a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বইমেলা কেবল বই কেনা-বেচার জন্য নয়; বইমেলা বাঙালির ‘প্রাণের মেলা’। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টল।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২) বিকাল ৫টায় অমর একুশে বইমেলা ২০২২-এ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টল (স্টল নং: ৬৭৩) এর শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
এসময় উপাচার্য বলেন - গ্রন্থমেলা মানে জ্ঞানের মেলা। যেখানে প্রবীণ, তরুণ, বৃদ্ধ সবার জ্ঞানের সমাহারে সৃষ্ট জ্ঞান কালো অক্ষরে বাঁধাই করা হয় সাদা কাগজে মোড়ানো বইয়ের মাঝে। গ্রন্থমেলা মানে বইপ্রেমী পাঠকদের জন্য এক অনন্য আনন্দের মেলা। তীব্র জ্ঞান আহরণের মেলা। যেখানে বইপ্রেমী পাঠকরা ভার্চুয়াল জগৎ থেকে বেরিয়ে এসে ভিড় জমায় গ্রন্থমেলায় তাদের প্রিয় লেখকের বই কেনার জন্য। প্রতিবছরের ন্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রকাশনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বইগুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টলের সাজ-সজ্জা কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক চঞ্চল কুমার বোসসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত চার বছর যাবত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণ করে আসছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টলে নিজস্ব প্রকাশনায় প্রকাশিত বই, জার্নালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বই সেখানে স্থান পেয়ে থাকে।
ফাইল ছবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ (ধুপখোলা মাঠ) দখল করে সেখানে মার্কেট ও পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। পূর্বের পরিকল্পনা হিসেবে গত ১০ জুন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা ও সিটি কর্পোরেশনের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হরিদাস মল্লিক মাঠের ভেতর ম্যাপ অনুযায়ী মাঠের চার কর্নারে খুঁটি বসান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে মাঠের মধ্যে মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনার বিষয়টি নজরে আসার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ দখলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল স্যারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, "গতকাল ১৬ জুন আমরা মাঠ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম, মাঠে যেয়ে সেখানে দায়িত্বরত যারা ছিলেন তাদের সাথে কথা হয়েছে কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ দখলের বিষয়ে ভিসি স্যার মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলবেন। এ ব্যাপারে দ্রুত সমাধান আসবে বলে আশাবাদী আমরা।"
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টের ১৩তম ব্যাচের ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষার্থী আনতাজ হেনা আখি বলেন, আমরা কখনোই চাইবো না মাঠটা দখল হোক। একজন খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই চাইবো মাঠ টা আমাদের থাকুক। কেননা এই মাঠটুকুই আমাদের জগন্নাথের খেলোয়াড়দের একমাত্র স্বস্তির জায়গা। ভালোবাসার জায়গা আমাদের খেলাধূলার জন্য।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ সকলেই এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।
ফাইল ফটো:অভিযোগ করা যুবক ও আড়ংয়ের লোগো
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আড়ংকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই হ্যাশট্যাগ আড়ং দিয়ে ওই ব্রান্ডের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছেন। সম্প্রতি ইমরান হোসেন নামের এক ব্যক্তি ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন, দাড়ি থাকায় তিনি চাকরি পাননি আড়ংয়ে। তার সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই আড়ংয়ের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন অনেকে।
সিলেটে আড়ংয়ের বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন স্থানীয় একদল বাসিন্দা। পরে আড়ং এক বিবৃতি দিয়ে ওই যুবকের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আট মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায় এক যুবক, নিজেকে ইমরান হোসেন ইমন নামে পরিচয় দিয়ে বলছেন, তিনি আড়ংয়ে বিক্রয়কর্মীর একটি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, মুখে মাস্ক পরেই তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তার সাথে সন্তুষ্ট বলে তার মনে হয়েছিল।
কিন্তু এক পর্যায়ে সাক্ষাৎকারগ্রহীতাদের চাহিদা মোতাবেক তিনি মাস্ক খোলেন এবং তার মুখভর্তি দাড়ি দেখে সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তাকে বলেন, তাদের নীতিমালা অনুযায়ী তারা দাড়িওয়ালা ব্যক্তিদের বিক্রয়কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন না। তারা বললো আপনি যদি ক্লিন শেভ করতে পারেন তাহলে আপনার জবটা আমরা এখানে কনফার্ম করতে পারবো।
কিন্তু বহু মানুষ আজ দিনভর এটিকে ফেসবুকে শেয়ার করেছেন এবং তারা 'বয়কট আড়ং' হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার করছেন। ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর সিলেটে আড়ংয়ের বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সিলেটের সচেতন আলেম সমাজের ব্যানারে একদল স্থানীয় অধিবাসী।
তাদের একজন মুখপাত্র শাহ মোমশাদ আহমেদ বলছেন, তারা বিক্ষোভ থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন, যার মধ্যে আছে দাড়ি রাখা নিয়ে আড়ংয়ের যদি কোন নীতিমালা থাকে সেটা পরিবর্তন করতে হবে, চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে সব ধর্মের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে এবং এই ঘটনার জন্য সুস্পষ্টভাবে ক্ষমা চাইতে হবে, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরণের ঘটনা না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তারা ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আড়ং এর পণ্য বর্জন করার আহবান জানাবেন।
এদিকে আড়ংয়ের পক্ষ থেকে যুবকের সাথে ঘটে যাওয়া ওই অভিজ্ঞতাকে 'দুঃখজনক' উল্লেখ করে বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
বাংলা ও ইংরেজি - দুই ভাষায় দেয়া বিবৃতি দুটি দেয়া হয়েছে ব্র্যাক-আড়ংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলমের নামে। বাংলা বিবৃতিতে লেখা হয়, "এটি নিঃসন্দেহে আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থী। আড়ং বয়স, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, অক্ষমতা বা জাতিগত উৎস নির্বিশেষে সকলের জন্য মানবিক মর্যাদাএবং অন্তর্ভুক্তির অধিকারগুলো সমুন্নত রাখে। আমাদের নিয়োগের সিদ্ধান্তে ধর্মী বিশ্বাস ও পালনকে কখনই বিবেচনা করা হয় না।
বিবৃতিটি আরও বলছে, "আমাদের ভবিষ্যতের ইন্টারভিউ বোর্ডগুলোর পরিচালনায় আমাদের মূল মূল্যবোধগুলোর প্রতিফলন নিশ্চিত করতে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করবো।
তবে ইংরেজি ও বাংলা ভাষার বিবৃতি দুটির মধ্যে কিছু তথ্যের ফারাক দেখা গেছে।
ইংরেজি বিবৃতি বলা হয়, তারা ওই চাকুরিপ্রার্থী যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু বাংলা বিবৃতিটিতেএর কোনো উল্লেখ ছিল না।
এদিকে সিলেটের বিক্ষোভকারীরা বলছেন, আড়ংয়ের বিবৃতিতে সুস্পষ্টভাবে ক্ষমা চাওয়া হয়নি তাই তারা আড়ংয়ের পণ্য বর্জনের সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা/বাংলাদেশ প্রতিদিন