a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিয়ে বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছেন। উপদেষ্টারা সম্মানিত ব্যক্তি কিন্তু দেশের স্বার্থে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। উপদেষ্টাদের উচিত দেশে যারা অভিজ্ঞ মানুষ আছেন এবং দেশ বরেণ্য রাজনীতিবিদ আছেন তাদের সাথে পরামর্শ করা।
এরই প্রেক্ষিতে আজ ০৮/০২/২০২৫ ইং তারিখে সকাল ১০.০০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সার্বভৌমত্ব আন্দোলন কর্তৃক ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারের ৬ মাসের আমলনামা এবং নতুন রাজনৈতিক দর্শনের আত্মপ্রকাশ’ নামক সমাবেশ আয়োজন করেন। উক্ত সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ফরিদ আহমেদ, প্রতিষ্ঠাতা সার্বভৌমত্ব আন্দোলন, তিনি নতুন রাজনৈতিক দর্শনের আত্মপ্রকাশ করেন এবং উপদেষ্টা ও জাতীয় নেতাদের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করেন। ডা, ইউনুস বাদে বাকি উপদেষ্টাদের বাতিল করার সময়কাল এবং দফা ঘোষণা করেন। সমাবেশের সমাপনী ঘোষনা দেন জনাব সাকিব আলী, উপদেষ্টা, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন এবং সাবেক কূটনৈতিক। তিনি সরকারকে বৈশিষ্ট্য এবং চরিত্র নির্ভর দায়িত্বশীর ব্যক্তিদের নিয়ে বাংলাদেশের কঠিন সময় পাড় করার কথা বলেন।
সার্বভৌমত্ব আন্দোলন এর অন্যতম উপদেষ্টা, ফজলুস সাত্তার বর্তমান সময়ে রাজনীতি এবং ভূ-রাজনীতি নিয়ে আলাপ করেন। রাজনীতির সমাবেশে ফুয়াদ সাকী, কেন্দ্রীয় সংগঠক, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন, সমসাময়িক সময়ের আহত এবং সাধারণ মানুষের কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেন।
অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক শামীম রেজা উপদেষ্টাদের নানা ব্যর্থতা এবং অক্ষমতা তুলে ধরেন। সমাবেশে আরো কথা বলেন, খান শোয়েব আমান (মানবাধিকার কর্মী) তাসনুভা মাহা (সংগঠক, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন), সজিব আহমেদ ( সংগঠক, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন), স্মৃতি আহমেদ ( সংগঠক, ঢাকা মহানগর, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন), কাজী টিটো (সংগঠক, ঢাকা মহানগর, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন), মাশকুর শাহরিয়া (সংগঠক, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন), তানজিনা ফেরদৌস (সংগঠক, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন), পারভীন সুলতানা (সংগঠক, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন), আল মুজাহিদ লিটু (ছাত্র সংগঠক, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন), রায়হান আহমেদ (ছাত্র সংগঠক, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন)।
এছাড়া রাষ্ট্রযন্ত্রের বৈষম্য এবং অনিয়মের শিকার প্রতিনিধি হিসাবে আলোচনায় অংশ রাখেন অনেকেই। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
ক) জুলাই অভ্যুত্থান আহদের প্রতিনিধি
খ) হরিজন প্রতিনিধি
গ) স্বাস্থ্য বিষয়ক অনিময় বিষয়ক প্রতিনিধি( ডাক্তার)
ঘ) অভিভাবকদের প্রতিনিধি
ঙ) বিডিআর সৈনিকদের প্রতিনিধি
চ) সারাদেশে বিদ্যুত বা শক্তি বিষয়ক প্রতিনিধি।
ছ) হাসিনার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকারের বিজয়ী নেতাদের প্রতিনিধি।
জ) জাতীয় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিনিধি এবং ঢাকার সার্বভৌমত্ব আন্দোলনের স্থানীয় নেতা কর্মীগণ।
ফাইল ছবি
কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে। রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে ও ডিইউজে’র আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্ধ এ দাবি করেন।
গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিচার বিভাগকে মুক্তসাংবাদিকতার পক্ষে ভূমিকা নেয়া উচিত। তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদালত আজ মুক্ত সাংবাদিকতার পক্ষে রায় দিচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সংবিধান বিরোধী আইন বন্ধে আদালতের ভূমিকা আমরা দেখতে পাইনি।
সাংবাদিকরা গ্রেফতার হচ্ছেন এবং তারা বছরের পর জেল আছেন অথচ জামিন দেয়া হচ্ছে না। দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন বলা হয়। কিন্তু কতটুকু স্বাধীন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশের বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারলে রুহুল আমিন গাজী মুক্তি পেতেন।
সমাবেশে বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, এ সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ গণমাধ্যম। আর সত্য হচ্ছে প্রধান শত্রু । সত্য প্রকাশের জন্য অনেক সাংবাদিককে আটক করে রাখা হয়েছে। অনেক সাংবাদিক খুন হয়েছেন। মামলা-নির্যাতনে হয়রানি করা হচ্ছে।
