a
ফাইল ছবি
ইউক্রেনে সেনা অভিযানের পর রাশিয়ার সাথে যেসব দেশ অবন্ধুসুলভ আচরণ করছে, সেসব দেশের কাছে রুশ মুদ্রা রুবলে গ্যাস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, ‘অবন্ধুসুলভ’ দেশগুলোর কাছে রুবলে গ্যাস বিক্রি করবে মস্কো।
রাশিয়ার ওপর নানা মাত্রার নিষেধাজ্ঞা দিলেও এখনও ইউরোপের অনেক দেশ জ্বালানি বিশেষ করে তেল ও গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপরই নির্ভরশীল।
পুতিন বলেন, ‘আগে সই করা চুক্তি অনুসরণ করে রাশিয়া অবশ্যই ভলিউম ও মূল্য অনুযায়ী প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। এই পরিবর্তন শুধু অর্থপ্রদানের মুদ্রার বিষয়ে হবে। মুদ্রা হিসেবে রাশিয়ান রুবল ব্যবহার করা হবে।’
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে রুশ সরকারের শীর্ষ কর্তাদের সাথে বৈঠক করে পুতিন এসব সিদ্ধান্ত নেন। সূত্র: রয়টার্স
সংগৃহীত ছবি
আফগান সরকার তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে। দেশে সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে আফগান সরকারের একটি শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার থেকে জানা যায়, তালেবান গোষ্ঠী গজনী শহর দখল করার পর ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আফগান সরকার। এই নিয়ে তালেবানের হাতে এ পর্যন্ত ১০টি প্রাদেশিক রাজধানীর পতন ঘটেছে।
আফগান সরকারের ওই সূত্র জানিয়েছেন, কাতারের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তালেবানের কাছে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিস রয়েছে।
আল-জাজিরা টেলিভিশনের পাশাপাশি আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমও ক্ষমতা ভাগাভাগির খবর দিয়েছে তবে আফগান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে খবরটি নিশ্চিত করা হয়নি বরং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে বলা হয়েছে- কাতারের রাজধানী দোহায় যেহেতু শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সে কারণে কাবুল তার অবস্থানে কোনো পরিবর্তন ঘটায়নি।
আফগানিস্তানের হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলেশন-এর চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কাতারের রাজধানী দোহায় আমেরিকা, চীন, রাশিয়া এবং আফগানিস্তানের নিকটতম প্রতিবেশী দেশগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বিপর্যয় নামিয়ে এনেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশটি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৫ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৭ জন। স্বাস্থ্য খাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি।
তাছাড়া মৃত্যুর পর লাশের সৎকার নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছে ভারত। করোনায় দিল্লিতে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৭০০-তে পৌঁছে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, শিগগিরই এ সংখ্যা হাজার ছাড়াবে শ্মশানের বাহিরে রাস্তায় টোকেন নিয়ে মরদেহের দীর্ঘ লাইন। শুধু মাত্র আগুন পেতেই ২০ ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় মরদেহ ছিঁড়ে খাচ্ছে কুকুর। মৃতের স্বজনেরা শ্মশানের দরজায় দরজায় ঘুরে জায়গা না পেয়ে স্রেফ বরফ চাপা দিয়ে ৪৮ ঘণ্টাও বাড়িতে মরদেহ রেখে দিচ্ছেন।
দিল্লির সুভাষনগর শ্মশানে টিনের চালের নিচে সারি সারি চিতা জ্বলছে। উড়ছে ছাই। এমনিতে নতুন নয় এই দৃশ্য। সেই ছাই উড়ে পড়ছে পাশের যে চাতালে? সেই চাতাল ধরেই এখন মরদেহের সর্পিল রেখা। এক ঝলক তাকালেই মাচার সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা অন্তত ১৫-২০টি দেহ চোখে পড়ছে। প্লাস্টিকের থলিতে মরদেহ মোড়া রয়েছে। তার ওপর নাম, নম্বর লেখা। হাতছাড়া হওয়ার ভয় নেই। পোড়া দেহের গন্ধ এবং ধোঁয়া থেকে বাঁচতে মাঝে মধ্যেই বাহিরে ঘুরে আসছেন মৃতের স্বজনদের অনেকে। সূত্র: দ্য হিন্দু, আনন্দবাজার