a
ফাইল ছবি
আজ বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) নির্বাচন। শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ঢাকাসহ সারাদেশে ১০টি ভোটকেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একযোগে ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচনে সভাপতি পদে তিনজন ও মহাসচিব পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, আবু জাফর সূর্য ও ওমর ফারুক।
অপরদিকে মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুল মজিদ, দীপ আজাদ ও লায়েকুজ্জামান। এছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খায়রুজ্জামান কামাল, নজরুল কবির ও মোহাম্মদ আবু সাঈদ।
সভাপতি, মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষ এ তিন পদ পদ ছাড়াও এবারের নির্বাচনে ঢাকা থেকে সহসভাপতি পদে পাঁচজন, যুগ্ম মহাসচিব পদে চারজন, দপ্তর সম্পাদক পদে ছয়জন ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়াও বাকি নয়টি ইউনিট থেকে সহসভাপতি, যুগ্ম মহাসচিব, নির্বাহী সদস্য পদে লড়ছেন প্রার্থীরা। এরমধ্যে কিছু পদে কয়েক জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
ফাইল ছবি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, চলতি মাসেই কিছু আইপি টিভির অনুমোদন দেয়া হবে। তবে নীতিমালা অনুযায়ী আইপি টিভি সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এসময় তিনি জানান, দেশে কোনো আইপি টিভির অনুমোদন নেই। আমরা ইত্যোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করেছি এবং আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬০০ এর মতো আবেদন জমা পড়েছে। আমরা খুব সহসা, এ মাসের মধ্যেই অনুমোদন দেব। যেহেতু আমরা অনুমোদন দেয়া শুরু করিনি, তাই কোনোটার অনুমোদন নেই।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরেরও আইপি টিভিরও অনুমোদন নেই। কিছু আইপি টিভির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা সময় সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কিছু কিছু আইপি টিভি দেখা গেছে ব্যক্তিস্বার্থে পরিচালিত হয়। তারপর নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ায়, নানা ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার করে, সংবাদ পরিবেশন করে। এ ধরনের কোনো অভিযোগ যদি আমাদের নজরে আসে, তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ইতোমধ্যে অনেকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তার ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ফাইল ছবি
ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, চলমান উত্তেজনার মধ্যে আগামী সপ্তাহে নৌ মহড়ার প্রস্তুতি নেওয়া অংশ হিসেবে রাশিয়া সমুদ্রে তার প্রবেশের পথ অবরোধ করে রেখেছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেন, আজভ সাগর সম্পূর্ণ অবরোধ করে রাখা হয়েছে এবং কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। খবর বিবিসির।
খবরে আরো বলা হয়, রাশিয়ার নৌ মহড়া কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগরে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে। ইতোমধ্যে দেশটি উপকূল এলাকায় সতর্কতা জারি করে বলেছে, এ মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও গুলি ছোড়ার অনুশীলন করা হবে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, বিশাল এলাকাজুড়ে মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে, যা নজির বিহীন। এতে উভয় সাগরেই জাহাজ চলাচল অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অপরদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ টুইটারে লেখেন, দুটি সাগরের আন্তর্জাতিক পানিসীমা রাশিয়া অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
এক টুইটে ইউক্রেনের মার্কিন দূতাবাস বলেছে, রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগরে সামরিক মহড়ার অজুহাতে ইউক্রেনের সামুদ্রিক সার্বভৌমত্ব ও জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা সীমিত করে তাদের অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য জাহাজ চলাচলে বাধা দিয়েছে।
এদিকে প্রতিবেশী বেলারুশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউক্রেনের সঙ্গে যার বিশাল সীমান্ত। এসব মহড়ার বিষয়ে ফ্রান্স বলছে, এটি ‘হিংসাত্মক অঙ্গভঙ্গি’। অপরদিকে ইউক্রেন বলছে, এটি ‘মানসিক চাপ’ তৈরি করছে।
এদিকে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় ইউক্রেনে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দ্রুত দেশ ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলছেন, কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপ বৃহত্তম নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পর থেকেই কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগর অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের তিনটি জাহাজ আটক করেছে। ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার প্রায় এক লাখ সেনা সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আশঙ্কা করছে, মস্কো হয়তো কিয়েভে হামলা চালাতে পারে।
যদিও রাশিয়া ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু দেশটি ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করে আসছে।