a কঠোর লকডাউনে ৫ম দিনে গ্রেফতার ৪ শতাধিক
ঢাকা শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কঠোর লকডাউনে ৫ম দিনে গ্রেফতার ৪ শতাধিক


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ০৫ জুলাই, ২০২১, ০৮:৫২
কঠোর লকডাউনে ৫ম দিনে গ্রেফতার ৪ শতাধিক

সংগৃহীত ছবি

কঠোর বিধিনিষেধের পঞ্চম দিন সোমবার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার কারণে শুধু ঢাকায় ৪১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। 

এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৪৩ জনকে ৯৮ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে ৫২৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ১২ লাখ ২৩ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম। তিনি জানান, আজ অভিযানে আইনি ব্যবস্থা নেয় ডিএমপির ৮টি বিভাগ।

এর আগে চতুর্থদিন রবিবার একই কারণে ঢাকায় গ্রেফতার হন ৬১৮ জন। সেদিন ১৬১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয় ৫৪ হাজার ৪৫০ টাকা। আর ৪৯৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

এডিসি হারুন ও সানজিদা তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য দিয়েছেন


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৬:৫১
এডিসি হারুন ও সানজিদা তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য দিয়েছেন

ফাইল ছবি

রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য দিয়েছেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ ও ডিএমপির সদর দপ্তরের এডিসি সানজিদা আফরিন।

শনিবার তাদের বক্তব্য নেওয়া হয়। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা তাদের বক্তব্য লিখিত রেকর্ড করেছেন। এর আগেও তদন্ত কমিটি তাদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন।

ডিএমপির  তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাদের বক্তব্য পর্যায়ক্রমে নেওয়া হবে। এছাড়াও আরও যারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রয়েছে তাদেরও বক্তব্য নেওয়া হবে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটি সবার বক্তব্য নেবেন। অনেক তথ্য উপাত্তের বিষয় রয়েছে। তদন্তে সব কিছু বের হয়ে আসবে।

৯ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রলীগ নেতাদের শাহবাগ থানায় আটকে মারধরের ঘটনায় ডিএমপির রমনা জোনের তৎকালীন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকে ১০ সেপ্টেম্বর দুবার বদলি করা হয়।

প্রথমে তাকে রমনা বিভাগ থেকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) উত্তর বিভাগে বদলি করা হয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, হারুন অর রশীদকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার করা হয়েছে।
এর একদিন পর তাকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়। সূত্র: যুগান্তর
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের দাবি বিশেষজ্ঞদের


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:২৮
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের দাবি বিশেষজ্ঞদের

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

মো: সাইফুল আলম সরকার, ঢাকা: তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, একাডেমিক, গবেষক, সমাজের সচেতন নাগরিক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সমন্বয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরনের দাবিতে একটি নীতিনির্ধারনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১৮ মার্চ ২০২৫, রাজধানী ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে, এই সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবিতে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে আলোচনা হয়।

এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব এ.টি.এম. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ), স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাঃ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ, নির্বাহী পরিচালক, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, চেয়ার, গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভাক্সিন অ্যান্ড ইনিশিয়েটিভ (গ্যাভী), ডাঃ মোঃ শিব্বির আহমেদ ওসমানী, যুগ্মসচিব (পিএইচ উইং), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনাব মোঃ মহসীন, যুগ্মসচিব, বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা শাখা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনাব কাজী মোখলেছুর রহমান, যুগ্মসচিব (উন্নয়ন-১ অধিশাখা), যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, অধ্যাপক ডাঃ হালিদা হানুম আক্তার, প্রজনন ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ (বিইউএইচএস), সদস্য, মহিলা বিষয়ক সংস্কার কমিশন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষ ব্যক্তিবর্গ।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডাঃ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ। মূল প্রবন্ধে তিনি ডব্লিউএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রণীত খসড়ার সংশোধনীগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হলো- অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাকপণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।

জনাব এ. টি. এম. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করার জন্য বাংলাদেশের অনেক তামাক কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে।  যেমন, তামাক কম্পানিগুলো মিথ্যা প্রচার করছে যে, প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাস হলে সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাবে। তবে বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন ও ২০১৩ সালে সংশোধনের পর গত ১৮ বছরে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে সাড়ে ১২ গুণ। বাংলাদেশ সরকারকে এই দিকে নজর দিতে হবে।

অধ্যাপক ডাঃ হালিদা হানুম আক্তার, প্রজনন ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ (বিইউএইচএস) বলেন, বাংলাদেশে ৩৫.৩% প্রাপ্তবয়স্ক (১৫ বা তার বেশি বয়সী) তামাক ব্যবহার করে (গ্যাটস ২০১৭), এবং তার মধ্যে ৪৬% পুরুষ, ২৫.২% মহিলা তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। ৫৯% অপ্রাপ্তবয়স্ক পাবলিক প্লেসে এবং ৩১% বাড়িতে  পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। বাংলাদেশের মোট মৃত্যুর ১৯% (১ লাখ ৬১ হাজার ২৫২) তামাক ব্যবহার জনিত কারণে হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ-বছরে সরকার তামাক থেকে যে পরিমান রাজস্ব পেয়েছিল তার চেয়ে ৩৪% বেশি টাকা খরচ হয়েছিল তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারজনিত রোগের চিকিৎসা বাবদ। তামাকের এসব ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষার জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করার মুখ্য সময় এখনি।

ডাঃ মোঃ শিব্বির আহমেদ ওসমানী, যুগ্মসচিব। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবাতায়নের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ অধুমপায়ীদের থেকে ধূমপায়ীদের মৃত্যু তিনগুণ বেশি ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত। ৬১ হাজারেরও বেশি শিশু (১৫ বছরের নিচে) পরোক্ষ ধূমপানের কারণে সৃষ্ট রোগে ভুগছে। ঢাকার মিরপুর ও সাভারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের লালা পরীক্ষা করে ৯৫% ছাত্র/ছাত্রীর লালায় নিকোটিন পাওয়া গেছে। এরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।

সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, একটি নির্দিষ্ট জেনারেশন, বিশেষত যুবসমাজ তামাকের করাল গ্রাসের শিকার। তরুণদের মধ্যে তামাক ব্যবহার উৎসাহিত করার জন্য তামাক কোম্পানী গুলো বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখায়, যেমন, বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় নির্ধারিত ধূমপান এলাকা (ডেসিগনেটেড স্মোকিং এরিয়া) স্থাপন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্যাটল অব মাইন্ড। এইসব অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী অতীব জরুরী।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পলিসি অ্যাডভাইজর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ বরিষা পাল প্রোজেক্ট কো-অরডিনেটর, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টি টোব্যাকো ক্লাবের সদস্যসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী এবং দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আইন