a
ফাইল ছবি: বেনজীর আহমেদ
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা আরও ১১৩টি দলিলের সম্পদ এবং গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ (ক্রোক) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার ঢাকা মহানগর আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে তার আরও সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। সেই সব সম্পদ ক্রোকের আদেশ চেয়ে দুদক রোববার আদালতে আবেদন করলে, শুনানি নিয়ে আদালত বেনজীর আহমেদের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মির্জা ও সন্তানদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি জব্দ (ক্রোক) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাদের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব (অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেওয়া হয়।
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) ২০২২-২০২৩ মেয়াদের নির্বাচনে দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রার্থী ও সমর্থকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বার প্রাঙ্গণ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে এবং আগামীকাল বুধবারও এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে।
নির্বাচনে প্রতিবারের মতে এবারও আওয়ামী লীগ ও সমমনা আইনজীবীদের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী (সাদা প্যানেল) পরিষদ এবং বিএনপি জোট সমর্থক আইনজীবীদের ব্যানারে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের (নীল প্যানেল) প্রার্থীসহ মোট ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কয়েকটি পদে রয়েছেন ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪টি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার আট হাজার ৬২৩ জন।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সম্পাদক পদে আইন সমিতির সাবেক সম্পাদক মো. আবদুন নূর দুলারের নেতৃত্বে ১৪ জনের একটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
অপরদিকে বিএনপি জোট সমর্থিত নীল প্যানেলে সভাপতি পদে সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল এবং সম্পাদক পদে বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস কাজলের নেতৃত্বে ১৪ জনের একটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনে আন্দোলন করেছিলেন মোদি
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশের জনগণের মতো ভারতের জনগণের মধ্যেও স্বাধীনতার আকুলতা ছিল মন্তব্য করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আমাদের যারা শত্রু তারাও বাংলাদেশের শত্রু। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনে আমি ও আমার বন্ধুরা সত্যাগ্রহ (আন্দোলন) করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অনেকেই আমার সঙ্গে এখানে আছেন। আমার জীবনের প্রথম আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধ। তখন আমার বয়স ছিল ২০-২২ বছর।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার দিতে পারা ভারতের জন্য গর্বের ব্যাপার। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে উপস্থিত থাকা এবং এমন একটি পুরস্কার তুলে দিতে পারা আমার জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ জোরালো কণ্ঠস্বরে উচ্চারণ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এর পর শুভেচ্ছা বার্তা দেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে নরেন্দ্র মোদির হাত থেকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করেন শেখ রেহানা।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদি পৌঁছার পর বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়।