a
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্কের বড় শহর সেভেরোদোনেৎস্ক শহরে গভীরে ঢুকে পড়েছে। আজ সোমবার লুহানস্কের আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি গাইদাই এ কথা জানিয়েছেন। দনবাসের লুহানস্ক অঞ্চলের সেভেরোদোনেৎস্কই সবচেয়ে বড় শহর, যার কিছু অংশ এখনো কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে। সম্প্রতি এই শহরে হামলা জোরদার করে রুশ বাহিনী। খবর রয়টার্স ও আল-জাজিরার।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গাইদাই বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের জন্য হতাশার খবর রয়েছে, শত্রুরা শহরের ভেতরে ঢুকে পড়ছে।’
গভর্নর গাইদাই বলেন, পার্শ্ববর্তী লিসিচানস্ক শহর এখনো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে। দুই শহরের মধ্যকার মূল সড়কে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। তবে সড়কটি এখনো বন্ধ হয়ে যায়নি। গাইদাই আরও বলেন, সেভেরোদোনেৎস্কে গ্যাস ও পানি নেই। এই পরিষেবা চালুর কোনো সম্ভাবনাও দেখছি না। লুহানস্ক অঞ্চলের ১০ লাখ মানুষকে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
এর আগে গাইদাই বলেছিলেন, সেভেরোদোনেৎস্কের উপকণ্ঠে প্রবেশ করা রুশ সেনাদের গোলাবর্ষণে দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হন, আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
গাইদাই বলেন, সব ধরনের অস্ত্র ও বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে রুশ সৈন্যরা শহরে হামলা চালাচ্ছে। শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তাঁরা ঢুকে পড়েছে। তীব্র লড়াই চলছে। ইউক্রেনীয়দের জন্য এটা এক কঠিন পরিস্থিতি।
গাইদাই বলেন, রুশ বাহিনী একই কৌশল বারবার প্রয়োগ করছে। তারা তিন, চার, পাঁচ ঘণ্টা ধরে টানা গোলাবর্ষণ করে। এরপর হামলা চালায়। কোথাও হামলাকারীরা মারা যায়। তখন গোলাবর্ষণের পর আবারও হামলা চালায়। সাফল্য না পাওয়া পর্যন্ত এই কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয়ে তারা দনবাস অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ওপর জোর দেয়। ওই এলাকার বড় অংশ আগে থেকেই রুশ–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে ছিল।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দনবাসের ‘স্বাধীনতাই’ এখন তাদের ‘শর্তহীন অগ্রাধিকার’। ইউক্রেনে হামলা শুরুর আগমুহূর্তে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘোষিত দনবাস অঞ্চলের লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় মস্কো। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি: শাহ মাহমুদ কুরেশি
ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ইসলামাবাদে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের খবর পিটিআই-এর টুইটার অ্যাকাউন্টে নিশ্চিত করা হয়।
পিটিআইয়ের টুইটারে বলা হয়, ‘পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে আবারও অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ইসলামাবাদের বাসভবন থেকে পুলিশের একটি বড় দল এসে হেফাজতে নিয়ে যায়।’
পিটিআই জানিয়েছে, কুরেশিকে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পিটিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ওমর আইয়ুবের মতে, কুরেশি একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য শেষে যখন বাড়ি পৌঁছান তখনই তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। বক্তৃতায় তিনি দলের মধ্যে বিভক্তির খবর অস্বীকার করে ঘোষণা করেছিলেন যে তারা সাধারণ নির্বাচন দেরি হওয়ার কারণে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন।
এর আগে ১১ মে ইসলামাবাদ পুলিশ তাকে হিংসাত্মক বিক্ষোভে উসকানি দেওয়াসহ একাধিক অভিযোগে হেফাজতে নিয়েছিল। পরে ১৮ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুক্তির নির্দেশ দেয়।
এরপর ২৩ মে তারিখে কুরেশিকে মুক্ত করা হলে রাওয়ালপিন্ডির ডেপুটি কমিশনার তার আটকের আদেশ জারি করে। তখন তাকে আবার আদিয়ালা জেলের বাইরে থেকে পাঞ্জাব পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়।
লাহোর হাইকোর্টের রাওয়ালপিন্ডি বেঞ্চ তার অবিলম্বে মুক্তির আদেশ দেওয়ার পর এবং তার আটকের আদেশ বাতিল করার পর অবশেষে ৬ জুন তাকে মুক্তি দিয়েছিল। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি সংগৃহীত: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
গ্রেফতার হওয়ার সাড়ে তিন মাস পর জামিনে আজ মুক্ত হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মুক্তি পান।
মুক্তি পাওয়ার পর নেতাকর্মীরা ফুল ছিটিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নেতাকর্মীদের হতাশার কিছু নেই। ৭ জানুয়ারির একপক্ষীয় নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে গত ২৮ অক্টোবর এবং এর পরের সংঘর্ষ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ১১টি মামলা হয়। এর আগে ১০টিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তার জামিন গতকাল মঞ্জুর করে আদালত। সূত্র: বিডি প্রতিদিন