a
ফাইল ছবি
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের জন্মদিন উপক্ষে “মানবতার রক্ষাকবচ ফেসবুক” এই ব্যানারে জন্মদিন পালন করা হয়। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। যার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মার্ক জুকারবার্গ। তার জন্ম ১৪ মে ১৯৮৪। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ এর উদ্যোগে আজ ২৩ মে, ২০২১ বিকেল ৪: ০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ৫ম তলায়, ঢাকায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিলের সভাপতিত্বে সেখানে বক্তব্য রাখেন, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টির সভাপতি শহীদ চৌধুরী, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি দেওয়ান মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী সরদার ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে এম এ জলিল বলেছেন, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ মার্ক জাকারবার্গ ফেইসুবক প্রতিষ্ঠা করে মহৎ ক্জ করেছেন। মানবতার রক্ষা কবচ এই ফেইসবুক প্রতিষ্ঠা হয়ে সমাজে, রাষ্ট্রে ও বিশ্বের কাছে গরীব মানুষের যে উপকার হয়েছে বলে শেষ করা যাবে না। এই ফেইসবুকের আবিষ্কারক মার্ক জুকারবার্গ ১৪ মে, ১৯৮৪ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছে। তার ৩৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ আমরা এ আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। মার্ক জুকারবার্গের জন্মদিন পালনের মাধ্যমে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি এবং সকলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি ।
ফাইল ছবি
পুলিশের বিদায়ী মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘যারা আমাকে নষ্ট রাজনীতির দুষ্ট চর্চায় তাদের বিপক্ষে আবিষ্কার করেছেন, আমার বিরুদ্ধে নানা সময়ে অভিযোগ তুলেছেন তাদের নিয়ে আজ কোনো অভিযোগ নাই, অনুযোগও নাই।’
বৃহস্পতিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘খুন হলেও দুটো পক্ষ হয়ে যায়। ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত। পুলিশ দুই দলকে খুশি করতে পারে না। এ কারণে একপক্ষ সব সময় ভুল বোঝে। আইনি দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ায় অনেকেই বিপক্ষে গেছেন। সেটা বিদায়লগ্নে আর বলতে চাই না।
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘জিম্মিদশা থেকে ওই এলাকার মানুষকে মুক্ত করতে পেরেছি।’
পুলিশের সবচেয়ে বড় পদে দায়িত্ব পালনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল— এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘কোনো মানুষই আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এর বাইরে আরেকটা বিষয় থাকে সামাজিক প্রত্যাশা। সামাজিক প্রত্যাশার জন্যও অনেক কিছু করতে হয়েছে। দায়িত্ব পালনে যিনি অপর পাড়ে ছিলেন। লাইনের উল্টো দিকে ছিলেন। তিনি নিজেকে প্রতিপক্ষ মনে করলে সঠিক হবে না।’
বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। ভালো কাজের ক্রেডিট সরকারের এবং মানুষের। কোনো ব্যর্থতা থাকলে আমার। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি সংগৃহীত
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে থাকা বাংলাদেশি পতাকাবাহী ‘এমভি আবদুল্লাহ’য় থাকা পানি ও রসদ প্রায় শেষ হয়ে আসছে। জাহাজে থাকা চাল, ডাল, মাছ, মাংসসহ অন্যান্য খাবারে দস্যুরাও ভাগ বসানোয় দ্রুতই মুজদ শেষ হয়ে আসছে। তাই বিকল্প ব্যবস্থায় জাহাজে খাবার পাঠানোর চেষ্টা করছে জাহাজ মালিকপক্ষ। জাহাজ নিজেদের কব্জায় নেয়ার পর চার দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনো দস্যুদের সাথে যোগাযোগ হয়নি মালিক কর্তৃপক্ষের।
কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন দস্যুদের ফোনের অপেক্ষায় রয়েছি। তাদের সাথে যোগাযোগ হলেই প্রথম আমরা খাবার নিয়ে আলোচনা করবো। এছাড়া তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জাহাজে খাবার ও পানি সরবারহের ব্যবস্থা নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছি। দস্যুরা যত দ্রুত আমাদের সাথে যোগাযোগ করবে, তত দ্রুত আলোচনা শুরু করতে পারবো।’
জানা যায়, জলদস্যুদের কবলে পড়ার সময় ‘এমভি আবদুল্লাহ’য় খাবার ও পানি মুজদ ছিল ২৫ দিনের। মজুদ থাকা খাবারের মধ্যে ছিল হিয়ামিত মাছ, মাংস, সবজি, ফল, ডাল, চাল বিস্কুটসহ নানা ধরণের শুকনো খাবার। যা দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ দিন চলার কথা ছিল। কিন্তু জাহাজ জিম্মি হওয়ার পর নাবিকদের পাশাপাশি দস্যুরাও জাহাজে অবস্থান করছে। ফলে জাহাজে খাবার ও পানির চাহিদা বেড়েছে। এতে করে দ্রুত শেষ হয়ে আসছে জাহাজে থাকা খাবারের মজুদ। এরআগে জিম্মি হওয়ার পর জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান এক হোয়াটঅ্যাপের অডিও বার্তায় বলেন, আমাদের জাহাজে ২০ থেকে ২৫ দিনের খাবার ও পানি আছে। সবাইকে বলেছি, এগুলো একটু সাবধানে ব্যবহার করতে। মজুদ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়ব আমরা।’
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বিগত সময়ে দেখা গেছে জাহাজের খাবার শেষ হয়ে যাওয়ার পর, দস্যুরাই নাবিকদের জন্য খাবার ব্যবস্থা করেছে। এমভি আবদুল্লাহ’র ক্ষেত্রে এটা হবে আশা করছি। তবে তারা খাবার সরবারহ করলেও পরিমাণ হবে তা কম।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন