a
সংগৃহীত ছবি
তালেবান যোদ্ধারা একের পর এক শহর দখল করায় আফগানিস্তানের অবস্থা ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। এ অবস্থায় শনিবার দ্রুত মার্কিন নাগরিকদের আফগান ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর আরব নিউজের।
এর আগে গত শুক্রবার আফগানিস্তানে অবস্থানরত সব ব্রিটিশ নাগরিকদের দ্রুত দেশত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ন্যাটো ও মার্কিন সেনাসহ সব বিদেশি সেনা দেশটি থেকে বিদায় নেয়ার পর একের পর এক শহর দখল করছে তালেবানরা।
এ পরিস্থিতিতে তালেবান হামলা থেকে বাঁচতে দ্রুত সব নাগরিককে আফগান ছাড়ার নির্দেশ দিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
প্রায় দুই দশকের যুদ্ধের পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সময় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে তালেবানযোদ্ধারা ব্যাপক লড়াই শুরু করার পর এমন সতর্কবার্তা দেয়া হলো।
আফগানিস্তান ছাড়ার পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে মার্কিন নাগরিকদের কাবুলে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে দ্রুত যোগাযোগের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফাইল ছবি: জো বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কর্মপদ্ধতিতে আস্থা নেই অধিকাংশ আমেরিকানের। ৭১ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, বাইডেনের অধীনে দেশ ভুল পথে যাচ্ছে। পরোক্ষভাবে ইউক্রেন যুদ্ধে জড়ানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এই মত দিল। অন্যদিকে, ৪০ শতাংশ আমেরিকান বাইডেনের নেওয়া পদক্ষেপগুলোতে আস্থা রাখেন।
এনবিসি নিউজ পরিচালিত সমীক্ষায় এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালনের মেয়াদে এই প্রথম সর্বোচ্চসংখ্যক জনগণ বাইডেনের প্রতি অনাস্থা পোষণ করলেন। খবর এনবিসি নিউজের
জরিপে দেখা গেছে, গত জানুয়ারির তুলনায় বর্তমানে প্রায় তিন শতাংশ বেশি মানুষ বাইডেনের নেওয়া সিদ্ধান্তে আস্থা রাখতে পারছে না। তাদের বড় একটি অংশ মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র এখন ভুল পথে চলছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোকে সঙ্গে নিয়ে ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়ার পর জনমতের এই পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা।
এর পাশাপাশি কভিড-১৯ মহামারি ও ডলারের মুদ্রাস্ম্ফীতির ব্যাপারটিও জনমত পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে। সমীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর রিপাবলিকান নেতা বিল ম্যাকইনটার্ফ এনবিসি নিউজকে বলেন, 'ডেমোক্র্যাটরা সম্ভবত একটি বিপর্যয়মূলক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।' এমন চলতে থাকলে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ ও সিনেটের মধ্যবর্তী নির্বাচনেও বাইডেনের ভরাডুবি হবে বলে মনে করেন ডেমোক্র্যাট নেতা জেফ হরউইট।
গত সপ্তাহে চার দিনে মোট এক হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিনির ওপর এই জরিপ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৯০ জন নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন।
বাইডেনের বর্তমান এই অবস্থান নিশ্চিতভাবেই ট্রাম্পকে খুশি করবে। কারণ, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও মনোনয়ন চাইবেন বলে আগেই জানিয়েছেন তিনি। তখনও বাইডেনের জনপ্রিয়তা এমন থাকলে নির্বাচনে কী ঘটবে, তা একরকম আন্দাজ করতে পারা যায়।
বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস পরে অর্থাৎ ২০২১ সালের মার্চে এনবিসি নিউজের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, তখন ৫৩ শতাংশ আমেরিকান বাইডেনকে সমর্থন করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে ভোটার ছিলেন ৫১ শতাংশ। একই জরিপে আমেরিকানের ৩৯ শতাংশ ও নিবন্ধিত ভোটারের ৪৩ শতাংশ তার কর্মপদ্ধতিকে অপছন্দ করেছেন। সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন, গ্রীষ্মকাল শেষে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে সারা বিশ্বে করোনা টিকা সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকেও করোনা ভ্যাকসিন দিতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
গণভবনে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জন কেরি।
এসময় জন কেরি জানান, নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রথম একশ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ৯৯ মিলিয়ন আমেরিকান নাগরিক প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ।
আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে ৪০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের অংশগ্রহণে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে ‘গ্লোবাল লিডারস সামিট অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’।
এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জো বাইডেনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন তিনি।
এ বৈঠকে জন কেরি জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর, কার্বন নিঃসরণ ও অভিযোজনসহ জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া, দেশটির বকেয়া ২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে বাইডেন প্রশাসন।
এ বৈঠক শেষেই ঢাকা ত্যাগ করেন জন কেরি। উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় একদিনের সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন তিনি।