a
সংগৃহীত ছবি
কঠোর বিধিনিষেধের পঞ্চম দিন সোমবার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার কারণে শুধু ঢাকায় ৪১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৪৩ জনকে ৯৮ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে ৫২৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ১২ লাখ ২৩ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম। তিনি জানান, আজ অভিযানে আইনি ব্যবস্থা নেয় ডিএমপির ৮টি বিভাগ।
এর আগে চতুর্থদিন রবিবার একই কারণে ঢাকায় গ্রেফতার হন ৬১৮ জন। সেদিন ১৬১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয় ৫৪ হাজার ৪৫০ টাকা। আর ৪৯৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিবিরোধী বিক্ষোভ, সমাবেশ ও সংঘর্ষে নিহতের ঘটনার জেরে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম। হরতালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি মাঠে আছে বিজিবি সদস্যরা। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
এই হরতালকে কেন্দ্র করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত সদস্যদের কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নির্দেশনায় চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ওপর হামলার আশঙ্কায় ডিএমপিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থানেও থাকতে বলা হয়।
সূত্রমতে, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতের লক্ষে পুলিশ ও র্যাবের সদর দপ্তরে পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও সদস্যদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশের জানমাল, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কঠোর অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, যারা এই হরতালের নামে বিক্ষোভ, মিছিল সমাবেশের নামে নাশকতার চেষ্টা করবে, জ্বালাও-পোড়াও করবে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। কেউ যদি যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে, জানমালের ক্ষয়-ক্ষতির চেষ্টা করে, থানায় হামলা বা আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফাইল ছবি
মাদারীপুরের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে কাঁঠালবাড়ি ঘাট (পুরাতন ফেরিঘাট) এলাকায় বালু বোঝায় কার্গোর সাথে স্পিডবোটের সংঘর্ষের হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। নৌ পুলিশের টিম উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
কাঁঠালবাড়ি ঘাট নৌপুলিশের বরাতে জানা গেছে, আজ (সোমবার) সকাল পৌনে ৭টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে একটি স্পিডবোট বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছিল। সে সময় কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন নদীতে নোঙর করে রাখা একটি বালুবোঝাই বাল্কহেডের সাথে দ্রুতগামী স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়।
খবর পাওয়ার সাথে সাথেই কাঁঠালবাড়ি নৌপুলিশ সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে তাই এখনও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।