a
ছবি: ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ
পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) দশম মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। আজ বুধবার সকালে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ২৯ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে হারুন অর রশিদকে র্যাবের ডিজি হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
হারুন অর রশিদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামে। তিনি পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট) পদে কর্মরত ছিলেন।
১৯৯৫ সালে ১৫তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন হারুন অর রশিদ। তিনি পুলিশের বিভিন্ন পদে চাকরি করেছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি লজিস্টিক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এমএসসি সম্পন্ন করেন। ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি এবং ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
হারুন অর রশিদ ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি থাকাকালে ২০১৯-২০ অর্থবছরে শুদ্ধাচার পুরস্কার পান । তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদকেও (বিপিএম) ভূষিত হয়েছিলেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
করোনা মহামারীর কারনে ৪২ তম বিসিএস (বিশেষ) এর ভাইভা স্থগিত করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি কর্ম কমিশন নিশ্চিত করেছে, করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারনে এ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা পরিবর্তিত তারিখ জানানো হবে।
৪২ তম বিসিএস বিশেষ ক্যাডারের লিখিত পরীক্ষায় (এমসিকিউ টাইপ) উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬ হাজার ২২ জন। ২৩ মে থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভাইভা হওয়ার কথা ছিল। ২৩ মে সকাল ১০টায় ২২০ জনের ভাইভা হওয়ার কথা ছিল। সূচি অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ৬ হাজার ২২ জনের ভাইভা অনুষ্ঠিত হতো।
করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে দুই হাজার চিকিৎসককে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিতে গত বছর ৪২ তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (লিখিত টাইপ) অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার এক মাস পর ২৯ মার্চ বিসিএসের ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হয় ৬ হাজার ২২ জন।
ছবি সংগৃহীত: সুপ্রিম কোর্ট, ভারত
ভারতের উত্তর প্রদেশে মাদরাসা বন্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্ব গঠিত একটি বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন। সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্তে স্বস্তি পেয়েছে ওই রাজ্যের ১৬ হাজার মাদরাসার ১৭ লাখ শিক্ষার্থী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ শুক্রবার বলেন, মাদরাসা বোর্ডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ লঙ্ঘন করছে বলে এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তা সঠিক নয় বলে জানান।
ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আরও বলেন, মাদরাসায় মানসম্পন্ন শিক্ষা দেওয়া হয় না, এমনটি বলা ভুল। আবার মাদরাসা সর্বজনীন ও বিস্তৃত নয় এমনটিও বলা যাবে না। এছাড়া মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার যে নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্ট দিয়েছেন, সেটি বৈষম্যমূলক রায় বলা হয়।
এদিকে, মাদরাসা বন্ধে কেন এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও উত্তর প্রদেশ সরকারকে জবাব দিতে নোটিশ পাঠিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে শুনানির জন্য জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই পর্যন্ত এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে ও মাদরাসাগুলো স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে কোন সমস্যা নেই। সূত্র: বিডি প্রতিদিন