a
সংগৃহীত ছবি
তালেবান যোদ্ধারা একের পর এক শহর দখল করায় আফগানিস্তানের অবস্থা ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। এ অবস্থায় শনিবার দ্রুত মার্কিন নাগরিকদের আফগান ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর আরব নিউজের।
এর আগে গত শুক্রবার আফগানিস্তানে অবস্থানরত সব ব্রিটিশ নাগরিকদের দ্রুত দেশত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ন্যাটো ও মার্কিন সেনাসহ সব বিদেশি সেনা দেশটি থেকে বিদায় নেয়ার পর একের পর এক শহর দখল করছে তালেবানরা।
এ পরিস্থিতিতে তালেবান হামলা থেকে বাঁচতে দ্রুত সব নাগরিককে আফগান ছাড়ার নির্দেশ দিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
প্রায় দুই দশকের যুদ্ধের পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সময় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে তালেবানযোদ্ধারা ব্যাপক লড়াই শুরু করার পর এমন সতর্কবার্তা দেয়া হলো।
আফগানিস্তান ছাড়ার পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে মার্কিন নাগরিকদের কাবুলে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে দ্রুত যোগাযোগের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফাইল ছবি
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনিতে প্রেসিডেন্টকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট আলফা কোন্ডেকে আটক করে রাখা হয়েছে। এমনকি সরকার ও সংবিধান বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স।
গতকাল রবিবার সারা দিনই গিনির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে প্রেসিডেন্টকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের দাবি করে সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট আলফা কোন্ডেকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। বিধ্বস্ত অবস্থায় থাকা প্রেসিডেন্টের পাশেই বসে আছে সেনাসদস্য।
এদিকে, ক্ষমতা গ্রহণের পর সেনাবাহিনী জানায়, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতেই প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংবিধান বিলুপ্তির পাশাপাশি সরকার ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। তাদের ভাষ্য, সরকারের ভয়াবহ দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও দারিদ্র্যের কারণে আমাদের ক্ষমতা গ্রহণ করতে হয়েছে। দেশের নাগরিকের ভবিষ্যৎ উন্নত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা দেশের দারিদ্র্যতা নিরসনে কাজ করব। আগের সংবিধান বাতিল করে নতুন করে সংবিধান লেখব আমরা।
ছবি সংগৃহীত
বিশ্ব জুড়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব। আন্তঃদেশীয় চ্যালেঞ্জ ও আঞ্চলিক সংঘাত এর অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এক মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তায় উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আমেরিকাকে ক্রমশ ভঙ্গুর বিশ্ব ব্যবস্থা মোকাবিলা করতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে চীন প্রভাবিত করতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমবার মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআই), কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ), কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) দেশটির সিনেট গোয়েন্দা কমিটির কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে চীন, ইরান ও রাশিয়া বর্তমান আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। একই সঙ্গে ইউক্রেনে রুশ অভিযান ও ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস ও ইসরাইলের সংঘাত বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চাভিলাষী ও উদ্বিগ্ন চীন, সংঘাতপ্রবণ রাশিয়া, আঞ্চলিক কিছু শক্তি যেমন ইরান এবং আরো সক্ষম কিছু অরাষ্ট্রীয় গোষ্ঠী বিশ্বব্যবস্থার নিয়মনীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। একই সঙ্গে বিশ্বব্যবস্থায় আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর পেছনে চীন, রাশিয়া ও ইরানের মতো শক্তিধর কয়েকটি রাষ্ট্ একত্র হয়ে কাজ করছে।
বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়া যখন যুদ্ধে লিপ্ত, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক সহায়তা দিয়ে মস্কোর পাশে দাঁড়াচ্ছে চীন। রাশিয়া ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ছে। রাশিয়ায় সামরিক কাজে ব্যবহূত হতে পারে, চীন থেকে এরকম সব পণ্যের রপ্তানি ২০২২ সাল থেকে তিন গুণ বেড়েছে।
সোমবার সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির কাছে ইউক্রেনে সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এনআইয়ের পরিচালক এভ্রিল হেইনস। সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নসও একই ধরনের অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যদিকে এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে আমেরিকায় সন্ত্রাসবাদের হুমকি নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন। সূ্ত্র: ইত্তেফাক