a
ফাইল ছবি: আসিফ নজরুল
রাজধানীসহ সারা দেশে সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। আগামী দুই মাসের জন্য সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ক্ষমতায় থাকবেন। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলগুলোতে নাশকতা, অরাজকতা এবং দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার মতো কিছু কর্মকাণ্ড ঘটছে বলে আমরা লক্ষ করেছি।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে এই পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য। এসব অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য, মোকাবেলা করার জন্য। সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এর কোনো অপপ্রয়োগ ঘটবে না বলে আশাবাদী আইন উপদেষ্টা।
গতকাল (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৬০ দিনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩, ১৪২ অনুযায়ী এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তারা অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারবেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনী কর্মকর্তারা আগামী দুই মাস ফৌজদারি অপরাধের বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ফটো:
ড. বেনজীর আহমেদ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই পুলিশকে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত এবং মানবিক বাহিনী হিসেবে গড়ার কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার সব ধরনের সরকারি পেশাজীবীর সুযোগ সুবিধা ও বেতন-ভাতা অনেক বাড়িয়েছে। তাই পুলিশের কোনো সদস্য দুর্নীতিতে যুক্ত থাকতে পারবে না বলে জানান আইজিপি।
পুলিশ সুপার (এসপি), ডিআইজিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন (সিনিয়র) কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য সরাসরি পুলিশ সদর দফতরে জানাতে পারবেন তাদের অধস্তন (জুনিয়র) সদস্যরা। আর তদন্তে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে পুরস্কৃত করা হবে তথ্যদাতা পুলিশ সদস্য বা কর্মকর্তাকে।
সম্প্রতি আইজিপি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছেন। সেখানে দুর্নীতির তথ্যদানকারী পুলিশ সদস্যকে সব ধরনের সুরক্ষা দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। শিগগিরই আদেশটি পৌঁছে যাবে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ সদস্যরা নির্ভয়ে সরকারি অর্থের নিয়মিত ও অননুমোদিত ব্যয়, সরকারি সম্পদের অব্যবস্থাপনা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তথ্য দিতে পারবেন। এর মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতসহ দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে জানান।
আইজিপির আদেশে তথ্যদাতা পুলিশ সদস্যদের জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন-২০১১ এবং জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) বিধিমালা-২০১৭ এর অধীনে সুরক্ষা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
তথ্য প্রকাশ আইন ও বিধিমালায় কোনো তথ্য প্রদানকারীর পরিচিতি প্রকাশ না করার উল্লেখ রাখা হয়েছে। এছাড়া তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি বা দেওয়ানি মামলা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোনো বিভাগীয় মামলা দায়ের না করাসহ তাকে পদাবনতি, হয়রানিমূলক বদলি, বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণ ও বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না বরং তথ্য প্রমাণিত হলে পুরস্কার ও সম্মাননা দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে দণ্ড হিসেবে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রয়োগ করে মামলা, তদন্ত ও আইনানুগ কার্যক্রমের বিষয়টিও উল্লেখ রাখা হয়েছে।
ফাইল ছবি
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট এশিয়ার দেশ জাপানের হিরোশিমা শহরে প্রথম পরমাণু বোমা হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় হিরোশিমা শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়। এতে নিহত হয় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। এর তিনদিন পর জাপানের নাগাসাকি শহরে দ্বিতীয় পরমাণু বোমা হামলা চালায় আমেরিকা। দ্বিতীয় বোমা হামলায় আরও ৭০ হাজার মানুষ জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যায়।
হিরোশিমা শহরের পরমাণু বোমায় ১৫ হাজার এনটিএন ছিল। ওই বোমা বিস্ফোরণের সময় ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ছিল ৪ হাজার ডিগ্রি। ওই দুই শহরে বোমা হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া জাপানিরা বেশিরভাগই থাইরয়েড, ফুসফুস ক্যান্সারসহ আরও বিভিন্ন রকমের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।
মানবতাবিরোধী এই হামলার জন্য ওয়াশিংটন ক্ষম চাইবে না বলে জানিয়েছে আমেরিকা।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১৯ থেকে ২১ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় জি-সেভেনের বৈঠকে অংশ নিতে জাপান সফরে যাবেন। তবে তিনি হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে বোমা হামলার জন্য টোকিওর কাছে ক্ষমা চাইবেন না।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আরও বলেন, হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল পার্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার বিষয়ে বাইডেন কোনও বিবৃতিও দেবেন না বলে জানা গেছে।
জাপান এ বছর জি-সেভেন সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবে। সূত্র: ডেইলি মেইল, ফক্স নিউজ, তাস