a
ফাইল ছবি
নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ৮টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে থাকা আইনজীবীদের সবার কক্ষ (চেম্বার) বন্ধ করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত চেম্বার (আইনজীবীর কক্ষ) খোলা রাখা যাবে।’
এ কারণে আইনজীবীদের প্রতিদিন নিজ দায়িত্বে রাত ৮টার মধ্যে চেম্বার বন্ধ করে সমিতি ভবন ত্যাগ করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ছবি: সংগৃহীত
অন্যসব দেশের রাষ্ট্রনেতাদের তুলনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার পুলিশপ্রধান খন্দকার গোলাম ফারুক।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আগের দিন শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঝুঁকি বিবেচনায় সম্মেলন ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জীবন সবসময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকে, ইতিপূর্বে অনেকবার জীবননাশের চেষ্টা করা হয়েছে, আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এ জন্য আমরা তার নিরাপত্তাটাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকি।
তিনি জানান, সম্মেলনস্থলে প্রবেশের প্রতিটি গেটে থাকছে আর্চওয়ে, বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে মঞ্চের আশপাশের এলাকায় তল্লাশি করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, এক কথায় আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছি, যাতে আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল শেষ করতে পারে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন বিশ্বে যত বড় রাজনৈতিক নেতা আছেন, তার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি রিস্কে। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা বারবার তার জীবননাশের চেষ্টা করেছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
লকডাউন উপলক্ষে সীমিত পরিসরে দোকানপাঠ খোলার অনুমতি দেয়া থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই তা চলছে বিকেল অবধি। সকাল বেলায় ভিড় দেখা গেলেও দুপুর বেলা পরিবেশ থাকে শান্ত। কিন্তু দুপুর গড়াতেই আছরের নামাজের ঠিক পরে ভিড় জমতে দেখা যায় মোড়ে মোড়ে। হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ভেতরে বসে ইফতার করার সুযোগ না থাকলেও দোকানের বাইরে যে ভিড় তাতে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নাই।
যেন একজনের উপর আরেকজন উপচে পড়ছে। ইফতার কিনতে ব্যস্ত সকলেই। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশী পাহাড়া থাকলেও ঐসময় যেন আটকে রাখা দায় হয়ে যায়। সকলেই যেন এক পলক বাইরে বের না হয়ে আর পারছিলো না। তবু যদি মুখে মাস্ক আর সচেতন হয়ে বের হতেন তবে কিছুটা হলেও মানা যেত। সারাদিন ব্যাপী লকডাউনে কাঁথা মুড়িয়ে দিলেও যেন করোনাকে কাঁধে বয়ে আনতেই বিকেলের বহিরাগমন।
ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ব্যস্ততার মাঝে যথেষ্ট বিরক্ত ছিলেন তারা।
দোকানীকে জিজ্ঞেস করায় উনি বলেন," আমরা মাস্ক ছাড়া কারো কাছে ইফতার বিক্রি করি না। আর বিক্রি করার সময় সকলেই হ্যান্ড গ্লাভস পরেই জিনিস পত্র প্যাকেট করেন।"
উনি এমন টা বললেও তার কোনো বিশেষ সত্যতা পাওয়া যায় নি। কারণ ক্রেতাদের ৪০ শতাংশই ছিলো মাস্ক বিহীন। আর ২০ শতাংশের মাস্ক ছিলো কিন্তু সঠিক নিয়মে পরতে হয়তো কষ্ট হচ্ছিল তাদের। বাকীরা মোটামুটি রকম মাস্ক পরেই ছিলো।
ইফতারের আয়োজন বানাচ্ছিলেন যিনি,উনার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,"করোনা গরম সহ্য করতে পারে না। আর আমি আগুণের কাছে থাকি তাই করোনার ভয় নাই। মাস্ক আছে পকেটে কিন্তু গরমে মাস্ক পড়া যায় না।"
যদিও উনার হাস্যকর কথার কোনো ভিত্তি জানা ছিলো না, তবু উনার বানানো ইফতারই সকলকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলো ব্যাগ ভর্তি করে। মাস্ক পরিধান করা এক ক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন," আমরা তো যতটা পারি সচেতন ভাবেই কেনাকাটা করি। আর ইফতার এর বেলায় দেখা যায় ভীড়ের মাঝেই নিতে হয়। যদিও পরিবেশটা স্বাস্থ্য সম্মত না, কিন্তু না নিয়েও তো উপায়ও নাই। "মাস্ক বিহীন একজনকে মাস্ক পরিধানের কথা বললে উনি বলেন," রোজা রাখছি তো করোনা হবে না। আর মাস্ক বাসায় আছে আনার কথা মনে নাই। এমনিতে পরি না তো, তাই আর মনে থাকে না।"
এভাবেই যেন সকলে পার করছে এই লক ডাউন এর সময়টা। সতর্কতাবিহীন অসাবধানতা এ জীবন ব্যবস্থা আরো বড় ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। সকলকে সচেতন থাকার জন্য সরকারি নির্দেশনা অবলম্বন এবং ইফতার এর পূর্বের এ অবস্থায় একটু বিশেষ সাবধানতা সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব।