a
ফাইল ছবি
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামের পদত্যাগ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম গণমাধ্যমে বক্তব্য পাঠিয়েছেন।
অপরদিকে, নিজের পদত্যাগের কারণ জানিয়ে আরেকটি বক্তব্য দিয়েছেন নঈম নিজামও। বুধবার তারা পৃথকভাবে গণমাধ্যমে বক্তব্য পাঠান। নিচে দু’জনের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
মাহফুজ আনাম তার বক্তব্যে বলেন, 'সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে নঈম নিজামের পদত্যাগের সংবাদে আমি বিস্মিত ও মর্মাহত। মঙ্গলবার রাতে তিনি নিউইয়র্ক থেকে টেলিফোনে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার পদত্যাগপত্র আমি এখনও পাইনি। সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরিষদের অবস্থান জানানো হবে। উল্লেখ্য, সম্পাদক পরিষদের যে কোনো সিদ্ধান্ত সদস্যদের মধ্যে আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়। কখনোই এর ব্যত্যয় ঘটেনি। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, নঈম নিজামের সঙ্গে আমার কর্মক্ষেত্রের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং পরিষদ পরিচালনার বিষয়ে তার সঙ্গে আমার কখনোই কোনো মতানৈক্য হয়নি।'
অন্যদিকে, নঈম নিজাম তার বক্তব্যে বলেন, 'আমরা পরস্পর ঐক্য ধরে রেখে একটি ইতিবাচক অবস্থান নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু কঠিন বাস্তবতা হলো, সরকারের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে বিবৃতি প্রদান ছাড়া সম্পাদক পরিষদ আর কোনো কিছু নিয়ে কাজ করছে না। সম্পাদকদের একটি প্রতিষ্ঠান শুধু সরকারবিরোধী ভাব নিয়ে চলতে পারে না। পরিষদ পেশার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারছে না। শুধু সভাপতির ব্যক্তিগত ইচ্ছায় প্রতিষ্ঠান চলছে। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের স্বার্থ রক্ষা সম্পাদক পরিষদের কাজ হতে পারে না। এসব তৎপরতা মিডিয়ার জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। কোনো অপরাধ প্রমাণের আগে কোনো মিডিয়া মালিকের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে বারবার বলার পরও তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরেননি বিধায় সম্পাদক পরিষদ থেকে আমার সরে দাঁড়ানো ছাড়া বিকল্প ছিল না।'
সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, চলতি মাসেই কিছু আইপি টিভির অনুমোদন দেয়া হবে। তবে নীতিমালা অনুযায়ী আইপি টিভি সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এসময় তিনি জানান, দেশে কোনো আইপি টিভির অনুমোদন নেই। আমরা ইত্যোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করেছি এবং আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬০০ এর মতো আবেদন জমা পড়েছে। আমরা খুব সহসা, এ মাসের মধ্যেই অনুমোদন দেব। যেহেতু আমরা অনুমোদন দেয়া শুরু করিনি, তাই কোনোটার অনুমোদন নেই।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরেরও আইপি টিভিরও অনুমোদন নেই। কিছু আইপি টিভির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা সময় সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কিছু কিছু আইপি টিভি দেখা গেছে ব্যক্তিস্বার্থে পরিচালিত হয়। তারপর নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ায়, নানা ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার করে, সংবাদ পরিবেশন করে। এ ধরনের কোনো অভিযোগ যদি আমাদের নজরে আসে, তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ইতোমধ্যে অনেকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তার ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ফাইল ছবি
এক সপ্তাহ না যেতেই পাকিস্তানের কাছে হারতে হলো ভারতকে। চলতি এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে চরম হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারায় ভারত। তবে সেই হারের তিক্ততা ভুলে প্রতিশোধ নিয়েই সুপার ফোরে ঘুরে দাঁড়ালো পাকিস্তান।
শক্তিশালী ভারতকে রণকৌশলের খেলা খেলেই হারিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের লেগ স্পিন ভেলকি সামাল দিতে নিজেদের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনে ভারত। লেগিদের সামনে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নওয়াজকে ছুঁড়ে দেয়। আর তাতেই দলের তুরুপের তাস হয়ে ওঠেন এই অলরাউন্ডার।
ক্যারিয়ারজুড়ে সাত-আট নম্বরে ব্যাট করা নওয়াজ টপ অর্ডারে সুযোগ পেয়েই তা দুহাত দিয়ে লুফে নিয়েছেন। ২০ বল খেলেছেন ৪২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ৬ চার এবং ২ ছয়ে ইনিংস সাজানো নওয়াজ ব্যাটিং করেছেন চোখ কপালে তোলা ২১০ স্ট্রাইক রেটে!
ইনিংসের নবম ওভারে দলের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফখর জামান সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পরই নওয়াজকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ম্যাচ জয়ের পর নওয়াজের ব্যাটিং পজিশনে হঠাৎ বদলে দেওয়ার রহস্য খোলাসা করেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম, ‘নওয়াজ ও রিজওয়ানের জুটিটা দারুণ ছিল। নওয়াজ প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছে। ওদের দু’জন লেগ স্পিনার বল করছিল, আর আমরা এ সুযোগটাই নিতে চেয়েছিলাম।’
মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে নওয়াজের তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে আসে ৪১ বলে ৭৩ রান। আর সেটাই ছিল ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের রানতাড়ার টার্নিং পয়েন্ট।
নতুন ভূমিকায় ব্যাট করতে নামার আগে কী পরিকল্পনা করেছিলেন নওয়াজ, ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে সেটা নিজেই জানালেন, ‘তখন আমাদের ওভারপ্রতি ১০ রান প্রয়োজন ছিল। প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানোর সংকল্প করেই মাঠে নেমেছিলাম। ভাবনার জায়গাটা পরিষ্কার ছিল, জায়গামতো বল পেলেই মারব। আর চাপের মধ্যে এই পরিকল্পনা কাজে লেগেছে।’
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরে গেছে ভারত। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত। সূত্র: বিডি প্রতিদিন