a
ফাইল ছবি
২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী যৌথভাবে জিতেছেন ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ান সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রচেষ্টার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যা গণতন্ত্র এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সাহসিকতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তারা। একই সঙ্গে মারিয়া রেসা ও দিমিত্রি মুরতভ তাদের সেই সব পূর্বসূরীদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, যারা সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে গণতন্ত্র, শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।
গত বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। ১৯০১ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী শান্তিপ্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ১০১বার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ পুরস্কার পেয়েছেন ১৩৫ জন, যাদের মধ্যে ১০৭ জন ব্যক্তি ও ২৮টি প্রতিষ্ঠান আছে।
ফাইল ছবি । ইয়োসি কোহেন
দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা কীভাবে ইরানে গোপন অভিযান চালিয়ে আসছেন, তার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন সেখানকার গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সদ্য বিদায়ী প্রধান ইয়োসি কোহেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণু আর্কাইভে ঢুকে কীভাবে হাজার হাজার নথি বের করে নেওয়া হয়েছে, তার রোমহর্ষ বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস এবং একজন পরমাণুবিজ্ঞানী হত্যায় ইসরায়েলের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ইয়োসি কোহেন।
গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলের চ্যানেল ১২–এর ইউভডা ডকুমেন্টারি প্রোগ্রামে সাংবাদিক ইলান ডায়ানকে ওই সাক্ষাৎকার দেন কোহেন। ওই ডকুমেন্টারি ইসরায়েলি টেলিভিশনে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাতে সম্প্রচার করা হয়।
সাক্ষাৎকারে মোসাদের কার্যক্রমের গোপন অনেক তথ্যও সামনে চলে এসেছে। কোহেন ৫ বছরের বেশি সময় ধরে মোসাদকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর গত সপ্তাহে অবসরে যান।
জানা যায়, ২০১৮ সালে ইরানের ওয়্যারহাউসে হামলা চালিয়ে পরমাণু কর্মসূচিসংক্রান্ত হাজার হাজার নথি চুরি করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। ২০১৮ সালে নেতানিয়াহু এক সংবাদ সম্মেলনে চুরি করা ওই সব নথি দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সাক্ষাৎকারে কোহেন বলেছেন, ‘ওই অপারেশন পরিকল্পনা করতে দুই বছর সময় লেগেছিল মোসাদের। এর সঙ্গে ২০ জন মোসাদ এজেন্ট মাঠপর্যায়ে যুক্ত ছিলেন। অথচ এসব এজেন্টের কেউই ইসরায়েলি নাগরিক ছিলেন না এবং তেল আবিবের কমান্ড সেন্টার থেকে গোয়েন্দা প্রধান এসব অপারেশন দেখছিলেন। এজেন্টরা ওয়্যারহাউস ভেঙে ঢুকে পড়ে ৩০টি সিন্দুক ভাঙেন। স্ক্রিনে যখন ওই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দেখানো হয়, তা ছিল আমাদের জন্য দারুণ রোমাঞ্চকর।’
তিনি দাবি করেন, ওই অপারেশনে অংশ নেওয়া সব এজেন্ট জীবিত ফিরে এসেছিলেন। তবে কয়েকজন এজেন্টকে ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বিবিসি জানায়, মোসাদের সাবেক প্রধান হিসেবে গণমাধ্যমের সামনে বিশেষ কিছু বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার ঘটনা একেবারে নতুন নয়। তবে ইয়োসি কোহেনের মন্তব্যে যে মাত্রায় বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে, তা অসাধারণ। কোনো রোমাঞ্চধর্মী গল্পের মতোই কোহেন তাড়ার মুখে এজেন্টদের সিন্দুক ভেঙে ইরানের পারমাণবিক তথ্য বের করে আনার এবং তা দেশের বাইরে পাঠানোর ঘটনা বর্ণনা করেন।
সাক্ষাৎকারে ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর বিষয়টি স্বীকার করার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন কোহেন। তবে ওই সাক্ষাৎকারটি যথেষ্ট হিসাব–নিকাশ করেই প্রচার করেছে ইসরায়েল। তাদের সামরিক বাহিনীর সেন্সরও পার হয়েছে। এ ছাড়া সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের সময়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের সমঝোতা চুক্তি যখন নতুন করে জীবন পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, সে সময় সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হলো।
কোহেন তার সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘তিনি ইরানের ওই স্থাপনা সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানেন। এমনকি তিনি ওই স্থাপনার ঘূর্ণমান সেন্ট্রিফিউজের কাছ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবেন। ইরান যে সেলার ব্যবহার করে সেটা ঘূর্ণমান। এখন অবশ্য এ ধরনের সেলার ব্যবহৃত হয় না।’
সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানী মহসেন ফাখরিজাদেকে নিয়েও কথা বলেন কোহেন। গত বছরের নভেম্বরে তেহরানের বাইরে তার ওপর হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দোষারোপ করে ইরান। ওই বিজ্ঞানীর মৃত্যুর ঘটনায় সেসময়ে ইসরায়েলের যুক্ত থাকার কথা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করেননি কোহেন। তবে তিনি বলেন, ওই বিজ্ঞানী দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে ছিলেন। কারণ, তাঁর বৈজ্ঞানিক প্রজ্ঞা মোসাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ফাইল ছবি
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সংঘাত ও সহিংসতা পরিহার করে রাজনৈতিক দলগুলোকে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেছেন, সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। তফসিল প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণ অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দল। তফসিলের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এ দিন আধা বেলা হরতাল ডেকেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। অন্যদিকে এই তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে গতকাল সারা দেশে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। সূত্র: প্রথম আলো