রুহুল আমিন গাজীসহ সকল কারাবন্দি সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, মামলার মেরিট দেখে আর সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করে বিচার বিভাগ রায় দিলে এসব মামলা টিকতে পারে না।
এ প্রসঙ্গে শওকত মাহমুদ সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে প্রেস ফ্রিডম নেই। অথচ ওই দেশের বিচারপতিরা সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অনেক মামলার আসামিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় সাংবাদিক আটককে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার মূল লক্ষ্য তাদের অপশাসনকে দীর্ঘায়িত করা। তিনি মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালা কানুন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, কোনো সভ্যদেশে এমন ভয়ংকর আইন কল্পনাও করা যায় না।
আমেরিকার সংবিধানে প্রথম সংশোধনী আনা হয় মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষায়। এতে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে এমন কোনো আইন কখনো মার্কিন কংগ্রেসে পাস করবে না। এরাই হলো সভ্য। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের সংবিধানেও সংশোধনী এনে মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হোক।
বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন সরকারকে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ৭৫ পূর্বে সংবাদপত্র বন্ধ করে এবং নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে তৎকালীন সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেই রুহুল আমিন গাজীসহ কারাবন্দি সকল সাংবাদিকের মুক্তি সম্ভব।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, এ সরকার অবৈধ। এ সরকার কর্তৃত্ববাদী। টিকে থাকার জন্য এ সরকার সব কিছু করতে পারে।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম অবিলম্বে কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি এবং শওকত মাহমুদসহ অন্যদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, রুহুল আমিন গাজী কিডনি সমস্যাসহ অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত। অথচ তার চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই।
ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালীন নোমানী, রফিকুল ইসলাম আজাদ সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, বিএফইউজের সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুল বাশার, ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত ও রাশেদুল হক, বিএফইউজের সহকারি মহাসচিব শহীদুল্লাহ মিয়াজী, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য একেএম মহসীন, ডিইউজে নেতা শাহজাহান সাজু, দেওয়ান মাসুদা, সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশীদ আলম, দপ্তর সম্পাদক তোফায়েল হোসেন, নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, ডিইউজের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ আলী আসফার, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য জেসমিন জুঁই প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ও কোষাধ্যক্ষ গাজী আনোয়ারুল হক।
ফাইল ছবি
জামালপুর সরিষাবাড়ীতে ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় ভোলা শেখ নামে একজন নিহত এবং রুবেল নামে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা যায়। শনিবার দুপুরে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চর নলসন্ধ্যা গ্রামে এ ধরণের সহিংস ঘটনা ঘটে।
নিহত ভোলা শেখ (৬০) পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার নিশ্চিতপুর ইউনিয়নের কাজল গ্রামের মৃত হারুনর রশিদের ছেলে।
পুলিশের তথ্যমতে, আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পিংনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী নুরুল ইসলাম (ফুটবল) ও প্রতিদ্বন্দ্বী সুজাত আলী সুরুর (মোরগ) সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে নলসন্ধ্যা গ্রামে নুরুল ইসলামের সমর্থকরা ভোট চাইতে গেলে সুজাত আলী সুরুর লোকজন রুবেল ও হালিম নামে দুই ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যায়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নুরুল ইসলামের লোকজন তাদের উদ্ধার করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় মেম্বার প্রার্থী নুরুল ইসলামের সমর্থক ভোলা শেখ ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় আহত হয় হালিম, টুটুল, আব্দুল হাই, শুক্কুরসহ কমপক্ষে ১০ জন।
অপরদিকে, রুবেল (২৬) নামে একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করছে তার পরিবার। নিখোঁজ রুবেল পিংনা ইউনিয়নের নলসন্ধ্যা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
এ ব্যাপারে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) আব্দুল লতিফ জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।