a
সংগৃহীত ছবি
তালেবান যোদ্ধারা একের পর এক শহর দখল করায় আফগানিস্তানের অবস্থা ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। এ অবস্থায় শনিবার দ্রুত মার্কিন নাগরিকদের আফগান ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর আরব নিউজের।
এর আগে গত শুক্রবার আফগানিস্তানে অবস্থানরত সব ব্রিটিশ নাগরিকদের দ্রুত দেশত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ন্যাটো ও মার্কিন সেনাসহ সব বিদেশি সেনা দেশটি থেকে বিদায় নেয়ার পর একের পর এক শহর দখল করছে তালেবানরা।
এ পরিস্থিতিতে তালেবান হামলা থেকে বাঁচতে দ্রুত সব নাগরিককে আফগান ছাড়ার নির্দেশ দিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
প্রায় দুই দশকের যুদ্ধের পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সময় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে তালেবানযোদ্ধারা ব্যাপক লড়াই শুরু করার পর এমন সতর্কবার্তা দেয়া হলো।
আফগানিস্তান ছাড়ার পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে মার্কিন নাগরিকদের কাবুলে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে দ্রুত যোগাযোগের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফাইল ছবি
উত্তর কোরিয়া সরকারিভাবে দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এ দু’টি এলাকা সম্প্রতি স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং তাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা রাশিয়া করছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। তার আগে এ দুটি অঞ্চল নিজেদেরকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রজাতন্ত্র দুটিকে ইউক্রেন থেকে স্বাধীন করার জন্য ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন। বর্তমানে লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছে রুশ সৈন্যরা।
গতকাল বুধবার দোনেস্ক প্রজাতন্ত্রের নেতা ডেনিস পুশিলিন ঘোষণা করেন, উত্তর কোরিয়া দোনেস্ককে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন, এর মধ্যদিয়ে দোনেস্ক প্রজাতন্ত্রের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বাড়তে শুরু করলো এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এটি দোনেস্কের জন্য আরেকটি কূটনৈতিক বিজয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ডেনিস পুশিলিন আশা করেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ফলপ্রসূ সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। এদিকে, রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ‘তাস’ জানিয়েছে, মস্কোয় অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস দোনেস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে এবং দেশটির সাথে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। সূত্র : দ্য কোরিয়া হেরাল্ড
ফাইল ছবি: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ হত্যা-খুন-গুমের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বরং আওয়ামী লীগই বার বার হত্যা-ক্যু-খুন-গুম ও ষড়যন্ত্রের অপরাজনীতির নির্মম শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গুম নিয়ে বিএনপি মিথ্যা বয়ান তৈরির মধ্য দিয়ে সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। অথচ তাদের গুমের নাটকের নেপথ্যের আখ্যান আজ দেশবাসীর অজানা নয়।’
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ গুম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যে বানোয়াট বক্তব্য প্রদান করছে, তা বাস্তবতাবিবর্জিত ও ভিত্তিহীন। বিদেশি বন্ধু ও প্রতিনিধিদের করুণা লাভের আশায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ধারাবাকিভাবে গুম-খুন নিয়ে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। বিএনপির অর্ন্তদ্বন্দ্ব ও কোন্দলের ফলে যেসব গুম ও খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেটার দায় তারা সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার পর তার দায় সরকারের উপর চাপানো হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেই জামাল উদ্দিন নিজ দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা গুমের শিকার হয়েছিল। যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘একইভাবে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার পর তার দায়ভারও সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। পরবর্তীতে দেখা যায় তিনি ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন। এমনকী বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর গুমের ঘটনায় বিএনপির এক সিনিয়র নেতা তার বক্তব্যে বলেছেন, ইলিয়াস আলীকে বিএনপির লোকজনই গুম করেছে। যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সীমাহীন ত্যাগ ও সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে পাহাড় সমান প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখি-সমৃদ্ধশালী নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর। যেখানে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন