a
ফাইল ছবি
দেশের রেলপথে কিছু পণ্য রুশ ভূখণ্ড কালিনিনগ্রাদে পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে লিথুয়ানিয়া। এতে রাশিয়া বাল্টিক রাষ্ট্রটিকে কয়েকদিন ধরে কঠোর পরিণতির হুমকি দিয়ে আসছে।
কিন্তু লিথুয়ানিয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়া কী পদক্ষেপ নেবে তা স্পষ্ট না করলেও রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা কিছুটা ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার জবাব ‘শুধুমাত্র কূটনীতিক’ হবে না।
মারিয়া জাকারোভা বলেন, অনেকগুলো প্রশ্নের মধ্যে একটা প্রশ্ন হলো- লিথুনিয়ার বিরুদ্ধে জবাব শুধুমাত্র কূটনীতিক উপায়ে হবে কি-না। উত্তর হলো ‘না’। রাশিয়ার জবাব হবে কার্যকরী বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে মস্কো বলছে, লিথুয়ানিয়ার সিদ্ধান্তের জবাবে রাশিয়া এমন ব্যবস্থা নেবে যার ফলে ওই দেশের জনগণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, রাশিয়ার ‘জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ সূত্র: রয়টার্স
ফাইল ছবি: সাবেক ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট
গাজায় নিরঙ্কুশ বিজয় বা হামাসের বিনাশ কোনোটাই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট। শনিবার (২৬ মে) গাজার চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানোর সময় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আনাদোলু এজোন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের পাবলিক ব্রডকাস্টার কেএএন-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওলমার্ট বলেন, রাফায় সামরিক অভিযান দ্রুত বন্ধ করতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে বন্দীদের ফিরিয়ে আনার জন্য চলমান গাজা যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া কোন পথ নেই।
ওলমার্ট বলেন, ‘গাজার চলমান যুদ্ধে ইসরাইলের কোনো লাভ নেই। এতে লাভ কেবল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের কিছু চরমপন্থী সদস্যদের।’
গত ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত আগ্রাসনের পর ইসরাইল গাজায় নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে নিরহ ফিলিস্তিনিদের হ/ত্যা করে চলেছে। হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়। এছাড়া ২৫০ জনকে বন্দী করেছে তারা।
এ পর্যন্ত গাজায় ৩৫ হাজার ৮০০-এর বেশি ফিলিস্তিনিকে হ/ত্যা করেছে ইসরায়েল। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ যুদ্ধে গাজার বেশিরভাগ অবকাঠামো ধ্বংসের পাশাপাশি দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে ইসরায়েল।
গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা করছে বলে অভিযোগ এনে দক্ষিণ আফ্রিকা গত বছর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে একটি মামলা করেছিল।
হেগভিত্তিক ট্রাইব্যুনাল তেল আবিবকে নির্দেশ দিয়েছে যেন তার বাহিনী আর গাজায় গণহত্যা না চালায়। একইসাথে নির্দেশ দেয়া হয়, যেন দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে সামরিক অভিযান বন্ধ করে এবং অবরুদ্ধ উপত্যকার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের দ্রুত নিশ্চয়তা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
ফাইল ছবি
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করতে চান বলে তার ঘনিষ্ঠ মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ এখন দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একটি ফরাসি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, রাশিয়া কিছু শর্ত সাপেক্ষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণের আগেও মস্কো স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ গ্রহণযোগ্য নয়। মেদভেদেভ এলসিআই টেলিভিশনকে বলেন, উত্তর আটলান্টিক জোটে তার অংশগ্রহণ ত্যাগ করা এখন অত্যাবশ্যক। তবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এটা এখন যথেষ্ঠ নয়।
তিনি বলেন, রাশিয়া তার লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাবে। পুতিন বলেছেন যে তিনি ইউক্রেনকে ‘নাৎসিমুক্ত’ করতে চান। অবশ্য কিয়েভ এবং পশ্চিমারা দাবি করেন, এটা রাশিয়ার যুদ্ধ জয়ের একটি ভিত্তিহীন অজুহাতমাত্র। সূত্র: বিডি প্রতিদিন