a
ফাইল ছবি
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে।
ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান সিম কাস্টেন, টম ম্যালিনভস্কি এবং সুসান ওয়াইল্ড মিলে এ বিলটি উত্থাপন করেছেন। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা সৌদি আরব থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা বলেছেন।
এই তিন আইন প্রনেতা বলেন, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত যদি পুতিনকে সাহায্য করে তা হলে তার কাছেই তাদের নিরাপত্তা চাওয়া উচিত। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।
তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস গত বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিদিন উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ওপেক প্লাসের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল আমেরিকা কিন্তু সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দেশগুলো আমেরিকার চাপ উপেক্ষা করে তেলের উৎপাদন কমানোর পক্ষে মত দিয়েছে।
এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র দেশ দুটিকে শাস্তি দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা বলছেন, পারস্য উপসাগরীয় রাজতান্ত্রিক দেশ দুটি ধীরে ধীরে রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং সেনা প্রত্যাহার করে দেশ দুটিকে শাস্তি দিতে চান মার্কিন আইনপ্রণেতারা।
তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য সফর সত্ত্বেও সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত মারাত্মকভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ফটো:ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় সম্ভাব্য সামরিক হামলার জন্য তেল আবিব তার পরিকল্পনা হালনাগাদ করছে বলে ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রী বেনি গান্তজ যে মন্তব্য করেছেন তার কড়া হুঁশিয়ারী দিয়েছে তেহরান।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, দখলদার ইসরায়েলের শাসক গোষ্ঠী ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো চিন্তা করলে তেল আবিব এবং হাইফা শহরকে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
জেনারেল হাতামি আজ রবিবার ইসরায়েলকে উদ্দেশ্যে বলেন, মাঝেমাঝে তারা এমন কিছু বলে যা বাস্তবায়ন করা তাদের জন্য কঠিন এবং এসব হুমকি ধামকির মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে তারা চরম হতাশাগ্রস্ত। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি অনেক বছর আগে ইহুদিবাদীদের সমুচিত জবাব দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন ইসলায়েল আমাদের প্রধান শত্রু নয় এমনকি ইরানের সঙ্গে শত্রুতা বজায় রাখার নূন্যতম যোগ্যতাও তাদের নেই। ইহুদিবাদী শাষক গোষ্ঠীর ভালো করেই জানা আছে এবং তারা যদি না জেনে থাকে তাহলে তাদের জেনে রাখা উচিত, যে তারা সামান্যতম ভুল করলে ইরান তেল আবিব এবং হাইফা শহর মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়ার সক্ষমতা রাখে।
জেনারেল হাতামি আরও বলেন, ইরানের সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়কের আদেশ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কার্যকর করা হয়েছে এবং এটি একটি নীলকশায় রূপান্তরিত হয়েছে। সর্বোচ্চ নেতার সামান্য ইঙ্গিতেই তা বাস্তবায়ন করা হবে। তাই আমি তাদের উপদেশ দেবো, তারা যেনো কখনই এ ধরণের ভুল না করে।
ইরান তার পরমাণু কর্মসূচী বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে গেলে ইসরায়েল তাতে হামলা চালাবে বলে বেনি গান্তজ হুমকি দেয়ার পর জেনারেল হাতামি এসব মন্তব্য করেন।
ফাইল ছবি: বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার গত সোমবার এ আবেদন করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে সোমবার আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি মতামত জানতে চেয়ে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। খালেদা জিয়ার ভাইয়ের আবেদনটি অল্প সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
দেড় মাসের বেশি সময় ধরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খালেদা জিয়া ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে অনেক দিন ধরে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছে। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লিভার সিরোসিসের কারণে খালেদা জিয়ার হৃদ্যন্ত্র ও কিডনির জটিলতা বেড়েছে। তিনি হাসপাতালে কখনো কিছুটা ভালো থাকছেন, পরক্ষণেই তাঁর স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। ফলে তাঁকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতির লক্ষণ না থাকায় তাঁর পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি এখন সামনে এসেছে।
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে নেতিবাচক নানা কথা বললেও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের অনেকে মনে করেন, সরকার চাইলে আদালতে না গিয়ে এমতাবস্থায় তাঁকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিতে পারে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছে। ফলে এখন জেলে যাওয়া বা আদালতের আশ্রয় নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
৪০১ ধারাতেই বলা আছে, নির্বাহী আদেশে শর্ত ছাড়াই মুক্তি দেওয়া যায়। এমনকি সরকার সাজা মওকুফও করতে পারে। ফলে সরকারই শর্তহীন মুক্তি দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে বলে মনে করেন তিনি। সূত্র: প্রথম আলো