a
ফাইল ছবি
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলানের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে তিরস্কার করেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেছেন, দেশটা জাহান্নাম বানিয়ে ফেলছেন!
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিচারপতি এমদাদুল হক আজাদের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির সময় এমন মন্তব্য করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আদিলুর ও নাসিরের আপিল ও জামিন আবেদন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক আজাদের বেঞ্চে উপস্থাপন করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) মো. রেজাউল করিম জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, জামিন আবেদনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি আছে।
জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করায় উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক। তিনি বলেন, তাহলে তাদের ২ বছরের সাজা দিলেন কেন? যাবজ্জীবন দণ্ড দিতে পারলেন না? দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন।
পরে শুনানি বিচারপতি এমদাদুল হক আজাদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন দেন। এছাড়া দুজনের আপিল হাইকোর্ট শুনানির জন্য গ্রহণ করে সাইবার ট্রাইব্যুনালের দেওয়া জরিমানা স্থগিত করে দেন। ফলে আপাতত তাদের কারামুক্তিতে আইনগতভাবে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে আদিলুর ও নাসিরের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছিল।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আদিলুর নাসিরকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর আইনজীবীদের মাধ্যমে আদিলুর ও নাসির হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগে আপিল আবেদন জমা দেন। আবেদনে নিম্ন আদালতের রায় বাতিল এবং অভিযোগ থেকে খালাস চাওয়া হয়। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
বিএনপির নির্বাহী সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। এর আগে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে রাজধানীর দুই থানায় দায়ের করা দুই মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি।
আজ বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিনের আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী।
অপরপক্ষে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরীর মেয়ে নিপুণ রায় গাড়িতে আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন এমন একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগে নিপুণ রায়কে রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকা থেকে গত ২৮ মার্চ আটক করা হয়। এরপর নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় মামলা হয়।
পরবর্তীতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় বে-আইনি সমাবেশ, গুরুতর আঘাত ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা অপর আরেক মামলায় নিপুণ রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এই দুই মামলায় তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়।
ছবি: সংগৃহীত
অন্যসব দেশের রাষ্ট্রনেতাদের তুলনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার পুলিশপ্রধান খন্দকার গোলাম ফারুক।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আগের দিন শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঝুঁকি বিবেচনায় সম্মেলন ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জীবন সবসময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকে, ইতিপূর্বে অনেকবার জীবননাশের চেষ্টা করা হয়েছে, আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এ জন্য আমরা তার নিরাপত্তাটাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকি।
তিনি জানান, সম্মেলনস্থলে প্রবেশের প্রতিটি গেটে থাকছে আর্চওয়ে, বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে মঞ্চের আশপাশের এলাকায় তল্লাশি করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, এক কথায় আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছি, যাতে আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল শেষ করতে পারে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন বিশ্বে যত বড় রাজনৈতিক নেতা আছেন, তার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি রিস্কে। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা বারবার তার জীবননাশের চেষ্টা করেছে। সূত্র: যুগান্তর