a নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ৮টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট বারের সব চেম্বার বন্ধ করতে হবে
ঢাকা শুক্রবার, ২ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৮ জুলাই, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ৮টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট বারের সব চেম্বার বন্ধ করতে হবে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪, ০৪:০৫
নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ৮টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট বারের সব চেম্বার বন্ধ করতে হবে

ফাইল ছবি


 
নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ৮টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে থাকা আইনজীবীদের সবার কক্ষ (চেম্বার) বন্ধ করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত চেম্বার (আইনজীবীর কক্ষ) খোলা রাখা যাবে।’

এ কারণে আইনজীবীদের প্রতিদিন নিজ দায়িত্বে রাত ৮টার মধ্যে চেম্বার বন্ধ করে সমিতি ভবন ত্যাগ করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

নিপুণ রায় আগাম জামিন পেলেন


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩, ০১:০৬
নিপুণ রায় আগাম জামিন পেলেন

ফাইল ছবি: আহত নিপুণ রায়

রাজধানীর কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তিন মাসের আগাম জামিন পেয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।


বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, এদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও হুইল চেয়ারে আদালতে আসেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়।

গত ২৬ মে কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নিপুণ রায়সহ উভয় পক্ষের ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ফকির আলমগীর আর নেই


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১, ১০:৩৩
ফকির আলমগীর আর নেই

ফাইল ছবি

ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় ফকির আলমগীর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তার মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

কয়েক দিন ধরে ফকির আলমগীর জ্বর ও খুসখুসে কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানোর পর তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। তখন থেকেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর তাকে গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন পড়লে সেখান থেকে তাকে গুলশানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
ফকির আলমগীরের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। যে কারণে জটিলতা বাড়তে থাকে। হাসপাতালে ভর্তির পর দুই ব্যাগ প্লাজমা দেয়া হয় তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর।

তার ছেলে মাশুক আলমগীর জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৪৫-এ নেমে আসে। ওই দিন থেকে চিকিৎসকেরা তাকে ভেন্টিলেশনে নেয়ার পরামর্শ দেন। ভেন্টিলেশনে নেয়ার পর থেকে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০ পর্যন্ত উন্নীত হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এক সময় রক্তে ও ফুসফুসে ইনফেকশন পাওয়া যায়। রক্তচাপ খুবই নেমে যায়। রক্তে ইনফেকশনের জন্য প্রায় প্রতিদিনই সকালে জ্বর আসতো। শুক্রবার নতুন অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া শুরু করেন চিকিৎসকরা। একপর্যায়ে রাতে আবারো অবস্থার অবনতি হয়। এরপর গণসংগীতের এই শিল্পীকে মৃত্যু ঘোষণা দেয়া হয়।
 
ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মো: হাচেন উদ্দিন ফকির, মা বেগম হাবিবুন্নেসা। শিল্পী কালামৃধা গোবিন্দ হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

ফকির আলমগীর ষাটের দশক থেকে সংগীতচর্চা করেছেন। গান গাওয়ার পাশাপাশি বাঁশীবাদক হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তার গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন ফকির আলমগীর। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে ও ’৬৯-এর গণ–অভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। গণ–অভ্যুত্থান, ’৭১–এর মুক্তিযুদ্ধ ও ৯০–এর সামরিক শাসনবিরোধী গণ–আন্দোলনে তিনি শামিল হয়েছিলেন তার গান দিয়ে।
 
জনপ্রিয় গান:
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর।

ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেছেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয়পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে তার।

সম্মাননা ও পদক:
সংগীতের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ পর্যন্ত পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় ‘একুশে পদক’, ‘শেরেবাংলা পদক’, ‘ভাসানী পদক’, ‘সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার’, ‘তর্কবাগীশ স্বর্ণপদক’, ‘জসীমউদ্‌দীন স্বর্ণপদক’, ‘কান্তকবি পদক’, ‘গণনাট্য পুরস্কার’, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক মহাসম্মাননা’, ‘ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় পুরস্কার’, ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড যুক্তরাষ্ট্র’, ‘জনসংযোগ সমিতি বিশেষ সম্মাননা’, ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বিশেষ সম্মাননা’ ও ‘বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ’।

শোক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বরেণ্য শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে রাতে সরকারি সংবাদ সংস্থা- বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - আইন