a
ক্যাসিনোকাণ্ডের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদেশের জন্য বুধবার দিন ধার্য্য করেন আদালত।
এর আগে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রিভিশন চেয়ে সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ মে সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর মুক্তি পান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাঁকে জামিন দেন।
দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ মামলায় গত ১১ মে তিন শর্তে এবং ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
শর্তগুলো হলো—আদালতের অনুমতি ছাড়া সম্রাট দেশত্যাগ করতে পারবেন না, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আগামী ধার্য তারিখে জমা দিতে হবে। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
একজন নাগরিক হিসেবে আবেদন করেছেন জানিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সবাইকে আল্লাহ বাঁচাইছে, বেনজীর সাহেব বেশিদিন সময় পাননি। আর কিছুদিন সময় পেলে গোপালগঞ্জ কিনে নিতেন উনি। পুলিশে যারা অসৎ হবেন বেনজীর সাহেবকে আদর্শ ধরে নেবেন।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এই আবেদন জমা দেন তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান বরাবর করা আবেদনে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ একটি পত্রিকা ঢাকায় ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করে। ৩৪ বছর পর ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর বেনজীর আহমেদ অবসরে যান। অবসরের পর বেনজীর আহমেদ চাকরিকালীন স্ত্রী ও মেয়ের নামে অনেক সম্পদ গড়েছেন। যা তার জ্ঞাত আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
আবেদনে আরও বলা হয়, বেনজীর ও তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ এবং কন্যা সন্তান তাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে বেনজীর তার পদের অপব্যবহার করে উল্লিখিত সম্পত্তি অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন। আবেদনে তিনি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, কন্যা ফারহিন রিশতা বিন্তে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের অবৈধ সম্পদ বিষয়ে তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করছি।
আবেদন জমা শেষে সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে যে রিপোর্ট আছে, প্রায় হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের। উনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আসছে পত্রিকায়। এটার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ইনকোয়ারির ব্যবস্থা না দেখে আমি দুদকে এসেছি।
তিনি বলেন, আমি বলেছি এটা ইনকোয়ারি করা দরকার। কারণ যদি সাবেক আইজিপির এতো সম্পদ থাকে, তাহলে পুলিশ ফোর্সের মধ্যে যারা সৎ অফিসার আছেন তারা খুব বেশি ফ্রাস্ট্রেটেড হবেন। সৎ নাগরিকদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এটা যদি সত্য হয়, যারা অসৎ আছে তারা প্রতিযোগিতায় নামবে আমরা সবাই বেনজির হতে চাই। এর জন্য মনে হয়েছে এটা দেশের জন্য ভয়ানক বিষয়। এটা ইনকোয়ারি হওয়া দরকার। দুদক আমলে না নিলে কী করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিষ্কার হাইকোর্ট আছে।
দুদক অনুসন্ধান শুরু না করলে হাইকোর্ট যাবেন বলে জানান ব্যারিস্টার সুমন।
এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন। সেখানে তিনি অবৈধ সম্পদ নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারলে প্রমাণদাতাকে সেই সম্পদ বিনামূল্যে দিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। সূত্র: ইত্তেফাক
সংগৃহীত ছবি
আগামীকাল রোববার থেকে ফের শারীরিক উপস্থিতিতে শুরু হচ্ছে বিচারকাজ। দ্বিতীয়দফা লকডাউনে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল অধস্তন আদালতে স্বাভাবিক বিচারকাজ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের অনুমোদনক্রমে শনিবার রাতে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
তবে করোনার বিস্তার রোধে যেসব জেলায় স্থানীয় প্রশাসনের বিধিনিষেধ চলছে সেখানে ভার্চুয়ালি জামিন ও জরুরি বিষয়ে শুনানি করা যাবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে গত ১৭ জুন হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়ালি ৫৩টি বেঞ্চ গঠন করে সব ধরনের মামলার বিচারকাজ শুরুর ঘোষণা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রোববার থেকে হাইকোর্ট বিভাগে ওই বেঞ্চগুলোতে বিচারকাজ শুরু হবে। এছাড়া গত ১ জুন থেকে সপ্তাহের সব কার্যদিবসে ভার্চুয়ালি আপিল বিভাগে বিচারকাজ শুরু হয়।
এরপর দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে গত ৪ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তিতে সীমিত পরিসরে ভার্চুয়ালি উচ্চ ও অধস্তন আদালতে শুধুমাত্র জামিনসহ জরুরি বিষয়ে শুনানি গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়। যার ফলে স্বাভাবিক বিচারকাজ বন্ধ হয়ে মামলার জট বাড়ার পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি ও হয়রানিও চরমে পৌঁছে।