a
ফাইল ছবি
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আগেই কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বাইডেন প্রশাসন। এবার মিয়ানমার থেকে কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিলো দেশটি। খবর রয়টার্স ও আনাদেলু এজেন্সির।
এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অপ্রয়োজনীয় সরকারি কর্মকর্তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তখন গণতান্ত্রিক সরকারের দাবিতে বিক্ষোভে সামরিক সহিংসতার প্রাথমিক পর্যায় ছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে আরো বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার এক বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রতিনিধি কেথরিন টাই জানান, যতদিন না মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হচ্ছে, ততদিন বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন থাকবে। এর মধ্য দিয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে চলা যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ছিলো, তা স্থগিত হয়েছে।
ফাইল ছবি
ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, চলমান উত্তেজনার মধ্যে আগামী সপ্তাহে নৌ মহড়ার প্রস্তুতি নেওয়া অংশ হিসেবে রাশিয়া সমুদ্রে তার প্রবেশের পথ অবরোধ করে রেখেছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেন, আজভ সাগর সম্পূর্ণ অবরোধ করে রাখা হয়েছে এবং কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। খবর বিবিসির।
খবরে আরো বলা হয়, রাশিয়ার নৌ মহড়া কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগরে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে। ইতোমধ্যে দেশটি উপকূল এলাকায় সতর্কতা জারি করে বলেছে, এ মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও গুলি ছোড়ার অনুশীলন করা হবে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, বিশাল এলাকাজুড়ে মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে, যা নজির বিহীন। এতে উভয় সাগরেই জাহাজ চলাচল অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অপরদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ টুইটারে লেখেন, দুটি সাগরের আন্তর্জাতিক পানিসীমা রাশিয়া অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
এক টুইটে ইউক্রেনের মার্কিন দূতাবাস বলেছে, রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগরে সামরিক মহড়ার অজুহাতে ইউক্রেনের সামুদ্রিক সার্বভৌমত্ব ও জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা সীমিত করে তাদের অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য জাহাজ চলাচলে বাধা দিয়েছে।
এদিকে প্রতিবেশী বেলারুশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউক্রেনের সঙ্গে যার বিশাল সীমান্ত। এসব মহড়ার বিষয়ে ফ্রান্স বলছে, এটি ‘হিংসাত্মক অঙ্গভঙ্গি’। অপরদিকে ইউক্রেন বলছে, এটি ‘মানসিক চাপ’ তৈরি করছে।
এদিকে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় ইউক্রেনে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দ্রুত দেশ ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলছেন, কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপ বৃহত্তম নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পর থেকেই কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগর অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের তিনটি জাহাজ আটক করেছে। ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার প্রায় এক লাখ সেনা সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আশঙ্কা করছে, মস্কো হয়তো কিয়েভে হামলা চালাতে পারে।
যদিও রাশিয়া ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু দেশটি ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করে আসছে।
ফাইল ছবি
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সাপেক্ষে ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল দোকানপাট ও শপিং মল খোলা থাকবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখা যাবে বলে মন্ত্রিপরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।