটা হলেও বাড়িভাড়া মওকুফ করার জন্য। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনছেন না। অনেক মানুষ বেকার এবং আয় কমার কারণে তাদের পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর আয়ের আশায় পরিবারের কর্তা ব্যক্তিটি কোনো মেসে বা কম টাকা ভাড়ার বাসায় উঠেছেন। মানুষকে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও অনেক বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের প্রতি সহানুভূতি না দেখিয়ে ভাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। যে কারণে অনেকেই বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ভাড়াটিয়াদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে বাড়ির মালিকদের উচিত কিছুটা ছাড় দেওয়া, কিছুটা ভাড়া মওকুফ করা। অনেক বাড়িওয়ালা উভয় সংকটে পড়েছেন, কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক