ইউক্রেনকে ঘিরে ফেলেছে রাশিয়া। সীমান্তের চারপাশে সেনা মোতায়েনের কাজও সম্পন্ন করেছে। এমনকি বেলারুশেও সেনা পাঠিয়েছে। এবার যেকোনো মুহূর্তে সামরিক হামলা চালাতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, এটা পুতিনের জন্য ‘চরম মূর্খতার কাজ’ হবে। কারণ এতে হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে।
একই সতর্কবার্তা দিয়েছে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রও। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছেন। এক ‘দুঃস্বপ্ন’র মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইউক্রেন।
মার্কিন কর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি ‘প্রচণ্ড ভয়াবহ’। এমন খবরে ইউক্রেনের শহরগুলোতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই আতঙ্কের মধ্যেই বুধবার কিয়েভ সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। অভিযানে না চালিয়ে সমস্যা সমাধানে ‘শান্তিপূর্ণ পথ’ নিতে রুশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। এরপর থেকেই প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা চলছে। গত বছরের শেষ দিকে আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পূর্ব ইউরোপ।
সেই সময় ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, তাদের সীমান্তে ট্যাংক, মিসাইল ও অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জামসহ লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে মস্কো। তারা দাবি করে, চলতি বছরের জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারির মধ্যে রুশ সেনারা ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনা অস্বীকার করেছে। তবে তারা বলেছে, কিয়েভকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না-এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া না হলে মস্কো সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে।
এরপর পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুশ কর্মকর্তাদের দফায় দফায় বৈঠক ও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির এতটুকু উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি সপ্তাহখানেক আগেও তিন দফা কূটনৈতিক আলোচনা ব্যর্থ হয়। এরপর আবারও উত্তপ্ত হতে শুরু করে পরিস্থিতি।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ এক বার্তায় জানায়, ইউক্রেন পরিস্থিতি ‘খুবই ভয়ংকর’। মস্কো যেকেনো সময় হামলা চালাতে পারে। এদিনই ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া তাদের সীমান্তে ১ লাখ ২৭ হাজারের বেশি সশস্ত্র, নৌ এবং বিমানসেনা মোতায়েন করেছে। আরও বলা হয়, ইউক্রেনকে রাশিয়া দ্বিখণ্ডিত ও ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।
গোয়েন্দা ভয়, দক্ষিণ ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে সেনা ঢুকিয়ে দেবেন পুতিন। এরপর একে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে আলোচনার জন্য চাপ সৃষ্টি করবেন।
শেষ পর্যন্ত দোনবাস পশ্চিমাপন্থি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে একটি বাফার রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এরপরও ইউক্রেনকে সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে রীতিমতো ঘিরে ফেলেছেন পুতিন। রুশরা বড় ধরনের অভিযান চালাবে বলেই মনে করছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
সেই লক্ষ্যেই বেলারুশে পুরো এক ডিভিশন সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার রাজধানী কিয়েভে এসে পৌঁছান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জিলেনস্কি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর এক বিবৃতিতে ব্লিংকেন বলেন, ‘আমরা আশা করি, আমরা কূটনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ পথে সমস্যার সমাধান খুঁজতে পারি।’ সূত্র: যুগান্তর
চলমান ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনির সহিংসতায় ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গাইলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলমান এই পরিস্থিতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘দুর্বলতা ও সমর্থনের অভাবকে দায়ী করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্যা হিল জানিয়েছে, গতকাল বুধবার ১১মে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেছেন আমেরিকার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প জানান, তার শাসনামলে মধ্যপ্রাচ্যে কোন অশান্তি ছিল না। তিনি এর পেছনে মূল শক্তি হিসেবে মুসলিম জাতিকে শত্রু উল্লেখ করে বলেন তারা জানতো যে, যুক্তরাষ্ট্র শক্তভাবে ইসরায়েলিদের পক্ষে আছে। আর তারা হামলার শিকার হলে মোক্ষম জবাব দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, বাইডেনের আমলে বিশ্ব ক্রমেই অরাজকতা এবং অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। এর কারণ বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের দুর্বলতা এবং ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের অভাব।
সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সবসময় ইসরায়েলের পাশে থাকা উচিত এবং এটি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিতে হবে যে, ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই সহিংসতা, সন্ত্রাস ও রকেট হামলা বন্ধ করতে হবে। এটি পরিষ্কার করতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সবসময় শক্তভাবে সমর্থন করবে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার আল আকসায় নামাজরত মুসল্লিদের উপর হামলা করে ইসরায়েল দখলদার বাহিনী তাদের উচিত শিক্ষা দিতে সর্বদা পাশে আছে হামাসসহ সকল মুসলিম বিশ্ব।
প্যারিসের ক্লাব পিএসজি ফুটবলার লিওনেল মেসিও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পিএসজির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেসিসহ তাদের মোট চারজন ফুটবলার করোনা আক্রান্ত।
ইউরোপে করোনার যে সুনামি লেগেছে তার থেকে কোনোভাবে বাদ যাচ্ছে না নামি-দামি ফুটবল ক্লাবগুলো এবং একইসঙ্গে ফুটবল খেলোয়াড়রাও। এতদিন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ লা লিগার রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার খবর শোনা গিয়েছিল যে, এই দুই ক্লাবে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
মেডিকেল বার্তায় চোটাক্রান্ত নেইমারের বিষয়ে পিএসজি আরও জানিয়েছে, ‘নেইমার জুনিয়র প্যারিস সেন্ট জার্মেইর চিকিৎসা দল ও পারফরম্যান্স স্টাফদের সঙ্গে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রাজিলে চোট থেকে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন। আশা করা হচ্ছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে অনুশীলনে ফিরবেন তিনি।’
সূত্র: বিডি প্রতিদিন