a
ফাইল ছবি
লকডাউন উপলক্ষে সীমিত পরিসরে দোকানপাঠ খোলার অনুমতি দেয়া থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই তা চলছে বিকেল অবধি। সকাল বেলায় ভিড় দেখা গেলেও দুপুর বেলা পরিবেশ থাকে শান্ত। কিন্তু দুপুর গড়াতেই আছরের নামাজের ঠিক পরে ভিড় জমতে দেখা যায় মোড়ে মোড়ে। হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ভেতরে বসে ইফতার করার সুযোগ না থাকলেও দোকানের বাইরে যে ভিড় তাতে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নাই।
যেন একজনের উপর আরেকজন উপচে পড়ছে। ইফতার কিনতে ব্যস্ত সকলেই। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশী পাহাড়া থাকলেও ঐসময় যেন আটকে রাখা দায় হয়ে যায়। সকলেই যেন এক পলক বাইরে বের না হয়ে আর পারছিলো না। তবু যদি মুখে মাস্ক আর সচেতন হয়ে বের হতেন তবে কিছুটা হলেও মানা যেত। সারাদিন ব্যাপী লকডাউনে কাঁথা মুড়িয়ে দিলেও যেন করোনাকে কাঁধে বয়ে আনতেই বিকেলের বহিরাগমন।
ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ব্যস্ততার মাঝে যথেষ্ট বিরক্ত ছিলেন তারা।
দোকানীকে জিজ্ঞেস করায় উনি বলেন," আমরা মাস্ক ছাড়া কারো কাছে ইফতার বিক্রি করি না। আর বিক্রি করার সময় সকলেই হ্যান্ড গ্লাভস পরেই জিনিস পত্র প্যাকেট করেন।"
উনি এমন টা বললেও তার কোনো বিশেষ সত্যতা পাওয়া যায় নি। কারণ ক্রেতাদের ৪০ শতাংশই ছিলো মাস্ক বিহীন। আর ২০ শতাংশের মাস্ক ছিলো কিন্তু সঠিক নিয়মে পরতে হয়তো কষ্ট হচ্ছিল তাদের। বাকীরা মোটামুটি রকম মাস্ক পরেই ছিলো।
ইফতারের আয়োজন বানাচ্ছিলেন যিনি,উনার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,"করোনা গরম সহ্য করতে পারে না। আর আমি আগুণের কাছে থাকি তাই করোনার ভয় নাই। মাস্ক আছে পকেটে কিন্তু গরমে মাস্ক পড়া যায় না।"
যদিও উনার হাস্যকর কথার কোনো ভিত্তি জানা ছিলো না, তবু উনার বানানো ইফতারই সকলকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলো ব্যাগ ভর্তি করে। মাস্ক পরিধান করা এক ক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন," আমরা তো যতটা পারি সচেতন ভাবেই কেনাকাটা করি। আর ইফতার এর বেলায় দেখা যায় ভীড়ের মাঝেই নিতে হয়। যদিও পরিবেশটা স্বাস্থ্য সম্মত না, কিন্তু না নিয়েও তো উপায়ও নাই। "মাস্ক বিহীন একজনকে মাস্ক পরিধানের কথা বললে উনি বলেন," রোজা রাখছি তো করোনা হবে না। আর মাস্ক বাসায় আছে আনার কথা মনে নাই। এমনিতে পরি না তো, তাই আর মনে থাকে না।"
এভাবেই যেন সকলে পার করছে এই লক ডাউন এর সময়টা। সতর্কতাবিহীন অসাবধানতা এ জীবন ব্যবস্থা আরো বড় ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। সকলকে সচেতন থাকার জন্য সরকারি নির্দেশনা অবলম্বন এবং ইফতার এর পূর্বের এ অবস্থায় একটু বিশেষ সাবধানতা সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব।
বাংলাদেশ ব্যাংকে পদোন্নতি পেয়ে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হয়েছেন দুই কর্মকর্তা। মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন আনিছুর রহমান এবং প্রধান কার্যালয়ের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল কাদির।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আনিছুর রহমান। সদ্য বিদায়ী বছরের ৩১ ডিসেম্বর তারিখের কর্মচারী নির্দেশে তাকে মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) হিসেবে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক পরিসংখ্যান বিভাগে বহাল করা হয়েছে।
আনিছুর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ হতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগ, বিনিয়োগ বোর্ডসহ বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
আনিছুর রহমান দাফতরিক কাজে ভারত, ভুটান, চীন, জার্মানি এবং সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। তিনি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল কাদির ৩১ ডিসেম্বর তারিখে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে বহাল হন।
এমবিএ ডিগ্রিধারী মো. আবদুল কাদির ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে অফিসার পদে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন পার্সোনেল ডিপার্টমেন্ট, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ, ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ, কমন সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-১, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-১ এবং সিলেট অফিসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তিনি নেপাল ও সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করেন। এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক মো. আবদুল কাদির চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর বিশকাটালী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ফাইল ছবি । মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পাশাপাশি তার উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব এই তথ্য জানান। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২ নং ওয়ার্ডে বেরাইদ এলাকায় বিএনপি মহানগর উত্তরের উদ্যোগে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আল্লাহর রহমতে কোভিডের যে আক্রমণ সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘ চার বছর তার চিকিৎসা না হওয়ার কারণে, কারাগারে রাখার কারণে তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে প্রথম তার হার্টে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং তার একটা পুরনো অসুখ যেটা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দেয়- আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। এই সবগুলো মিলিয়ে উনি অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় আছেন। ডাক্তাররা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ভালনারেবল আছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা বলেন, উনার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন করেছে, তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হোক। এই সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। সরকারকে আহ্বান জানাব, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে এই মহান নেত্রীকে যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে সেই নেত্রীকে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক, তাকে মুক্তি দেয়া হোক। তাকে অন্যায় ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে।
এসময় দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় দোয়া চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাছিত আনজুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম নকির পরিচালনায় এতে অংশ নেন বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-সম্পাদক রওনাকুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।