ঢাকা সোমবার, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

ইফতার কিনতে অমান্য স্বাস্থ্যবিধি, বাহানার নানা ধরণ


নিজস্ব প্রতিবেদন:
বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:১৪
ইফতার কিনতে অমান্য স্বাস্থ্যবিধি, বাহানার নানা ধরণ

ফাইল ছবি

লকডাউন উপলক্ষে সীমিত পরিসরে দোকানপাঠ খোলার অনুমতি দেয়া থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই তা চলছে বিকেল অবধি। সকাল বেলায় ভিড় দেখা গেলেও দুপুর বেলা পরিবেশ থাকে শান্ত। কিন্তু দুপুর গড়াতেই আছরের নামাজের ঠিক পরে ভিড় জমতে দেখা যায় মোড়ে মোড়ে। হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ভেতরে বসে ইফতার করার সুযোগ না থাকলেও দোকানের বাইরে যে ভিড় তাতে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নাই।

যেন একজনের উপর আরেকজন উপচে পড়ছে। ইফতার কিনতে ব্যস্ত সকলেই। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশী পাহাড়া থাকলেও ঐসময় যেন আটকে রাখা দায় হয়ে যায়। সকলেই যেন এক পলক বাইরে বের না হয়ে আর পারছিলো না। তবু যদি মুখে মাস্ক আর সচেতন হয়ে বের হতেন তবে কিছুটা হলেও মানা যেত। সারাদিন ব্যাপী লকডাউনে কাঁথা মুড়িয়ে দিলেও যেন করোনাকে কাঁধে বয়ে আনতেই বিকেলের বহিরাগমন।

ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ব্যস্ততার মাঝে যথেষ্ট বিরক্ত ছিলেন তারা।
দোকানীকে জিজ্ঞেস করায় উনি বলেন," আমরা মাস্ক ছাড়া কারো কাছে ইফতার বিক্রি করি না। আর বিক্রি করার সময় সকলেই হ্যান্ড গ্লাভস পরেই জিনিস পত্র প্যাকেট করেন।"

উনি এমন টা বললেও তার কোনো বিশেষ সত্যতা পাওয়া যায় নি। কারণ ক্রেতাদের ৪০ শতাংশই ছিলো মাস্ক বিহীন। আর ২০ শতাংশের মাস্ক ছিলো কিন্তু সঠিক নিয়মে পরতে হয়তো কষ্ট হচ্ছিল তাদের। বাকীরা মোটামুটি রকম মাস্ক পরেই ছিলো।

ইফতারের আয়োজন বানাচ্ছিলেন যিনি,উনার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,"করোনা গরম সহ্য করতে পারে না। আর আমি আগুণের কাছে থাকি তাই করোনার ভয় নাই। মাস্ক আছে পকেটে কিন্তু গরমে মাস্ক পড়া যায় না।"

যদিও উনার হাস্যকর কথার কোনো ভিত্তি জানা ছিলো না, তবু উনার বানানো ইফতারই সকলকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলো ব্যাগ ভর্তি করে। মাস্ক পরিধান করা এক ক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন," আমরা তো যতটা পারি সচেতন ভাবেই কেনাকাটা করি। আর ইফতার এর বেলায় দেখা যায় ভীড়ের মাঝেই নিতে হয়। যদিও পরিবেশটা স্বাস্থ্য সম্মত না, কিন্তু না নিয়েও তো উপায়ও নাই। "মাস্ক বিহীন একজনকে মাস্ক পরিধানের কথা বললে উনি বলেন," রোজা রাখছি তো করোনা হবে না। আর মাস্ক বাসায় আছে আনার কথা মনে নাই। এমনিতে পরি না তো, তাই আর মনে থাকে না।"

এভাবেই যেন সকলে পার করছে এই লক ডাউন এর সময়টা। সতর্কতাবিহীন অসাবধানতা এ জীবন ব্যবস্থা আরো বড় ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। সকলকে সচেতন থাকার জন্য সরকারি নির্দেশনা অবলম্বন এবং ইফতার এর পূর্বের এ অবস্থায় একটু বিশেষ সাবধানতা সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ওয়াটারএইড বাংলাদেশে চাকরির সুযোগ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০৩ জানুয়ারী, ২০২১, ০৯:০৬
ওয়াটারএইড বাংলাদেশে চাকরির সুযোগ

আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের জন্য প্রোগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেবে। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, পাবলিক হেলথ, আরবান প্ল্যানিং, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বা সমমানের বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং সংশ্লিষ্ট কাজে এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে পদটিতে আবেদন করা যাবে।

প্রাথমিকভাবে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীরা। কর্মস্থল হবে রাজধানী ঢাকায়। চাকরিটি পেলে মাসে ৩৯ থেকে ৪২ হাজার টাকা বেতন। প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, উৎসব বোনাস, ইনস্যুরেন্স, মোবাইল ভাতাসহ নিয়মানুযায়ী সব সুবিধাও দেওয়া হবে। চাকরির বিস্তারিত জানা যাবে www.wateraid.org–তে।

আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ জানুয়ারির মধ্যে বিডিজবসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / এম এ

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশিদের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিত: চীনা রাষ্ট্রদূত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৭ আগষ্ট, ২০২৩, ০৫:৪৮
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশিদের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিত: চীনা রাষ্ট্রদূত

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন তার দেশের ‘হস্তক্ষেপ না করার’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশিদের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিত। আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘আমাদের নীতি অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ, আর তা হলো- চীন কখনোই কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জোহানেসবার্গে বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যা বলেছেন তা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন নিশ্চিত করতে বাহ্যিক হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ এবং অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চীন।

বৈঠকের বিষয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীন বাংলাদেশকে সমর্থন করে। চীন বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যতের পাশাপাশি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখে।’

তিনি বলেন, বর্তমানে ৬০০টিরও বেশি চীনা এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশে কাজ করছে এবং হাজার হাজার চীনা নাগরিক এখানে বসবাস ও কাজ করছেন।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও অনুসারে, চীনা কোম্পানিগুলো স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সেবা প্রদান, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা, জনশক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন করে থাকে।

তিনি বলেন, ‘তাদের অবদান ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের হৃদয়কে আরও কাছাকাছি আনা হয়েছে।’

উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিবেশের প্রেক্ষাপটে চীনা কোম্পানি ও নাগরিকদের স্বার্থ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইয়াও বলেন, চীনা নাগরিক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও যৌথ উন্নয়নের জন্য এখানে রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অবশ্যই নিশ্চিত এবং বৈধ স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।’ গত বছরের শেষের দিকে ঢাকায় আসার পর তার প্রথম সাক্ষাৎকারে চীনা রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। সূত্র: ইউএনবি/ইত্তেফাক।

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook